Jokes হা-Show

নির্বাচিত হাসির জোকস
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
.................
এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
.................
১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার �পা� ছিল!
.................
পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি......

যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!

পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি--চিনি, প্রথম - প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !

.................
ভাড়াটে স্বাক্ষীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
চুরির মামলা।
বিবাদী পক্ষের জাঁদরেল উকিল জানতে চাইলেনঃ তুমি কি চুরি হতে দেখেছো?
‌--দেখেছি মানে, আমার সামনেই তো চুরি হলো।

‌‌-- তা সেটা কতো বড়ো ছিলো?

থতমত খেলো ভাড়াটে স্বাক্ষী, কি চুরি হয়েছে, তা জানা হয়নি। তবে সে পেশাদার। তাই ভড়কে না গিয়ে বাম হাতটা উঁচু
করে ধরলো।
উকিল রেগে গিয়ে বললেন--চুরি হয়েছে দেশী ছাগল আর তুমি দেখাচ্ছো অস্ট্রেলিয়ান গরুর সাইজ।
ভাড়াটে স্বাক্ষী হেসে বললো--সবে তো একটা হাত তুলেছি, এখন অন্য হাতটা কোথায় রাখি দেখুন, তবে তো বুঝবেন।
.................
অতিথী
সেই যে বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে। এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায় । একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলো, মিছামিছি। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনায় তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিল- যে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে। স্বামী বললো তোমার লাগে টাগে নিতো? যে জোরে কাঁদছিলে। স্ত্রী বললো দূর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম । হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাব, হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম ।
.................

গৃহস্বামী: এই যে চা খেলেন, এটা একেবারে দার্জিলিং স্পেশাল।
অতিথি: বোধহয় এইজন্যই এত ঠান্ডা।
.................
অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান এসেছে। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক বললেন, তা কেমন আছেন, অনেক দিন পর এলেন, আজ তো আর থাকবেন না, আবার কবে আসবেন?
মেহমান : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো আর দিবেন না, লুঙিটা দিন গোসলটা সেরেই আসি।

.................
অফিস-বস-কলিগ

কর্তা : যা তো ক্যাবলা, একটি খালি ট্যাক্সি নিয়ে আয় |
কিছুক্ষণ পর ক্যাবলা এসে বলল, স্যার,একটাও খালি ট্যাক্সি পেলাম না , ড্রাইভারের সিটে কেউ না কেউ বসে আছে |
.................

একটা কোম্পানী তাদের কারখানা অগ্নি- বীমা করাবে ঠিক করলন । পরদিন কোম্পানীর ম্যানেজারের ঘরে বারবার বীমা দালালরা দেখা করবার জন্য আসতে লাগল । কোম্পানী ম্যানেজারে ব্যস্ত ছিল্রন তিনি আটজন দালালকে বললেন আমার সময় নেই পরে দেখা হবে । পরে ম্যানেজার বললেন উ আপনাকে নিয়ে এই নয়জন এর আগে আটজনকে না দেখে বিদায় দিয়েছে

দালাল এক গাল হেসে বললেন । আমি এই নিয়ে নবম বার এসেছি।
.................
এক পুলিস অফিসার প্রমোসন পেয়ে ট্রেনিং এ গেছেন এবং সেখানে তাকে ট্রেনার SWOT এ্যানাল্যাইসিস সেখাচ্ছেন। SWOT হল ব্যবসার ক্ষেত্রে শক্তি(Strength, দূর্বলত(Weakness), সূযোগ(Opportunity) ও ভয়(Threat)-এর বিবেচনা। আলোচনার পর ট্রেনার ঐ অফিসার কে ব্যক্তিগত অভিঙ্গতা থেকে SHOT এর একটা উদাহরণ দিতে বললেন।
উত্তর টা ছিল এমন:-

আমার শক্তি হল আমার বৌ;
আমার দূর্বলতা হল পাশের বাড়ির বৌ;
আমার সূযোগ হল তার বর যখন বাইরে কোথাও যায়;
আমার ভয় আমি যখন বৌ কে রেখে বাইরে কোথও যাই;
.................
মক্কেল গোয়েন্দা বিভাগে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তাঃ কেন চোর সব সময় চুরি স্থলে ফিঙ্গার প্রিন্ট রেখে যায়...
মক্কেলঃ ওরা বেশির ভাগ সময় অশিক্ষিত হয় তাই আঙ্গুলের ছাপ রেখে যায়...শিক্ষিত হলে অবশ্যি সাইন করে যেত।
.................

আস্তে হাঁটা-
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু�ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
.................
ভাবীর হাতের রান্না
বাবুর অফিসের কাজে মন বসে না। তার গা ম্যাজম্যাজ করে, মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে।
বস একদিন ডাকলেন তাকে।
শোনো, এভাবে তো চলবে না। তোমাকে চাঙা হতে হবে। আমারও এরকম হতো আগে। তখন কী করতাম জানো? লাঞ্চ আওয়ারে বাড়ি চলে যেতাম। তোমার ভাবীর হাতের মজার রান্না খেয়ে, ঘন্টাখানেক তাকে চুটিয়ে আদর সোহাগ করতাম � হে হে, বুঝতেই পারছো, কী বলতে চাইছি। এরপর থেকে আমি একদম চাঙা, কোন সমস্যা হয় না। তুমিও ওরকম একটা কিছু করে দেখো, ফল পাবে।
হপ্তাখানেক পর বস দেখলেন, অফিসে বাবুর কাজ চলছে দারুণ। টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার নিয়ে দক্ষযজ্ঞ কান্ড একেবারে। বস হাসলেন, কী মিয়া, পরামর্শ কাজে লাগলো?
বাবু উৎফুল্ল গলায় বললো, জ্বি স্যার, একেবারে হাতে হাতে। আর ভাবীর হাতের রান্না তো অপূর্ব!
.................

শুধু ওভার টাইম খাটবো
একটি ফ্যাক্টরির মালিক বোঝাচ্ছিলেন তার শ্রমিকদের দশটার পর থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এই সাত ঘন্টা খাটলে পর দিন পাঁচ টাকা মজুরি । তারপর যদি কেউ ওভার টাইম করে খাটতে চাও- তাহলে মাত্র পুরো তিন ঘন্টা খাটলে পুরো পাঁচ টাকা দেওয়া হবে । তাহলে স্যার আমরা শুধু ওভার টাইম খাটবো সেটাই ভালো ।
.................

মালিক অফিসে এসেই কর্মচারীকে ধমকালেন।
�হাসান সাহেব, কাল নাকি আপনি অফিস টাইমে মিস ডলিকে নিয়ে সিনেমায় গিয়েছিলেন? ওকে আমার সঙ্গে একবার দেখা করতে বলুন।
�কিন্তু স্যার, ও কি আপনার সাথে সিনেমা দেখতে যেতে রাজি হবে?
.................

ম্যানেজারঃ তুমি নাকি আলমিরার চাবি আবারও হারিয়েছ?
কেরানিঃ জ্বী স্যার।
ম্যানেজারঃ আগে একটা হারিয়েছিলে তাই এবার তালার সঙ্গে দুটো চাবিই তোমাকে দিয়েছিলাম ।
কেরানিঃ দুটোই হারাই নি স্যার ! একটা মাত্র হারিয়েছি ।
ম্যানেজারঃ তাহলে অন্যটা কোথায় ?
কেরানিঃ হারিয়ে যাবার ভয়ে আগে থেকেই সাবধান ছিলাম। তাই ওটা আলমিররার মধ্যেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম ।
.................

উকিল
উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন । তাহলে চার বছরের আর একটি দুই বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?
ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?
.................
ক্রেতা-বিক্রেতা
ক্রেতা : তাড়াতাড়ি একটা পলিথিন ব্যাগ দিন তো, এক্ষুনি আমাকে ট্রেন ধরতে হবে।
বিক্রেতা : মাফ করবেন, ট্রেন ধরার মতো এত বড় পলিথিন ব্যাগ আমার কাছে নেই।
..............
খেলাধুলা
গলফ খেলতে গেছে টিনা।
সাঁই করে ব্যাট চালালো সে। তারপর দেখতে পেলো, তার টার্গেটের কিছুটা দূরে এক লোক হঠাৎ কোমরের নিচটা চেপে ধরে শুয়ে পড়লো।
নিশ্চয়ই আমার বলটা ওর ওখানটায় গিয়ে লেগেছে! আঁতকে উঠলো সে। তারপর ছুটে গেলো সেখানে।
দেখা গেলো, লোকটা কোঁকাচ্ছে সমানে, কোমরের নিচটায় হাত চেপে রেখেছে সে।
টিনা বললো, ভয় পাবেন না, আমি জানি কী করতে হবে। খুব ব্যথা করছে?
লোকটা কোনমতে বললো, হ্যাঁ।
টিনা তখন এগিয়ে গিয়ে, বেচারার প্যান্ট খুলে, মিনিট দশেক ম্যাসেজ করে দিলো। তারপর বললো, এখন কেমন বোধ করছেন?
লোকটা বললো, দারুণ, কিন্তু বুড়ো আঙুলটায় এসে বল লেগেছে তো, সাংঘাতিক ব্যথা করছে।
.................

আমার এত ধৈর্য কোথায়
দু জন দাবা খেলছিল। পাশে দাঁড়িয়ে আরেক ভদ্রলোক পাক্কা দু ঘন্টা ধরে তাদের দাবার চাল বলে দিচ্ছিলেন আর তাদের ভুলের সমালোচনা করছিলেন।
শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে একজন খেলোয়ার বলল, তা হলে আপনিই খেলুন না।
ভদ্রলোক প্রায় আঁতকে উঠে বললেন, না, না আমার এত ধৈর্য কোথায়!
.................

আম্পায়ারগুলো সব আমাদের
একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!
.................

 গোপাল ভাঁড়

গাধা আর রাজা
রাজা গোপাল ভাড় কে প্রশ্ন করল,গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু?

গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল,বেশি না ,মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান |

.................

গোপাল ভাড়েঁর পড়শীর সাথে সংগত কারনেই ভাল সম্পর্ক নেই। সবসময় বিবাদ বিসংবাদ লেগেই থাকে। তাই এদের মধ্যে যোগাযোগ একরকম বন্ধই। এরই মধ্যে একদিন দেখা গেল পাশের বাড়ীতে মহাধুমধামে ভোজের আয়োজন চলছে। শত শত অতিথি আসছে - চমৎকার খাবারের বাসনা গোপালের বাড়ীতে ঢুকছে। গোপাল ভাড়ঁ কৌতুহলী হয়ে খবর নিয়ে জানলো - ঐ বাড়ীর একটা ছেলে মারা গেছে - যারা শ্রাদ্ধানুষ্টান চলছে। গোপাল তাকে নিমন্ত্রন না করায় খুবই মনঃক্ষুন্ন হলো। ভাবতে লাগলো কিভাবে এর জবাব দেওয়া যায়।

ভাবতে ভাবতে অবশেষে নিজের ছোট ছেলেকে টেনে ছাদে নিয়ে গিয়ে পাশে বাড়ীর উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলা শুরু করলো - "এই দেখ, আমারও ছেলে আছে, এই ছেলে মারা গেলে বিরাট শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হবে। তখন তোমাদের দাওয়া দেবো না, বলে রাখলাম কিন্তু"।

.................

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, �বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?�
গদগদ হয়ে গোপাল বলে, �আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়ই আসতেন!�

.................

গোপালের তামাকপ্রীতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মোটেই পছন্দ করতেন না।একদিন গোপালকে সঙ্গে নিয়ে পালকিতে কোথাও যাচ্ছেন, দেখেন তামাক ক্ষেতে এক গাধা চড়ে বেড়াচ্ছে।সেই গাধা ক্ষেতের আগাছা খাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তামাক পাতায় ভুলেও মুখ দিচ্ছে না।
সুযোগ পেয়ে রাজা বলেন, �দেখেছো হে গোপাল, একটা গাধাও তামাক খায় না!�
শুনে গোপাল বলে, �আজ্ঞে রাজা মশাই, তা যা বলেছেন।কেবল গাধারাই তামাক খায় না।�

গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, �বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র।তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!�
�তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!� গোপালের সরল উত্তর।
একজন বৈরাগী গোপালকে চিনত না।সে গোপালের সামনে এসে বলল, �ঈশ্বরের সেবার জন্য আপনি কিছু চাঁদা দেবেন?�
গোপাল কিছু না বলে বৈরাগীকে একটা টাকা দিল।
টাকাটা পেয়ে বৈরাগী খুশি হয়ে পথ হাঁটতে লাগল।কিছুটা যেতেই গোপাল তাকে ডাকল, �ও বৈরাগী, একবারটি আমার কাছে এসো।�
বৈরাগী খুশিমনে তার কাছে আসলে গোপাল বলল, �তোমার বয়স কত?�
� আজ্ঞে আঠারো ।�
�আমার বয়স পঞ্চান্ন।�
�তাতে কি হল?�
�এইমাত্র ঈশ্বরের সেবার জন্য যে একটা টাকা নিয়েছ সেটা ফেরত দাও, কারণ তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব এবং ঈশ্বরের সেবারর্ সুযোগ পাব।�


এক পন্ডিতের মাথায় তিলকের ঘটা দেখে গোপাল খুব আমোদ পেয়ে জিজ্ঞেস করেছে, �ওহে পন্ডিত, কপালে এতো সব কি এঁকেছো?�
পন্ডিত একগাল হেসে বলে, �আজ্ঞে, ফোঁটা কাটুচি!�
গোপাল উদাত্ত গলায় ফের শুধায়, �ফোঁটা কাটুচি, না কাগে হাগুচি?�
রাজা গোপাল ভাঁড় কে প্রশ্ন করল, গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু? গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল, বেশি না, মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান।
গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, �বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র।তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!�
�তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!� গোপালের সরল উত্তর।
গোপালকে বলছেন রামবাবু, �এখানে বাঁদরের বড্ড উৎপাত।তোমাকে তো দেখতে বেশ বাঁদরের মতোই! ওদের দলে তোমাকে ছেড়ে দিলে কি হবে বলতো? তুমি নিশ্চই কখনো বাঁদর দেখনি?�
�আজ্ঞে না! আপনার মত বাঁদর আমি আগে আর কক্ষনো দেখিনি!� গোপালের সোজা-সাপ্টা উত্তর।

গোপাল ভাঁড় হাসতে হাসতে মইরা গেল...

Jokes: চাকর-মনিব
মিস্টার এবং মিসেস চৌধুরী পার্টিতে গেলেন, বাসা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেলেন কাজের ছেলে পাভেলকে।পার্টিতে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে বিরক্ত হয়ে মিসেস চৌধুরী ফিরে এলেন, মিস্টার চৌধুরী রয়ে গেলেন সামাজিকতার খাতিরে।
বাসায় ফিরে এসে মিসেস চৌধুরী পাভেলকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং রুমে।তিনি খানিকক্ষণ উসখুস করে পাভেলকে ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের বেডরুমে।
"পাভেল, আমার শাড়িটা খোল।" হুকুম করলেন তিনি।
পাভেল কোন কথা না বলে হুকুম তামিল করলো।
"এবার আমার ব্লাউজ খোল।" বললেন মিসেস চৌধুরী।
পাভেল সেটাও পালন করলো।
এবার মিসেস চৌধুরী নিচু গলায় বললেন, "আমার পেটিকোটটা খোল পাভেল ।"
পাভেল খুললো।
মিসেস চৌধুরী পাভেলের চোখে চোখ রেখে বললেন, "আর কোনদিন যদি দেখি আমার জামাকাপড় গায়ে দিয়ে বসে আছিস, কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো!"
    …………………………

Jokes: চাপাবাজ
গরম চা
১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চা-পাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!
 
একবার এক অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশি, সাউথ আফ্রিকান আর ইন্ডিয়ান গল্প করছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ক্রিকেট।
ইন্ডিয়ান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল, স্টাইকার এন্ডে ছিল শচীন। বোলার বল করল, শচীন সেটা থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিয়ে ৩ রান নিল, ফিল্ডার সেটা ছুড়ল নন-স্টাইকার এন্ডে। ওভার থ্রো তে শচিন আরও তিন রান নিয়ে নিল। এবার ফল্ডার সাবধান হয়ে সেটা ছুঁড়ে দিল উইকেট কিপারের দিকে, উইকেট কিপার ধরতে পারল না আর বলটা চলে গেল বাউন্ডারির ওপারে ফলে চার রান। ৩+৩+৪ =১০ আমরা জিতে গেলাম।
সাউথ আফ্রিকান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমদের গ্রায়েম স্মিথকে তো তোমরা চেন। তার গায়ে মারাত্মক জোর। সে এমন জোরে মারল জে বল স্টেডিয়াম পার হয়ে কয়েক শ গজ দূরে গিয়ে পড়ল। আম্পায়ারের কোন উপায় ছিল না। সে ১২ রান দিয়ে দিল। আমরা জিতে গেলাম।
বাংলাদেশি: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমাদের আশরাফুলকে তো তোমরা চেন, সে সেইরকম মারকুটে ব্যাটসম্যান। বোলার বল করল আর আশরাফুল সজোরে ব্যাট চালাল। ব্যাটের আঘাতে বল ভেঙে দুইটুকরা হয়ে গেল। এক টুকরা উড়ে বাউন্ডারি পার হল আর অন্যটুকরা গড়াতে গড়াতে বাউন্ডারি পার হল। ফলে আমরা ৬ + ৪ = ১০ রান করে ফেললাম। আমরা জিতে গেলাম।
দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে-
প্রথম চাপাবাজ: জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারটা কিনে ফেলি।
দ্বিতীয়চাপাবাজ: অত সহজ না বন্ধু! ওটা আমি বেচলেতো।

এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে।
ফরাসী বলছে, �গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।�
ইতালীয় বলছে, �গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।�
বাঙালি চুপ করে আছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, �তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক�বার আদরসোহাগ করেছো?
বাঙালি বললো, �একবার।�
ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, �তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো?�
�ওগো, থামো, আর না �।�
তিন বন্ধু ঘুম থেকে উঠে একজন আরেকজনকে স্বপ্নের কথা বর্ননা করছে।
প্রথম বন্ধুঃ "জানিস আমি স্বপ্নে দেখলাম মরুভুমির সব বালি সোনা হয়ে গেছে আর আমি সেগুলোর মালিক হয়ে গেছি।"
দ্বিতীয় বন্ধুঃ "আমি স্বপ্নে দেখলাম আকাশের সব তারা স্বর্নমুদ্রা হয়ে গেছে আর আমি তার মালিক হয়ে গেছি।"
তৃতীয় বন্ধুঃ "আমি স্বপ্নে দেখলাম এতো কিছু পেয়ে তোরা খুশিতে হার্টফেল করেছিস আর মরবার আগে আমাকে তোদের সব সম্পদ উইল করে দিয়ে গেছিস।"
দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে -
১ম চাপাবাজ : জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফন্সান্সের আইফেল টাওয়ার টা কিনে ফেলি !
২য় চাপাবাজ : অত সহজ না বন্ধু ! ওটা আমি বেচলে তো ।
   ……………
Jokes: চোর-পুলিশ
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
   ……………………..
Jokes: ছাত্র-শিক্ষক
ম্যাডাম সাহিত্যের ক্লাসে টেস্ট নিতে গিয়ে ছাত্রদের বললেন, তোমরা এমন একটা ছোট গল্প লেখ, যাতে একই সংগে রহস্য, যৌনতা, রাজকীয়তা, ধর্মীয় আবেশ সবই থাকে। সময় ২০ মিনিট।
২ মিনিট যেতে না যেতেই একজন হাত তুলে বললো, ম্যাডাম আমার শেষ এত কম সময়ে শেষ দেখে ম্যাডাম তো রীতিমত অবাক।
ম্যাডাম: যে চারটা বিষয় বলেছিলাম তার সবগুলো তোমার গল্পে আছে তো?
ছাত্র: জ্বী ম্যাডাম।
ম্যাডাম:তোমার গল্প পড়ে শোনাও দেখি।
ছাত্র: ওহ আল্লাহ, রাজকুমারী আবার প্রেগন্যান্ট! কে করলো আকামটা!!!

শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বলছেন কে কি হতে চায় ভবিষ্যতে-
রানা: আমি পাইলট হতে চাই।
সুমিত: আমি ডাক্তার হতে চাই।
দীপা: আমি একজন ভালো মা হতে চাই।
সুমন: আমি দীপাকে সাহায্য করতে চাই।  শিক্ষকঃ বল ফোর্ড কি?
ছাত্রঃ গাড়ী স্যার।
শিক্ষকঃ তাহলে বল, অক্সফোর্ড কি?
ছাত্রঃ উঁ...ঊঁ...গরুর গাড়ী স্যার।
শিক্ষকঃ ধ্রুব, বলতো এসিসি (ACC) তে কী হয়?
ধ্রুবঃ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।
শিক্ষকঃ ভালো । এবার অয়ন বলতো বিবি (BB) তে কী হয়?
অয়নঃ বাংলাদেশ ব্যাংক, স্যার।
শিক্ষকঃ খুব ভাল , নন্দদুলাল তুমি এবার বলতো ইএসপিএন (ESPN)-এ কী হয়?
নন্দদুলালঃ সারা দিন শুধূ খেলা হয়, স্যার।
বাচ্চাদের স্কুলের টিচার মিস তানিয়া একদিন ছুটির পর ছোট্ট বাবুকে দাঁড় করালেন।
এক মিনিট দাঁড়াও ছোট্ট বাবু। চশমার ওপর দিয়ে চাইলেন তিনি। তোমার হোমওয়র্ক তো খুব খারাপ হচ্ছে কদিন ধরে। তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে?
ছোট্ট বাবু মাথা ঝোঁকালো। জ্বি টিচার। আমি প্রেমে পড়েছি।
মিস তানিয়া মিষ্টি হাসলেন। কার প্রেমে পড়েছো?
আপনার, মিস তানিয়া। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।
কিন্তু ছোট্ট বাবু, নরম গলায় বললেন মিস তানিয়া, ভেবে দ্যাখো ব্যাপারটা কেমন বোকাটে হবে? নিশ্চয়ই আমি একদিন কাউকে স্বামী হিসেবে চাইবো � কিন্তু আমি তো কোন বাচ্চা চাই না।
ভয় পাবেন না মিস। আশ্বাস দিলো বাবু। সেক্ষেত্রে আমি কনডম ব্যবহার করবো।
ক্লাস টু-তে এক পিচ্চি মেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলছে, টিচার টিচার, আমার আম্মু কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে?
টিচার বললেন, তোমার আম্মুর বয়স কত সোনা?
পিচ্চি বললো, চল্লিশ।
টিচার বললেন, হ্যাঁ, তোমার আম্মু প্রেগন্যান্ট হতে পারবেন।
পিচ্চি এবার বললো, আমার আপু কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে?
টিচার বললেন, তোমার আপুর বয়স কত সোনা?
পিচ্চি বললো, আঠারো।
টিচার বললেন, হ্যাঁ, তোমার আপু প্রেগন্যান্ট হতে পারবে।
পিচ্চি এবার বললো, আমি কি প্রেগন্যান্ট হতে পারবো?
টিচার হেসে বললেন, তোমার বয়স কত সোনা?
পিচ্চি বললো, আট।
টিচার বললেন, না সোনা, তুমি প্রেগন্যান্ট হতে পারবে না।
এ কথা শোনার পর পেছন থেকে ছোট্ট বাবু পিচ্চিকে খোঁচা দিয়ে বললো, শুনলে তো? আমি তো তখনই বলেছি, আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই।
প্রফেসর শেষ ক্লাসে ঘোষণা করলেন, পরশু পরীক্ষা। কেউ কোনও অজুহাত দিয়ে পার পাবেন না। তবে নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু কিংবা মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতা হলে ভিন্ন কথা।
পেছন থেকে এক ফাজিল ছোকরা বললো, মাত্রাতিরিক্ত সেক্সজনিত ক্লান্তি হলে কি চলবে স্যার?
ক্লাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে গেলো। শব্দ থামার পর প্রফেসর বললেন, উহুঁ, সেক্ষেত্রে তুমি অন্য হাতে লিখবে।
এক শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করেন - এমন জিনিষের নাম বল তো যা ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিতি হয় ।
ছাত্র- চুল
শিক্ষক - কিভাবে ?
ছাত্র- মাথায় আমরা বলি চুল , চোখের উপরে থাকলে বলি ভ্রু, ঠোটের উপরে থাকলে বলি গোফ , গালে ও চিবুকে থাকলে বলি দাড়ি । বুকে থাকলে বলি লোম এবং ......
শিক্ষক- সাবধান আর নিচে নামিস না �

অংকের ক্লাস চলছে
শিক্ষক : বল তো, আমাদের অংক ক্লাসে সবচেয়ে ফাঁকিবাজ কে?
ছাত্র : আপনি স্যার।
শিক্ষক : কী বলছিস?
ছাত্র : আমরা যখন অংক করি তখন তো আপনি হাত গুটিয়ে বসে থাকেন।


শিক্ষক : বাতাস, নদী এবং পানি এই তিনটির যে কোন একটি ওপর ২০ লাইন রচনা লিখ।
ছাত্র : এসব কি বলছেন স্যার? আমি তো কাগজের ওপর ছাড়া অন্য কারও ওপর লিখতে পারি না, স্যার!!!
শিক্ষক: বল, আকবরের জীবনকাল কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত?
ছাত্র: পারিনা স্যার। এটা বইয়ে নেই।
শিক্ষক বই খুললেন, সেখানে লেখা---আকবর (১৫৪২-১৬০৫)
ছাত্র: স্যার, আমি ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার 

যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে.......
শিক্ষকঃ আমি এই চেয়ারটাকে ছুলাম। চেয়ারটা মাটি ছুয়েছে। তারমানে আমি মাটি ছুয়েছি। এবার এরকম আরেকটা উদাহরণ দাও দেখি।
ছাত্রঃ আমি আপনাকে ভালবাসি। আপনি আপনার মেয়েকে ভালবাসেন। তারমানে আমি আপনার মেয়েকে ভালবাসি।
আলাল দুলালকে জিজ্ঞেস করছে, "কিরে, তুই নাকি গতকালকে সবার সামনে স্বীকার করেছিস তুই গাধা"
দুলাল বলল, "না, স্যার ক্লাসে এসে বললো কে কে গাধা দাড়াও?"
আলাল, "তারপর?"
দুলাল, "স্যার একা দাড়িয়ে ছিলোতো তাই ভালো দেখাচ্ছিলো না। তাই আমিও দাঁড়ালাম।
শিক্ষক ছাত্রকে পড়াচ্ছেন.....
শিক্ষকঃ আচ্ছা, বলতো Grammar কাকে বলে?
ছাত্রঃ যারা গ্রামে থাকে তাদেরকে Grammar বলে। বাংলাদেশের গ্রামে
যারা থাকে তাদেরকে বাংলা Grammar এবং বিদেশের গ্রামে যারা থাকে তাদেরকে ইংলিশ Grammar বলে, স্যার।
একদিন এক বিদ্যালয়ে শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের গরু আঁকতে দিলেন। সবাই গরু এঁকে খাতা জমা দিল। এক ছেলে জমা দিল একটা খালি কাগজ।
শিক্ষক কাগজটা দেখে বলল, "এটা কি এঁকেছিস?"
ছাত্র বলল, "স্যার, ঘাস এঁকেছিলাম।"
শিক্ষক বলল, "ঘাস কই?"
ছাত্র বলল, "স্যার, গরুতে খেয়ে ফেলেছে।"
শিক্ষক বলল, "তাহলে গরু কই?"
ছাত্র বলল, "স্যার, গরুতো ঘাস খেয়ে চলে গেছে।"
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সুন্দরী শিক্ষিকা চাকুরিতে যোগ দিলেন। পড়াতে গিয়েই টের পেলেন,যুগের ছেলেরা পাল্টেছে, অতি স্মার্ট ডিজুস পোলাপান নিয়ে ম্যাডামের বেকায়দা অবস্থা। প্রথম গ্রেডে সদ্য ভর্তি হওয়া রাজু তো বলেই বসলো, ম্যাডাম,আমি কোনো অবস্থাতেই প্রথম গ্রেডে পড়বোনা। কারণ,প্রথম গ্রেডের সব পড়ালিখা আমি অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছি। এমনকি আমার বড় বোন যে ৩য় গ্রেডে পড়ে ,আমি ওর চেয়ে ও স্মার্ট।কাজেই মিনিমাম ,আপনি আমাকে ৩য় গ্রেডে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ম্যাডাম,রাজুকে নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গেলেন।সব খুলে বললেন।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, ঠিক আছে,আমি তোমাকে দুয়েক টা প্রশ্ন করবো, যদি তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারো ,তবে তোমাকে উপরের ক্লাশে প্রমোশন দেয়া হবে।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আচ্ছা বলতো রাজু, ৩ গুন ৩ = কত?
রাজুর জটপট জবাব, স্যার , নয়।

আচ্ছা বলতো ৮ গুন ৮ সমান কত?
এবারও রাজুর জবাব স্যার ৬৪।
প্রিন্সিপাল স্যার ম্যাডামকে বললেন, রাজুকে উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া যায়।
রুপবতি ম্যাডাম এবার প্রিন্সিপাল স্যার কে বললেন, স্যার আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলো, যদি আপনি অনুমতি দেন,আমিও একটু ওর মেধা যাচাই করি।
প্রিন্সিপাল স্যার এবার মাথা নেড়ে সায় দিলেন।
ম্যাডাম ,রাজুকে প্রথম প্রশ্ন করলেন-আচ্ছা রাজু বলতো,গাভীর চারটা আছে,কিন্ত আমার আছে দুটো। সে টা কি?
রাজু চুপচাপ চিন্তা করছে,আর মিটিমিটি হাসছে।
ম্যাডাম বললেন,লজ্জা পাবার দরকার নেই রাজু। তুমি সঠিক জবাব দিও।
রাজু বললো, ম্যাডাম,এটা হলো-আপনার দুই পা।
ম্যাডাম এবার ২য় প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা এবার বলতো, তোমার প্যান্টের ও জায়গায় আছে,আর আমার তা নেই সেটা কি?
রাজু লাজে হাসে।
ম্যাডাম বলেন,লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই রাজু।
রাজু বলেন,ম্যাডাম এটা হলো,আমার প্যান্টের পকেট।
ম্যাডামের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা, বলতো,এমন একটি শব্দ যা ইংরেজে লেটার
C দিয়ে শুর আর T দিয়ে শেষ। জিনিসটা গোলাকার,ডিলিশাস,ভেতরে ভেজা ভেজা, আর নরম,যা পেলে সবাই তৃপ্ত হয়।
প্রশ্ন শুনে প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না।চেহারা পুরো লাল হয়ে গেছে।
রাজ বললো, ম্যাডাম এটা হলো Cocunut.

ম্যাডের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা এবার বলোতো, যা খুব শক্ত হয়ে কারো ভিতরে ঢুকে,আর নরম,ভেজা,আঠালো হয়ে বের হয়ে আসে?
রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো বাবল গাম।
ম্যাডামঃআচ্ছা এবার বলোতো, কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যে শব্দ শুনলেই শরীরে যথেষ্ট উত্তাপ আর উত্তেজনা শুরু হয়-
এ প্রশ্ন শুনে প্রিন্সপাল স্যারের আবারো, লজ্জাকর অবস্থা ।
কিন্ত রাজুর উত্তর ,ম্যাডাম এটা হলো Fire Truck.
ম্যাডামঃ বলোতো কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যা মানুষ না পেলে হাত ব্যবহার করে।
রাজুর জবাব-ম্যাডাম এটা হলো-Fork.
ম্যাডামঃ রাজু বলতো সোনা,এ জিনিসটা কারো লম্বা, আবার কারো ছোট, একেক জনের একেক সাইজের হয়।বিয়ে করার পর জামাই আদর করে বউকে দিয়ে থাকে।
রাজুর জবাব--ম্যাডাম এটা হলো ডাকনাম।

ম্যাডামঃ রাজু বলতো এটা পুরুষের শরীরে কোন অংশ যেখানে কোনো হাড় নেই,তবে অনেক শিরা আছে,এক রকমের মাংসপিন্ডের সমষ্টি,উত্তেজনাকর অবস্থায় বেশী অনুভূত হয়।বিশেষ করে যা দিয়ে ভালোবাসা বাসি বুঝা যায়।

রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো হার্ট বা হৃদয়।

শুনার পর প্রিন্সিপাল স্যার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ম্যাডাম কে বললেন ওকে ৮ গ্রেডেই প্রমোশন দেয়া হোক। কারণ শেষের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই ভুল করেছি।


Jokes: ছোট জনি
ছোট্ট জনি স্কুল থেকে মন খারাপ করে ফিরেছে। বাবা জানতে চাইলেন কি হয়েছে?
: আমি গনিতে F পেয়েছি
: কেন?
: টিচার জানতে চাইলেন 2x3 কত হয়? আমি বললাম 6
: তাহলে তো তুমি সঠিক উত্তর দিয়েছো।
: এরপর টিচার জানতে চাইলেন 3x2 কত হয়?
: What the f***ing difference? রেগে গিয়ে বাবা বললেন?
: আমিওতো ওই একই কথা টিচারকে বলেছিলাম।

বাইরে থেকে দৌড়ে এসে ছোট্ট জনি মায়ের কাছে জানতে চাইলো - মা, ছোট মেয়েরাও কি প্রেগনেন্ট হয়?
: না সোনা। জবাবে মা বললেন।
জনি দৌড়ে বাইরে চলে গেল। মা শুনতে পেলেন জনি তার ছোট্ট বান্ধবীকে বলছে - বললাম না, ভয়ের কিছু নেই। চলো, খেলাটা আবার খেলি।

ক্লাসে আদব-কায়দা শেখাতে গিয়ে শিক্ষিকা জানতে চাইলেন - মনে করো তুমি তোমার কোন ধনী বান্ধবীর বাসায় দাওয়াতে গিয়েছো। হঠাৎ তোমার টয়েলেটে যাবার প্রয়োজন পড়লো, সেক্ষেত্রে তুমি তোমার বান্ধবীকে কি বলবে?

মাইক উত্তর দিলো - একটু অপেক্ষা করো, আমি টয়েলেট থেকে আসছি।
শিক্ষিকা - এটা শুনতে খুবই খারাপ লাগে।

চার্লি উত্তর দিলো - দু:খিত, আমাকে একটু টয়েলেটে যেতে হচ্ছে, কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে আসবো।
শিক্ষিকা - হুমম, আগের থেকে ভালো। কিন্তু খাবার টেবিলে টয়লেট শব্দটি শুনতে বেমানান।

ছোট্ট জনি উত্তর দিলো: মাই ডিয়ার, আমাকে কিছুক্ষনের জন্য আমার ব্যক্তিগত এক বন্ধুর সাথে হাত মেলাতে যেতে হচ্ছে। আমি আশা করছি আমাদের ডিনার শেষে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো।



লিটল জনি পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠে ইশ্বরকে ডাকাডাকি শুরু করলো।
ইশ্বর ও ইশ্বর!!! শুনছো!
কি হয়েছে আমার প্রিয় জনি?
তোমার কাছে ১ কোটি বছর মানে কতক্ষন?
আমার কাছে ১ কোটি বছর হলো ১ মিনিট।
ও, আচ্ছা তোমার কাছে ১০০০ কোটি টাকা মানে কত পয়সা?
১০০০ কোটি টাকা আমার কাছে তো ১ পয়সারও কম।
তাইলে তুমি আমাকে ১টা পয়সা দাওনা। প্লিইইজ।
মাত্র ১ পয়সা!! ঠিক আছে বাছা। জাস্ট ১ মিনিট ওয়েট করো।
-এই বলে ইশ্বর অদৃশ্য হলেন।
Jokes: ডাক্তার-রোগী
এক মহিলা তার কিছু মনোদৈহিক সমস্যা নিয়ে গেছেকে মনোবিজ্ঞানীর কাছে-
: আপনার সেক্স লাইফ সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন? আপনার সমস্যা সমাধান করতে এইটা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
: আমার সেক্সলাইফ বলতে গেলে পিকনিকের দিনের মতো।
: মানে খুব আনন্দের?
: না বছরে একবার।

দৈনিক দুই চামচ
ডাক্তারঃ এক্স-রে করে দেখলাম, আপনার পেটে অনেক চামচ জমা হয়েছে। কেন বলুন তো?
রোগীঃ আপনি তো বললেন দৈনিক দুই চামচ খেতে।
এক পাগলের অভ্যাস ছিল গুলতি দিয়ে যে কোন কাঁচের জানালা ভাঙ্গার । তাকে ধরে মানসিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হল । এক বছর চিকিৎসার পর ডাক্তারের ধারনা হল রোগ মুক্তি হয়েছে, তাকে ছেড়ে দেয়া যায় । ছাড়বার আগে শেষ পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে তাকে ডাকা হল ।
ডাক্তার : স্যার , আমাদের ধারনা আপনি সম্পূর্ন আরোগ্য হয়েছেন । তাই আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে । এবার আপনি বলুন এখান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আপনি কি করবেন ?
পাগল : আমি ! সত্যি বলব ?
ডাক্তার : বলুন ।
পাগল : প্রথমে ভালো একটা স্যুট কিনব । তারপর সেটা পরে আমি তাজমহল হোটেলে যাবো ডিনার খেতে ।
ডাক্তার : গুড, নর্মাল ব্যাপার, তারপর ?
পাগল : তারপর সেখানে সুন্দরী এক সোসাইটি গার্লকে বলব যে, মে আই হ্যাভ এ ড্যান্স উইথ ইউ ?
ডাক্তার : গুড, নর্মাল, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে ডিনার খাওয়াবো । মদ খাওয়াবো ।
ডাক্তার : ঠিক আছে, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে হোটেলের একটা রুমে নিয়ে আসব । নীল আলো জ্বালিয়ে দেবো । স্লো মিউজিক চালিয়ে দেব ।
ডাক্তার : নর্মাল সবকিছু, তারপর ?
পাগল : তারপর ধীরে ধীরে শাড়ী খুলব, ব্লাউজ খুলব , ব্রা খুলব, পেটিকোটটা খুলে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনব পা থেকে ।
ডাক্তার : নাথিং রং, তারপর ?
পাগল : এবার মেয়েটির শরীরে বাকী আছে তার আন্ডারওয়ার । এখন ধীরে ধীরে সেই আন্ডারওয়ারটি খুলে নেব আমি ।
ডাক্তার : তারপর ?
পাগল : তারপর আন্ডারওয়ার থেকে ইলাস্টিকের দড়িটা খুলে নেব আমি । এই ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি বানাবো । আর সেই গুলতি দিয়ে শহরের যত কাঁচের জানালা আছে সব ভেঙ্গ চুরমার করে দিব আমি ।
ডাক্তার : নিয়ে যাও পেসেন্টকে । বন্ধ করে রাখ ওকে । হি ইজ এজ সিক এজ বিফোর । নো ইমপ্রুভমেন্ট ।

মেডিকেল কলেজের প্রফেসর নতুনদের ক্লাস নিচ্ছেন।
-ভালো ডাক্তার হওয়ার দুটি শর্ত। প্রথমটি হল খুব ভালো পর্যবেক্ষন শক্তি থাকা। রুগীকে দেখেই যেন তার সম্পর্কে ধারনা করতে পারো, কোন একটা অসুখের হালকা লক্ষনও যেন বাদ না যায়। দ্বিতীয়টা হল মন শক্ত করা। যেন কিছুতেই তুমি ভড়কে না যাও।
আজকে তোমাদের পর্যবেক্ষন এবং মানসিক অবস্থার পরীক্ষা হবে। আমার সামনে একটা জারে হলুদ বর্নের তরল আছে। সবাই এক এক করে আসো আর দেখে যাও। বলো এটা কি?
একে একে সবাই এলো। সবার এক কথা এটা প্রস্রাব।
গুড! এই বলে প্রফেসর একটা আঙ্গুল তরলে ডুবিয়ে দিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা ওয়াক থু টাইপ আওয়াজ করল। তরলে আঙ্গুল রেখেই প্রফেসর বললেন,
-তোমাদের ঘেন্নাপাতি কমাতে হবে। মানসিক দৃঢ়তার জন্য এই ধরনের ঘৃনা থাকা ভালো নয়। যারা এখনো আমার আঙ্গুল চুবিয়ে রাখা পছন্দ করো নাই তারা ভালো করে লক্ষ্য করো। এইবলে প্রফেসর আঙ্গুল তুলে মুখে দিলেন। ছাত্রদের অবস্থা ত সেই রকম।
এরপর প্রফেসর বললেন, তোমরা সবাই ঠিক আমি যেভাবে আঙ্গুল চুবিয়েছি আর মুখে দিয়েছি সেইভাবে কর। সবাই আসো... একে একে...
ছাত্ররা তাই করল।
সবশেষে প্রফেসর বললেন, এবার তোমাদের পর্যবেক্ষনের প্রসঙ্গে আসি। বলো কতজন খেয়াল করেছো যে আমি তর্জনী চুবিয়েছি আর মধ্যমা মুখে দিয়েছি...  বুড়ো রিয়াদ সাহেব বিয়ে করেছেন এক কচি মেয়েকে। কিন্তু কয়েক হপ্তা পর দেখা গেলো, বিছানায় যত কায়দা কানুনই তিনি করেন না কেন, বউ বেচারির রাগমোচন হচ্ছে না।
রিয়াদ সাহেব ঠিক করলেন, তিনি ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
ডাক্তার সব শুনে, সব দেখে রায় দিলেন - এক কাজ করুন। ফ্যান্টাসি সেক্স চেষ্টা করে দেখুন। ষন্ডা কোন ছোকরাকে ভাড়া করবেন। আপনারা যখন ঐসব করবেন, ছোকরা ন্যাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে তালপাখা দিয়ে আপনাদের বাতাস করবে।
ডাক্তারের কথা কী আর ফেলা যায়? রিয়াদ সাহেব এক ষন্ডামতো ছোকরাকে ভাড়া করে বাড়ি নিয়ে গেলেন। ডাক্তারের নির্দেশমতো কাজ করেও কোন ফল পাওয়া গেলো না। চটেমটে রিয়াদ সাহেব আবার ডাক্তারের চেম্বারে হানা দিলেন।
ডাক্তার সব শুনে, সব দেখে আবারও রায় দিলেন এক কাজ করুন। এবার উল্টো ফ্যান্টাসি সেক্স চেষ্টা করে দেখুন। ষন্ডা কোন ছোকরাকে ভাড়া করবেন। এবার ছোকরা আপনার স্ত্রীর সাথে যখন ঐসব করবে, আপনি ন্যাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে তালপাখা দিয়ে ওদের বাতাস করবেন।
মরিয়া রিয়াদ সাহেব ঠিক করলেন, তথাস্তু।
এবার একেবারে হাতেনাতে ফল পাওয়া গেলো। রিয়াদ সাহেবের বউ এক উথালপাথাল রাগমোচন লাভ করলেন।
উল্লসিত রিয়াদ সাহেব ষন্ডা ছোকরার কাঁধে টোকা দিয়ে বললেন, এবার বুঝেছো তো ছোকরা, কিভাবে ঠিকমতো বাতাস করতে হয়?
পাভেল খুব তোতলায়।
এমনটা ছোটবেলায় হতো না, এখন কেন হচ্ছে জানার জন্যে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলো সে।
ডাক্তার প্রথমে নাক-কান-গলার বিভিন্ন টেস্ট দিলেন।যথাসময়ে রিপোর্ট হাতে এল,কিন্তু রিপোর্ট ডাক্তার এমন কিছু পেলেন না যার কারণে পাভেল এর এই হঠাৎ তোতলামি দেখা দিতে পারে।অবশেষে ডাক্তার তাকে থরো চেকআপ এর সিদ্ধান্ত নিলেন।এবং তাকে আপাদমস্তক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে কারণটা খুঁজে পেলেন ডাক্তার।
তিনি পাভেলকে জানালেন, দেখুন মিস্টার পাভেল, আপনার দেহের বিশেষ প্রত্যঙ্গটি অত্যন্ত দীর্ঘ।সেটির ওজনে আপনার ভোকাল কর্ডে টান পড়েছে।প্রত্যঙ্গটি কেটে খানিকটা ছোট করা হলে সম্ভবত আপনার তোতলামি সেরে যাবে।আপনি রাজি হলে এখন যা আছে, তার অর্ধেকে আমি আপনাকে নামিয়ে আনতে পারি।তবে যে অর্ধেক সরিয়ে ফেলা হবে, সেটি কিন্তু আপনাকে হস্তান্তর করা হবে না।আপনি কি রাজি?
কী আর করা, পাভেল রাজি হলো।অপারেশন সফল হওয়ার পর তার তোতলামি একেবারেই সেরে গেলো।
কিন্তু পাভেলের বান্ধবী টিনা সব জানতে পেরে ভীষণ চটে গেলো।সে হুমকি দিলো, তোতলামি নিয়ে তার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু অর্ধেক যদি সে ফেরত না নিয়ে আসে, এ সম্পর্ক সে রাখবে না।
মাসখানেক টিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে বিফল হয়ে শেষে পাভেল আবার গেলো ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তারসাহেব, আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন- আব্দার জানালো পাভেল , তারপর বর্তমান পরিস্থিতি ডাক্তারকে বুঝিয়ে বললো।
কিন্তু ডাক্তার কোন জবাব দিলেন না, ভাবুক চোখে তাকিয়ে রইলেন তার দিকে।
পাভেল চটে গেলো।
: কী হলো, কথা শুনতে পাচ্ছেন না আমার? আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন।
: ডাক্তারও চটে গিয়ে বললেন, প-প-প-পারবো না। য-য-য-যান, ভ-ভ-ভাগেন এখান থেকে।
ডাক্তার : আপনাকে কতবার বলেছি চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
রোগী : খেতে চাই না, কিন্তু জিহ্বা যে মানে না।
ডাক্তার : এত বড় শরীর ছোট এক জিহ্বার সঙ্গে পারেন না, এ কেমন কথা?
রোগী : জিহ্বা তো আর একা নয় পেটও যে তাকে সাপোর্ট করে।

কথা হচ্ছে দুই বন্ধুর মধ্যে
১ম জন : আচ্ছা বল তো, হাসপাতালে যখন রোগীর অপারেশন চলে, তখন ডাক্তাররা মুখ ও মাথা ঢেকে রাখে কেন?
২য় জন : অপারেশনে যদি ডাক্তাররা কোন ভুল করে ফেলে তাহলে রোগী যেন তাদের চিনতে না পারে সেজন্য।
একদিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে।
ডাক্তার বললেন, কি রকম?
রোগী বলল, আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি
ডাক্তার বলল, ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো।
রোগী বলল, হারামজাদা, কয়বার খুইল্লা কমু!!!
ডাক্তার রোগীকে ব্যাবস্খাপত্র দিয়ে বললেন -
ডাক্তার : আপনার খাবার সব সময় ঢাকা রাখবেন।
রোগী : কেন ? ঢাকা তো অনেক দূর ! কুমিল্লায় রাখলে চলবে না ?

Jokes: পথ-পথিক
বাজার করে আসার পথে ববের গাড়ি খারাপ হয়ে গেলো। সে গাড়ি থেকে নেমে এল। তার ফার্মটা কাছেই। হেটে যেতে মিনিট দশেক লাগবে। সে আপাতত গাড়িটা ফেলে রেখে চলেই যেতে পারত। পরে মেকানিক নিয়ে এসে ঠিক করা যেত গাড়িটা। কিন্তু সমস্যা হল সাথে কিছু বাজার আছে। একটা বড় হাস, দুইটা মুরগি, একটা বালতি আর চার লিটার রঙের ডিব্বা।
এতগুলা জিনিস কিভাবে নেয়া যায় সে বুঝে উঠতে পারছে না।

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সে এটা নিয়ে ভাবছে, এমন সময় খুব সুন্দর এবং বছর চব্বিশের এক মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল,
-আচ্ছা, ৭৭ নম্বর ফার্মটা কোনদিকে?
-৭৭? আমার বাসার পাশেই। হেটে যেতে বড়জোর দশমিনিট লাগবে। আমিই আপনাকে সাথে নিয়ে যেতাম কিন্তু একটা হাস, দুইটা মুরগি,বালতি আর রঙের কৌটা নিয়ে হাটতে পারছি না।
-এককাজ করেন। রঙের কৌটাটা নেন বালতির ভিতর। মুরগি দুইটা নেন দুই বগলে আর হাসটা নেন আরেক হাতে।

বব তাই করল। চমৎকার কাজ করছে। পথে কথাবার্তায় মেয়ের নাম জানা হল লিসা। সে যাচ্ছে কাজিন জনের বাসায়।


পথের এক জায়গায় বব বলল, এই ওয়ালটার পাশ দিয়ে একটা শর্টকাট -আছে। এখান দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হবে।
লিসা বলল, কিন্তু খুব নির্জন মনে হচ্ছে পথ।
-তাতে কি?
-আপনি একজন যুবক। আমি একজন তরুনী। ধরেন, আপনি যদি নির্জনে আমার সাথে u know what শুরু করতে চান?
-হা হা হা! আমার একহাতে বালতি, যেটার ভিতর রঙের কৌটা, আরেক হাতে হাস। দুই বগলে দুইটা মুরগি। আমি কিভাবে আপনার সাথে জোর করে কিছু করতে পারি?
-ধরেন, আপনি বালতি থেকে রঙের কৌটাটা বের করে সেটা উল্টিয়ে হাসটা রাখলেন। হাসটা যেন না পালাতে পারে সেজন্য রঙের কৌটাটা বালতির ওপর রাখলেন। তাহলেই হল।
-ভুল করছেন। দুইটা মুরগি আছে যে, সেগুলার কি করব শুনি?
একটু হেসে লিসা বলল, মুরগি দুইটা না হয় আমিই ধরে রাখলাম।



Jokes: পাগল
পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি......

যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!

পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি--চিনি, প্রথম - প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !

রোকেয়া হলের সামনে অনেক আগে এক পাগল থাকতো। মেয়েরা যখন হলের সামনে দিয়ে যেত তখন সে তার লুঙ্গীটা একটু তুলে বলতো, আপা দেখবেন?আর মেয়েরা লজ্জা পেয়ে চলে যেত।একদিন এক সাহসীকে মেয়েকে পাগলটি একই কথা বললে, মেয়েটি সাহস করে বলে উঠলো হে দেখবো দেখান কি দেখাবেন, তখন পাগল লজ্জা পেয়ে চলে গেল তারপর থেকে পাগলটি আর রোকেয়া হলের সানে আসেনি।

Jokes: পাঠকের পাঠানো
   একটি  গাভির সামনে দিয়ে একটি বিড়াল হেটে যাচ্ছিল।
গাভি: ইস! যেই না পুচকে ছোড়া, আবার গোফ রেখেছে, শরম করে না?
বিড়াল: এতো বড় ধাড়ী মেয়ে, ব্রেসিয়ার পরে না, শরম করে না?
   ......................
Jokes: পিতা-মাতা-সন্তান
পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।
বাবা : কী কাজ?
পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি।
বাবা : তাই নাকি! কী করে?
পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।

শুধু তোমাকেই শোনাব

ছেলেঃ বাবা, আমাকে তবলা কিনে দাও না, আমি বাজানো শিখব।
বাবাঃ আমি কিনে দিই আর তুমি সবার কান ফাটাও।
ছেলেঃ না বাবা, আমি সারা দিন শুধু তোমাকেই শোনাব।

রেজাল্ট-এর উপহার

বাবা তার ছেলেকে বলছে : তুমি যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করো তাহলে তোমাকে একটা সাইকেল কিনে দেবো।
ছেলে : আর যদি কোন কারনে খারাপ রেজাল্ট করি, তাহলে?
বাবা : সেক্ষেত্রে তোমাকে আমি একটা রিক্সা কিনে দেবো।

একদিন ছেলে বসে পড়ছিল তখন বাবা ছেলের পাসে বসল-
বাবা: তুই সারাদিন এমন চুপ চাপ থাকিস কেন?
ছেলে: কেন বাবা আমিতো কথা বলি।
বাবা: তোকে অযথা এত বকাঝকা করি অথচ কিছু বলিস না। প্রতিবাদ করিস না।
ছেলে: কেন বাবা, আমিতো প্রতিবাদ করি।
বাবা: কই করিস? আমি যে দেখি না।
ছেলে: কেন বাবা তুমি বকা দিলে আমি টয়লেটে যাই।
বাবা: টয়লেটে গেলে কি রাগ কমে? টয়লেটে গিয়ে কি করিস যে রাগ কমে?
ছেলে: টয়লেট ব্রাশ করি।
বাবা: টয়লেট ব্রাশ করলে কি রাগ কমে?
ছেলে: কেন আমি তোমার ব্রাশ (দাঁতের) দিয়ে টয়লেট ব্রাশ করি।

আল্লাহ কালা না

ছেলেঃ হে আল্লাহ, এবারের জন্মদিনে আমাকে একটা ফুটবল উপহার দিও।
মাঃ এভাবে চিৎকার করে কথা বলো না, আল্লাহ কালা না।
ছেলেঃ কিন্তু বাবা যে পাশের ঘরে।

চাঁদ বেশি দূরে, না নিউইয়র্ক

গভীর রাতে বাবার কাছে বই নিয়ে হাজির ছেলে।
বাবা, চাঁদ বেশি দূরে, না নিউইয়র্ক?
তুই অনেক বড় হয়েছিস, সেরিওঝা! বোকার মতো প্রশ্ন করিস কেন? আকাশের দিকে তাকা, তারপর উত্তর দে। কী দেখছিস আকাশে?
চাঁদ।
ঠিক। নিউইয়র্ক কি দেখতে পাচ্ছিস?
না।
তাহলে এবার কী সিদ্ধান্ত নিবি, তা নিয়ে মাথা ঘামা।

বাবা : তোমার জন্য এই নতুন ক্যালেন্ডারটা এনেছি।
ছেলে : না, এটা আমি নেব না।
বাবা : কেন? পছন্দ হয়নি? তাহলে কোনটা নেবে?
ছেলে : যে ক্যালেন্ডারে ছুটির দিন বেশি আছে সেটা নেব।
ছেলে : মা আজ বাসে একদম দুষ্টুমি করিনি। কমলা আর কলার খোসা জানালা দিয়েও ফেলিনি।
মা : তাহলে খোসাগুলো কী করেছ?
ছেলে : পাশের লোকের পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছি।

ছেলে পরীক্ষায় ফেল করেছে দেখে তার বাবা তাকে বকছে।
বাবাঃ হারামজাদা, পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত ফেল করলি। পাশের বাসার মালতীকে দেখ। সব বিষয়ে পাশ করছে।
ছেলেঃ পরীক্ষার সময় তো ওকেই দেখছিলাম, বাবা।



বাবা, মা এবং ছেলে একজায়গায় যাচ্ছে। ছেলেটির মা ছেলেটিকে একটি চকলেট কিনে দিল। ছেলেটি যখন চকলেটটি খেতে গেল তখন চকলেকটি পড়ে গেল।

ছেলেটি চকলেট তুলতে গেলে ছেলেটির মা বলল, পিন্টু, পড়ে যাওয়া জিনিস তুলতে নেই। যাও আরেকটা নিয়ে এসো।পিন্টু দোকানে গিয়ে আরেকটা চকলেট নিয়ে এল।

তারপর হাটতে হাটতে হঠাৎ করে পিন্টুর বাবা পড়ে গেল। পিন্টুর মা বাবাকে তুলতে গেলে পিন্টু মাকে বলল, মা, পড়ে যাওয়া জিনিস তুলতে নেই। যাও আরেকটা নিয়ে এসো।


Jokes: পেম-ভালবাসা-পরকীয়অ
মেয়েটি আমাকে ফোন করে ফিসফিস করে বলল, কেউ বাসায় নেই, ইচ্ছা হলে আসতে পার। আমি পড়িমড়ি করে ছুটে গিয়ে দেখি, আসলেই কেউ নেই বাসায়!



ভ্যালেন্টাইন ডে-তে এক প্রেমিক গেছে রেস্টুরেন্টে। উদ্দেশ্য ঐ রেস্টুরেন্টের সুন্দরী ওয়েট্রেসকে প্রেম নিবেদন করা। সুন্দরী ওয়েট্রেস এগিয়ে এল।
: কি দেব আপনাকে?
:একটা কাটলেট , কফি আর...
:আর?
:আর তোমার মুখ থেকে দাও কোন ভালোবাসার বানী � যা শোনার জন্য আমি যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করছি।
সুন্দরী ওয়েট্রেস অর্ডার নিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষনের মধ্যেই কাটলেট আর কফি তার টেবিলে নামিয়ে রাখল। এবার উদগ্রীব প্রেমিক বাড়িয়ে দিল গলা কিছু শোনার অপেক্ষায়।
:কোন ভা..ভালোবাসার বানী..?
: সুন্দরী ওয়েট্রেস এবার মোহনীয় ভঙ্গিতে মাথা নামিয়ে আনল প্রেমিকটির কানের আছে। তারপর ফিসফিস করে বলল,�কাটলেটটা খেও না। ওটা দুইদিন আগের।�



স্কুলপড়ুয়া নাতনী এসে নানির কাছে জিজ্ঞেস করছে, আচ্ছা নানি, পরকীয়া প্রেম কি?

নানি বসে বসে ঝিমুচ্ছিলেন, প্রায় লাফ দিয়ে উঠলেন। হাঁটা শুরু করলেন। নাতনী পিছু নিল। দোতলার দিকে যাচ্ছে তারা। ধুলো-ময়লা মাকড়সার জালে ভরা জায়গাগুলো। কেউ আসে না সাধারণত। নানি অনেক জোরে হাঁটার চেস্টা করছেন। একটা দেয়াল আলমারির সামনে এসে থামলেন। তালা খুললেন।

একটা কংকাল গড়িয়ে পড়ল।



Jokes: প্রযুক্তি
একজন ফিজিসিস্ট, একজন বায়োলোজিস্ট আর একজন কেমিস্ট জীবনে প্রথমবারের মত সমুদ্র দেখতে গেলেন। যেহেতু তিনজনই জীবনকে উৎসর্গ করেছেন সায়েন্সের জন্য সুতরাং তিনজনই চাইলেন এই সমুদ্র নিয়ে গবেষনা করবেন।

যেমন চিন্তা তেমন কাজ। ফিজিসিস্ট সমুদ্রের বিশাল বিশাল সব ঢেউ মনযোগ দিয়ে দেখতে লাগলেন। ঢেউগুলো সব ভেঙ্গেচুরে এগিয়ে আসছে, তীরে পড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে নিজেই। তার হঠাৎই মনে হল এই ঢেউই তার গবেষনার বস্তু হতে পারে। বিশেষ করে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডায়নামিক্স নিয়ে গবেষনা করলে বিশাল ফল উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে। সুতরাং তিনি রওয়ানা হলেন, ঢেউগুলোকে ভেঙ্গে দিয়ে কিন্তু একসময় নিজেই হারিয়ে গেলেন ঢেউয়ের আড়ালে। ফিরলেন না আর।

বায়োলজিস্ট চিন্তা করলেন তিনি সাগরের তলদেশের লতা..পাতা..গুল্ম নিয়ে গবেষনা করবেন। কে বলবে হয়তো এ থেকেই তিনি বিদ্যুত তৈরীর পন্থা আবিস্কার করে ফেলবেন। সুতরাং তিনিও চললেন। যা হবার তাই হল ... হারিয়ে গেলেন তিনিও। ফিরলেন না।

কেমিস্ট ভদ্রলোক অনেকক্ষন অপেক্ষা করলেন তার বাকী দুই সঙ্গীর প্রত্যাবর্তনের আশায়। কিন্তু আশায় গুড়েবালি। কেউ আসল না। সুতরাং তিনি তার রিসার্চ পেপারে লিখলেন,...

ফিজিসিস্ট এবং বায়োলজিস্ট দুজনেই পানিতে দ্রবনীয়



একবার এক সম্মেলনে, একজন বাংলাদেশী এবং একজন আমেরিকান প্রাচীনকালের প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলছিল, তো কথোপকথনে তারা তাদের নিজ নিজ দেশের অবস্থান আলোচনায় নিয়ে আসেন,

দুজনের মধ্যেই কথা কাটাকাটি চলছে-

বাংলাদেশী: আমরা প্রাচীন কালে প্রযুক্তি বিদ্যায় অনেক অগ্রসর ছিলাম। তোমাদের মতো সাদা চামড়ার মানুষই আমাদের বর্তমান দুর্গতির কারন।

আমেরিকান: তোমরা তখনও মাথামোটা ছিলে এখনও তাই, প্রযুক্তি ট্রযুক্তি কিছু না, তোমাদের স্থুল বুদ্ধিই তোমাদের দুর্গতির কারন। আর চিকন বুদ্ধির কারনেই আমরা তখন আর এখন দুই সময়েই প্রযুক্তিতে উন্নত।

তো যাই হোক, দু�জনেই তাদের নিজ নিজ যুক্তি পোক্ত করার উদ্দেশ্যে, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য তাদের স্বদেশে ফিরে গেলেন ।
কিছুদিন পরে, আমেরিকান লোকটি খনন কাজ শুরু করলো এবং খনন শেষে একটি পুরানো পেঁচানো তার উদ্ধার করলো।
তারপর সে সম্মেলনে ফিরে এসে বর্ণনা করলো- আমেরিকান সভ্যতা প্রাচীন কালেও অনেক অগ্রসর ছিলো কেন না এই তারটি প্রমান করে যে সেই সময়ে আমেরিকার মানুষ টেলিফোন ব্যবহার করতো।
এরপর বাংলাদেশী লোকটি দেশে ফিরে খনন কাজ শুরু করলো।
অনেক খোড়াখুড়ির পরেও লোকটি কিছুই উদ্ধার করতে পারলো না।
তো সম্মেলনে ফিরে লোকটি বর্ণনা করলো, বাংলাদেশের সভ্যতা প্রাচীন কালে বর্তমানের চেয়েও বেশী উন্নত ছিলো। তখন গ্রামে গ্রামে সবাই সেলফোন ব্যবহার করতো কেন না খনন কাজে আমরা কোন টেলিফোন তার পাই নি।।

ছোট্ট এক বাচ্চা স্কুলে যাচ্ছে। পথিমধ্যে এক পরিচিত বয়স্ক লোকের সঙ্গে তার দেখা। তিনি রসিকতা করে ছেলেটিকে উদ্দেশ করে বললেন, বাবু তোমার পোস্ট অফিস তো খোলা।

ছেলেটিও কম যায় না। ঝটপট উত্তর দিল, সেকি আঙ্কেল! আপনি তো দেখি ব্যাক ডেটেড। এই ইন্টারনেটের যুগেও আপনি পোস্ট অফিসের দিকে তাকিয়ে আছেন!


Jokes: প্রেমিক-প্রেমিকা
এক ডেপো ছোকরা একজন কন্যার পিতার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন স্যার প্রেম জিনিসটা কেমন ?
কন্যার পিতাঃ প্রেম হলো স্বর্গীয় জিনিস, এর স্বাদ যে জীবনে পায়নি তাকে ঘৃনা করি।
ছোকরাঃ আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি।

ডন ঘরে ঢুকতেই দেখলো তার স্ত্রী জিমির সাথে শুয়ে আছে | সে জিমিকে বললো, বাস্টার্ড সাহস থাকে তো আয় দুটো পিস্তল নিয়ে ডুয়েল লড়ি | যে জিতবে লিন্ডা তার হবে | বলে জিমিকে নিয়ে পাশের ঘরে চলে গেল | পাশের ঘরে ডুয়েল যাবার সময় জিমি বললো, ডন কেন মিছিমিছি আমাদের মাঝে একজন মরবো, তারচেয়ে বরং দুজনেই মরার ভান করে শুয়ে থাকি, লিন্ডা যাকে নিয়ে কাদঁবে, লিন্ডা তার হবে | বলে দুজনে মটকা মেরে শুয়ে পরল এবং দুটি গুলির আওয়াজ করল | ডনের স্ত্রী ঘরে ঢুকে দেখল দুজনেই মরে পড়ে আছে | সে তখন খাটের তলা থেকে তার আরেক প্রেমিক মাইকেলকে ডেকে বললো মাইকেল চলো এসো, এরা দুজনেই মরেছে, আর কোনো বাঁধা নেই |

আমেরিকার এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ করলো। সময় মত মধ্যরাত্রিতে সে মই বেয়ে প্রেমিকার জানালা পর্যন্ত উঠলো। জানালার কাঁচে টোকা দিল প্রেমিক।
মেয়েটি ভয়ে ভয়ে জানালা খুললো। ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, "তুমি তৈরী?" মেয়েটি বলল, হুশশশ! আমার ভয় করছে, বাবা যদি আমাদের ধরে ফেলেন।
ছেলেটি নির্বিকার ভাবে বলল, তাতে কি? তিনিতো নিচে আমার মই ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।

প্রেমিকাঃ তুমি আমার জন্য তাজা ফুল না এনে প্লাস্টিকের ফুল কেন এনেছ???

প্রেমিকঃতাজা ফুল বেশি সময় তাজা থাকে না | তোমার জন্য নিচে অপেহ্মা করতে করতেই ওই ফুল শুকিয়ে যায় |



এক লোকের গরু হারিয়ে গেছে- কোথাও সে খুজেঁ পাচ্ছেনা,
খুজঁতে খুজঁতে ক্লান্ত হয়ে পার্কের এক কোনায় এসে বিশ্রাম করছে।
পার্কের অপর এক কোণে বসে 'কপত কপতি আলাপ আলোচনায় বিভোর,

কপত কপতিকে বলছে - আমি তোমার চোখে চোখ রাখলে পুরো প‌ৃথিবীটাকেই দেখি।

এমন সময় পাশে বসে থাকা গরু হারানো লোকটি উঠে এসে বলে - আমি আমার গরুটা খুঁজে পাচ্ছিনা, ভাই দয়া করে ওনার চোখে চোখ রেখে খুঁজে দেখে বলুন তো আমার গরুটা কোথায় আছে।



নরক সত্যিই আছে
শোভা� বুঝলি সোমা,আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি অয়নকে বিয়ে করব না।

সোমা� সে-কি-রে,পাঁচ বছর ধরে প্রেম করলি,এখন বিয়ে করবি না কেন?

শোভা� জানিস,অয়ন একেবারে নাস্তিক।

সোমা� ও নাস্তিক তাতে তোর কি,তুই তো আর নাস্তিক নোস।

শোভা� ও নরক আছে বলে বিশ্বাস করে না।ভয়ানক ব্যাপার নয়?

সোমা� ঘাবড়াচ্ছিস কেন,বিয়েটা হতে দে।কয়েকদিনের মধ্যেই বাছাধন বুঝে যাবেযে,নরক সত্যিই আছে



১টি ছেলে ও ১টি মেয়ের মাঝে গভীর প্রেম ছিল। ছেলেটি একবার হাত কেটে রক্ত দিয়ে মেয়েটিকে চিঠি লিখেছিল। কিছুদিন পর তাদের ভালবাসা নষ্ট হল। তো যার কাছে যার দেনা পাওনা ছিল মিটিয়ে নিচ্ছিল।

সব শেষে ছেলেটি বললো আমার রক্ত ফেরত দে, মেয়েটি সাথে সাথে তার সালোয়ারের নিচ থেকে ১টা ন্যাপকিন বের করে ছেলেটির হাতে দিয়ে বললো নে শালা তোর রক্ত কিস্তিতে শোধ দেব!!!



এক নিভৃত কক্ষে প্রেমিক প্রেমিকা। প্রেমিকা তনুশ্রী স্টাইলে জামাকাপড় সব খুলে, বিহ্বল কন্ঠে,
: আমার যা কিছু আছে সব তোমার।
প্রেমিক দারুন অবাক হয়ে,
: তোমার কি মাথা খারাপ? এই সালোয়ার-কামিজ দিয়ে আমি কি করব? আমি পুরুষমানুষ না?



প্রেমিক প্রেমিকার কথোপকথন-
: বলো তো পৃথিবীর প্রথম প্রেমিক প্রেমিকা কে?
: আদম আর ইভ।
: গুড। এবার বলো তো ইভ আদমকে প্রথম কোন কথাটি বলেছিলো?
: এটা বেশ শক্ত।
: ভেরি গুড; এটাও পেরেছ।

প্রেম চলাকালীন সময়ে প্রেমিকা প্রেমিককে বলল, এত জোরে না সোনা , প্লিজ। আমার হার্ট দুর্বল।
প্রেমিক আশ্বস্ত করল, ভয় পেও না, এটা অতদূর যাবে না।

: এইবার ভ্যালেন্টাইনেও দেখলাম একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিস ? তোর একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল যে সে কই?
: আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
: কেন কেন... তোদের তো কঠিন ভালোবাসা ছিল। সুখের ঘরে দুঃখের আগুন লাগাইল কে?
: আর বইলেন না , ও একদিন কাপড় পাল্টানোর সময় আমি দুর্ঘটনাবশত ওর ঘরে ঢুকে পড়ি।এরপরই আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
: কেন তুই সব দেইখা ফেলছিস বইলা?
: আরে না আমি নিজের চোখ ঢেকে ফেলেছিলাম বলে।

: কিরে তোর চশমা ভাঙ্গল কিভাবে?
: আর বলিস না। ওকে চুমু খেতে গিয়েছিলাম।
: কি আশ্চর্য ! চুমু খেলে চশমা ভাঙ্গে নাকি?
: না ইয়ে মানে...ও হঠাৎ দুই উরু দিয়ে চাপ দিল তো...

জরিনার বাবা জরিনার জন্য পাত্র ঠিক করেছে। এদিকে জরিনার সাথে পাভেলের ৫ বছরের অ্যাফেয়ার। এটা বাবাকে জানাতেই জরিনার সুইট বাবা নিমিষেই টিপিক্যালি #বাবা কেন ভিলেন?# টাইপ আচরণ শুরু করল। এটা নিয়ে বাবা মেয়েতে তুমুল ঝগড়া। খাওয়া বন্ধ, মুখ দেখাদেখি বন্ধ ইত্যাদি মোটামুটি শেষ হবার পর অবশেষে তারা একটা ঐক্যমতে পৌছাল। ঠিক হল নদীর অপরপাড় থেকে পাভেল ও বাবার ঠিক করা পাত্র দুজনেই সাঁতার কেটে এপারে আসবে। যে আগে আসতে পারবে জরিনা তারই হবে।
যথাসময়ে প্রতিযোগিতা শুরু হল। শুরুতে দেখা গেল বাবার ঠিক করা পাত্রটি এগিয়ে গেছে। জরিনা তো ভয়ে আধমরা কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পাভেল তাকে ধরে ফেলল। জরিনা খুশিতে হাততালি দিচ্ছে আর চিৎকার করে উৎসাহ দিচ্ছে পাভেলকে। একপর্যায়ে প্রেমিকের শক্তি আরো বাড়ানো এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য একপর্যায়ে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তার সব কাপড়চোপড় খুলে ফেলল।এরপর হঠাৎ করে পাভেলের সাঁতারের গতি বেড়ে গেলেও তা আস্তে আস্তে কমে পাড়ের কাছাকাছি এসে একেবারেই থেমে গেল।বাবার ঠিক করা পাত্রটি জিতে গেল প্রতিযোগিতায়। পরে আনেক কষ্টে পাভেল পাড়ে ওঠার পর জরিনা রেগেমেগে বলল, তোমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এতকিছু করলাম তাও জিততে পারলে না। ছিঃ, কাপুরুষ কোথাকার।
পাভের ও সমান তেজে জবাব দিল সব দোষ তোমার, কে বলেছিল তোমাকে কাপড় খুলতে ? তুমি কাপড় খোলার পরপরইতো আমার প্রাইভেট পার্ট নদীর তলদেশের লতাগুল্মের সাথে আটকে যেতে লাগল।

প্রেমিকাঃ তুমি কি আমায় ভালোবাস?
প্রেমিকঃ বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করো?
প্রেমিকাঃ ধরো তোমার সার্টের পকেটে মাত্র বিশ টাকা আছে, তা থেকে আমি পনের টাকা চাইলাম, তুমি দিতে পারবে?

জরুরি টাকাটায় প্রেমিকা চোখ পরেছে দেখে, বিব্রত প্রেমিক নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, কেনো পারবো না, একশবার পারবো | তবে পরীক্ষা তারিখটা একটু পিছানো যায় না |
প্রেমিক : তোমার প্রেমে পড়ার পর থেকে আমি কিছুই খেতে পারছি না। পরতে পারছি না ,কিছুই করতে পারছি না।
প্রেমিকা : তুমি আমাকে এতই ভালোবাস?
প্রেমিক : না তা নয়। আসলে তোমার পেছনে খরচ করে আমি দেউলিয়া হয়ে গেছি।



ভ্যালেন্টাইনের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ রাত বারটায় প্রেমিক-প্রেমিকার ফোনালাপ-
:বিশ্বাস কর লক্ষিটি আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
আপরপ্রান্তে অবিশ্বাসমাখা কন্ঠে...
:সত্যি বলছো তো? তাহলে বলো তো কে আমি?
:না ইয়ে মানে আননোন নাম্বার থেকে করেছো তো তাই চিনতে পারছি না। তাই বলে আবার রাগ কোরো না প্লিজ তোমার গলা তো আমার যুগ যুগ ধরে চেনা।
এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে
বহুদিন ধরে ছেলে আর মেয়েটি দেখা করছে। সম্পর্ক বেশ অন্তরঙ্গ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু ছেলেটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেই না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বলল, তোমার কি মনে হয় না, আমাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে?
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ছেলেটি বলল, এত কিছুর পর আমাদের কে আর বিয়ে করবে, বলো?



Jokes: বন্ধু-বান্ধব
এক বন্ধু তার আরেক বন্ধুকে বলল,জানিস? আমি না পত্রিকার কাজ করি |
২য় বন্ধু বলল,কি কাজ করিস?? রিপোরটার নাকি ছবি তুলিস?
১ম বন্ধু জবাব দিল,আমি পত্রিকা বিক্রি করি |
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা �.
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস , তুই-ই দৌড়ে পালা !!
কার স্ত্রী কতটা ভালো তা নিয়ে কথা বলছে তিন বন্ধু।
প্রথম বন্ধুঃ আমার তানিয়ার কোনো তুলনা নেই। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল যে বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ একবার আমার প্যান্ট ছিঁড়ে গেল। আমার স্‌ভেতা এমনভাবে তা সেলাই করে দিল, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।
তৃতীয় বন্ধুঃ আমার ল্যুবা আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে, তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।
ক্লাস ফোরের দুইটা ছেলে কথা বলছে
দোস্ত ,গতকাল থেকে আমার খুব মন খারাপ।
কেনো?
মলি ছয়মাস আগে আমাকে গন্ডার বলেছিল। আমার চামড়া নাকি গন্ডারের।
ছয়মাস আগে গন্ডার বলেছে আর তোর গতকাল থেকে মন খারাপ?
হু......... গতকালই যে চিড়িয়াখানায় প্রথম গন্ডার দেখলাম।
বাড়ির ওপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড়
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, কাল রাতে আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ বাড়ির কোনো ক্ষতি হয়েছে?
প্রথম বন্ধুঃ বুঝব কীভাবে? বাড়ি তো ঝড়ে উড়ে গেছে।



রহিম বাজারে যাচ্ছে , তো যাওয়ার পথে তার বন্ধু করিমের সাথে দেখা , করিম -দোস্ত কই যাস
রহিম - কলা গাছিয়া
শুনে করিম বলে দোস্ত মনে কিছু নেসনা
- তো তর পিছন দিয়া দিলাম ফলা চাচিয়া
সেদিন রহিম কিছু না বলে চলে যায়।
পরের সপ্তাহে করিম নবাবপুর যাওয়ার পথে রহিমের সাথে দেখা
রহিম- দোস্ত কই যাস
করিম-নবাবপুর
রহিম- তয় দোস্ত তোমার পিছন দিয়া দিলাম বাশটা
করিম- মিললোনা দোস্ত
রহিম- না মিলুক, দিলাম তো মোটা টা।

� কি রে বন্ধু কেমন আছিস?
� ভালো না দোস্ত! সামিয়া আমার জীবনটা বরবাদ করে দিয়েছে!
�আমারটাও রে বন্ধু।
� বলিস কি! তোকেও.. !
� হ্যাঁ, ওর সাথেই আমার বিয়ে হয়েছে কিনা।

১ম বন্ধু : তোকে যে পাখিটা দিয়েছিলাম সেটা কেমন?
২য় বন্ধু : হেভি টেস্টি।
১ম বন্ধু : বলিস কি, তুই ওটা খেয়ে ফেলেছিস? জানিস পাখিটা সাতটা ভাষায় কথা বলতে পারত?
২য় বন্ধু : তাই নাকি। কই জবাই করার সময় তো কিছু বলল না।



এক বন্ধুর সাথে আরেক বন্ধুর বহুদিন পরে দেখা।

প্রথম বলল: কিরে। কেমন আছিস? বিয়ে থা করেছিস?

দ্বিতীয় বন্ধু জবাবে বলল: "বিয়ে করেছি মানে? উপরওয়ালার দয়ায় চারচারটা ছেলে।"

প্রথম বন্ধু: "তোর উপর তলায় কে থাকেরে?"

স্ত্রী তার বান্ধবীর উদ্দেশ্যেঃ

স্ত্রীঃ জানিস, আমি আমার স্বামীকে আজও তেমনি ভালবাসি যেমন ভালবাসতাম আমাদের বিয়ের প্রথম দিন থেকে।

বান্ধবীঃ তাই? কিন্তু তোকে যে একটু আগেই দেখলাম ওর সাথে ঝগড়া করছিস।

স্ত্রীঃ সেটা তো আমরা বিয়ের প্রথম দিনও করেছিলাম!

Jokes: বিচারক-আসামী
ভাড়াটে স্বাক্ষীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
চুরির মামলা।
বিবাদী পক্ষের জাঁদরেল উকিল জানতে চাইলেনঃ তুমি কি চুরি হতে দেখেছো?
‌--দেখেছি মানে, আমার সামনেই তো চুরি হলো।

‌‌-- তা সেটা কতো বড়ো ছিলো?

থতমত খেলো ভাড়াটে স্বাক্ষী, কি চুরি হয়েছে, তা জানা হয়নি। তবে সে পেশাদার। তাই ভড়কে না গিয়ে বাম হাতটা উঁচু
করে ধরলো।
উকিল রেগে গিয়ে বললেন--চুরি হয়েছে দেশী ছাগল আর তুমি দেখাচ্ছো অস্ট্রেলিয়ান গরুর সাইজ।
ভাড়াটে স্বাক্ষী হেসে বললো--সবে তো একটা হাত তুলেছি, এখন অন্য হাতটা কোথায় রাখি দেখুন, তবে তো বুঝবেন।



বিচারকঃ আপনার পেশা কী?

আসামিঃ জি, আমি তালা এক্সপার্ট।

বিচারকঃ তালা এক্সপার্ট! আপনার কাজ তো দিনে থাকার কথা। কিন্তু রাত দুটোয় আপনি সোনার দোকানে কী করছিলেন?

আসামিঃ ওদের গেটের তালাটা ঠিক আছে কিনা পরখ করে দেখছিলাম!
বিচারক ও আসামীর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে।

বিচারকঃ তুমি জান মিথ্যে বললে কী হবে?

আসামীঃ আজ্ঞে হুজুর, নরকে যাব।

বিচারকঃ সাবাস! আর সত্য বললে?

আসামীঃ মামলায় হেরে যাব।



বিচারক : একমাত্র আজে বাজে নেশার কারণেই আজ তোমার এই দশা !
অভিযুক্ত : ধন্যবাদ হুজুর। একমাত্র আপনিই আমার কোন দোষ দিলেন না।

Jokes: বিদেশী জোকস
একশহরে দুই জমজ ভাই ছিল। বব আর জন। বব বিয়ে করেছিল লিসা নামের একটা মেয়েকে। কাকতালীয়ভাবে লিসা নামে জনের একটা ফিসিং বোটও ছিল। আরো কাকতালীয়ভাবে ববের বউ লিসা যেদিন মারা যায় ঠিক সেইদিন জনের নৌকাও ডুবে যায়।

কয়েকদিন পর, শহরের এক বৃদ্ধা মহিলা জনের সাথে দেখা হলো। জন তার নৌকা লিসাকে হারিয়ে খুব একটা দুঃখ পায় নাই। এদিকে মহিলা ভেবেছে এইটা বব। ববের বউ মরায় সে নিশ্চয় কষ্টে আছে।
মহিলা বলল �আহা! কিরে পোলা, লিসার জন্য কষ্ট হয় রে?�
জন বলল, তেমন একটা হয় না।
কি বলিস ছোকরা!
আরে বলবেন না, যেদিন থেকে লিসা আমার হলো- সেদিনই আমি টের পেলাম আসলে লিসা বেশ খারাপ মাল। তার নিচটা বেশ ময়লা- পচা মাছের গন্ধ পেতাম। যেদিন আমি প্রথম তার ওপর উঠলাম- সে ছ্যাড়ছ্যাড় করে পানি ছেড়ে দিল। আমার মনের অবস্থাটা বুঝেন! তার পিছন দিকে তাকালে পরিষ্কারভাবেই একটা খাজ দেখা যেত। আর সামনের দিকের ছিদ্রটা যত দিন যেতে লাগল ততই বড় হতে লাগছিল। তবু তাকে দিয়ে আমার কাজ চলে যাচ্ছিল। কিন্তু শহরের চার যুবক এসে তার জীবন শেষ করে দিল। এই চাইর বদমাশ আসছিল একটু ভালো সময় কাটানোর জন্য। শহরে ভালো কিছু না পেয়ে এরা লিসাকেই পছন্দ করে ফেলল।আমি ত লিসাকে ভাড়া দিতে রাজি না। হাজার হোক লিসা আমার। কিন্তু হারামজাদাগুলা লিসার জন্য আমাকে টাকা সাধতে শুরু করল। আমি জানি লিসার ক্ষমতা নাই একসাথে চারজনকে নেয়ার- কিন্তু ওরা টাকা দিয়ে আমাকে রাজি করিয়ে ফেলল।


একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে জন বলল, ওরা চারজন একসাথে লিসার ওপর চড়ে বসতেই লিসা শেষ বারের মত পানি ছেড়ে দিয়ে ...... শেষ হয়ে গেলো।
জনের কথা শেষ হতেই বুড়ি মাথা ঘুরে পড়ে গেলো।
ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের মরুভুমিতে একটা দুর্গ। সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু করছে হম্বি-তম্বি। এরে ধমকায় ত ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই। চোর-বাটপার সব কয়টা। প্রথম দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময় সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের জন্য? একজন কাচুমাচুভাবে বলল " আমরা তিন-চার মাস একটানা দুর্গে থাকি। এইখানে কোনো মেয়ে নাই। সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ করলে এই উট ব্যাবহার করে। " সেনাপতি ত bloody indian দের কথা শুনে থ। শুয়োরের বাচ্চারা উটকে কামে লাগায়...ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ হারামজাদা উট ব্যাবহার করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে। যাই হোক তার কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম-শৃংখলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা। সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির একা একা লাগা শুরু করল। শালার একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন সকালে সে হুকুম দিলো, শুয়োরের বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার তাবুতে। কিছুক্ষন ধস্তা-ধস্তি হল। উটের চিৎকার শুনা গেল। এরপর সেনাপতি প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল। বড় বড় চোখ করে bloody indian গুলো তাকিয়ে আছে। এদের দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল
খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই ব্যাবহার করিস?
না হুজুর। আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক দুরের একটা শহরে যাই।

মহারানী ক্লিওপেট্রার করোটি
মিসরের একটি পুরোন জিনিসের দোকানে এক পর্যটক ঢুকলেন। দোকানদার এগিয়ে এসে তাঁকে নানান জিনিস দেখাতে লাগল। সামনের একটি শো-কেসে একটি নর করোটি দেখতে পেয়ে পর্যটক জিঞ্জেস করলেন ,এই করোটি কার?এটি মহারানী ক্লিওপেট্রার,সবিনয়ে জানালো দোকানদার । কিছুক্ষন বাদে ঘুরতে-ঘুরতে আর একটি খুলি চোখে পড়ল পর্যটকের। আগেরটির চেযে এই করোটি আকারে সামান্য ছোট। পর্যটক জিঞ্জেস করলেন , এই করোটি কার?দোকান দার বলল এটি মহারানী ক্লিওপেট্রার হুজুর তবে এটা তাঁর ছোটবেলার করোটি।
এক সৈন্য ছুটতে ছুটতে এসে হাজির এক নানের কাছে।

�সিস্টার, আমাকে খুঁজছে এক দুষ্ট পুলিশ। আমাকে বাঁচান!� বললো সে।

�ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন, বাছা! তা আমি কিভাবে তোমাকে সাহায্য করতে পারি?� খোনা গলায় বললেন নান।

�আমি কি আপনার এই ঢোলা আলখাল্লার নিচে লুকাতে পারি?� জানতে চাইলো সৈন্য।

�নিশ্চয়ই।� সায় দিলেন নান। সৈন্য হামাগুড়ি দিয়ে তাঁর আলখাল্লার নিচে ঢুকে পড়লো।

খানিকক্ষণ বাদেই এক পুলিশ ছুটতে ছুটতে এসে হাজির।

�সিস্টার, এদিক দিয়ে কোন সৈন্যকে যেতে দেখেছেন?�

�হ্যাঁ বাছা। সে তো ওদিকে চলে গেলো ছুটতে ছুটতে।�

পুলিশ ধন্যবাদ জানিয়ে নানের দেখানো দিকে ছুটতে ছুটতে চলে গেলো।

আলখাল্লার নিচ থেকে বেরিয়ে সৈন্য বললো, �সিস্টার, আপনি আমাকে বাঁচালেন। আমি যুদ্ধে যেতে চাই না, কিন্তু ব্যাটারা আমাকে জোর করে পাঠাবেই!�

নান বললেন, �ঠিক আছে বাছা, ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।�

সৈন্য বললো, �ইয়ে, সিস্টার, একটা কথা আপনাকে বলা দরকার। আলখাল্লার নিচে বসে দেখলাম কি না। দারুণ একজোড়া ঊরু আপনার!�

নান বললেন, �বাছা, আরেকটু ওপরে খেয়াল করলে দারুণ একজোড়া অন্ডকোষও দেখতে পেতে। আমিও যুদ্ধে যেতে চাই না �।�
ভন্ডুল এক মেয়ের সাথে পরিচিত হইছে। অনেকদিন ফস্টিনস্টি করছে। এরপর একদিন রাতে তারা you know what করছে।
কাজ শেষে ভন্ডুল তৃপ্তির জন্য সিগারেট বের করছে পকেট থেকে। অন্ধকারে লাইটার খুজে পায় না। সো মেয়েটারে জিজ্ঞেস করে ম্যাচ আছে?
- উপরের ড্রয়ারে দেখ।
ভন্ডুল উপরের ড্রয়ার খুলছে। এক বাকস ম্যাচ। ম্যাচ বাক্সের পাশেই একটা যুবকের ছবি। ভন্ডুল ভয় খাইছে। নোকিয়া করতাছি নাকি?
মেয়েটারে জিজ্ঞেস করে, তোমার জামাইয়ের ছবি?
-নাহ।
ভন্ডুলের নিঃশ্বাস বের হয়। ভন্ডুল একটু হাসে। মেয়েটা উঠে এসে ভন্ডুলের কোমড় জড়িয়ে ধরে। ভন্ডুল সিগারেট ফুকতে ফুকতে বলে
তোমার বয় ফ্রেন্ডের ছবি?
মেয়েটা হাসে। ভন্ডুলের কানের লতিতে ছোট্ট একটা কামড় দিয়ে বলে, আরে এটা আমি! অপারেশনের আগে।
জন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। এক পিচ্চি তাকে প্রশ্ন করল - কয়টা বাজে?
পৌনে তিনটা
তিনটা বাজলে আমার পাছায় একটা চুমো দিও।
এই কথা বলেই পিচ্চি দিয়েছে দৌড়। জন রেগে গিয়ে তার পিছে পিছে দৌড়াচ্ছে।

পথে ববের সাথে ধাক্কা খেল।
বব- কিরে দোস্ত, দৌড়াস কেন?
- আরে হালার পিচ্চি কয় তিনটা বাজলে ওর পাছায় চুমু খেতে...
- এই জন্য দৌড়াচ্ছিস!! এত তাড়াহুড়া কিসের শুনি ???? তিনটা বাজতে এখনো দশ মিনিট বাকি।

একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের খুব ইচ্ছে হল রাজধানীর রাস্তায় একাকী ঘুরে বেড়াবেন। তাই পরদিন খুব ভোরে নিরাপত্তারক্ষীর পোশাক পরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন তিনি। সারাদিন রাজধানীর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অবশেষে ক্লান্ত হয়ে রাস্তায় বসে পড়লেন প্রেসিডেন্ট। ভাবলেন এবার ফেরা দরকার। কিন্তু এতদূর থেকে হেঁটে বাসভবনে ফেরা সম্ভব না। তাই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর একটি ট্যাক্সি এসে তার সামনে দাঁড়াল। প্রেসিডেন্ট দরজা খুলে আসনে বসতেই ট্যাক্সি চলতে শুরু করল। কিন্তু প্রেসিডেন্টের আজ ইচ্ছে পূরণের দিন। তাই তার খুব ইচ্ছে হল গাড়ি চালানোর। এদিকে যতই ছদ্মবেশে থাকুন না কেন, ট্যাক্সিচালক প্রেসিডেন্টকে চিনে ফেললেন। তাই প্রেসিডেন্ট যখন গাড়ি চালানোর কথা জানালেন, চালক কথা না বাড়িয়ে হুইল ছেড়ে দিয়ে পেছনের আসনে গিয়ে বসলেন। চালকের আসনে বসে প্রেসিডেন্ট তার বাসভবনের দিকে গাড়ি চালাতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে গাড়ির গতি বাড়তে লাগল। প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছাকাছি আসার পর প্রেসিডেন্ট তার ছদ্মবেশ খুলে ফেললেন। আরও কিছুদূর যাওয়ার পর এক ট্রাফিক সার্জেন্ট অবাক বিস্ময়ে ঘটনাটি দেখলেন এবং সদর দফতরে ফোন করলেন।
হ্যালো, হেডকোয়ার্টারঃ
হ্যালোঃগতিসীমা অতিক্রম করে একটি ট্যাক্সি প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে যাচ্ছে।
�তাই নাকি? তাহলে গাড়িটাকে থামাচ্ছ না কেন?�
�না স্যার, ভেতরে যে ছিল সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।�
খুবই গুরুত্বপূর্ণ! কে সে? মেয়র নাকি?�
�না, মেয়রের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।�
�তাহলে কে তিনি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!!�
�না না তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ কেউ। একেবারে টপ লেভেল ভিভিআইপি।�
�তাহলে কি তিনি মি. প্রেসিডেন্ট।�
�তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি!�
এবার অপর প্রান্তে বেশ কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতার পর প্রশ্ন এল �তুমি কি আমার সঙ্গে ফাজলামো করছ? প্রেসিডেন্টের চাইতে গুর�ত্বপূর্ণ আবার কে?�
ট্রাফিক সার্জেন্ট বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিল, �না আমি ফাজলামো করছি না। আর আমি তার পরিচয়টাও জানি না। তবে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, তিনি প্রেসিডেন্টের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রেসিডেন্ট নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাকে নিয়ে যাচ্ছেন।



দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথোন :
-- শ্রম শিবির নাকি দারুন জায়গা ? লোকজন নাকি খুব ভালো থাকে সেখানে ?
-- মনে হয় তা-ই ।কারন আমার এক পরিচিত ব্যক্তি এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ।তাই তাকে স্বচক্ষে সেখানকার ব্যাপার স্যাপার দেখানোর জন্য কেজিবি নিয়ে গিয়েছিল। সেই যে গেছে, আজও সে ফেরেনি ।মনে হয় খুব পছন্দ হয়েছে শ্রম শিবির ।

কেজিবির এক কর্মীর সঙ্গে দেখা তার প্রতিবেশীর ।
-- শুভ সন্ধ্যা, বলল প্রতিবেশী
-- সন্ধ্যা মানে ? এই ভর দুপুরে বলছেন শুভ সন্ধ্যা !
-- খুবই দুঃখিত ।কিন্তু কি করব বলুন ? আপনাকে দেখলেই আমার চারপাশে সব কেমন অন্ধকার হয়ে যায় ।

মস্কো শহরে ট্রামের জন্য অপেক্ষমান দুই ব্যক্তির মধ্যে হাল্কা কথাবার্তা চলছে ।এক জন বলল,
-- পাউডার ও সরকারের মধ্যে তফাত কি বলতে পারেন?
-- না
-- পাউডার মুখে মাখে, আর সরকারকে কেউ কোথাও ঠেকাতে চায় না ।
ট্রাম এসে পড়ল ।এবার প্রশ্ন করল দ্বিতীয় ব্যক্তি,
-- ট্রাম এবং আপনার মধ্যে পার্থক্য কি বলতে পারেন ?
-- না
-- ট্রাম এখন চলে যাবে নিজের পথে, আর আপনি যাবেন আমার সঙ্গে কেজিবির অফিসে ।
-- কিন্তু আমি তো সরকার বলতে আমেরিকান সরকারকে বোঝাতে চেয়েছি ।
-- বাজে কথা রাখুন ।যে সরকারকে কোথাও ঠেকাতে ইচ্ছে হয় না তা নির্ঘাৎ আমাদেরটা ।


Jokes: বিয়ে-শাদী
১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার �পা� ছিল!



বিয়ে

জাদরেল উকিল -আপনি বিয়ে করেছেন তো
-আজ্ঞে হ্যা করেছি ।
-কাকে বিয়ে করছেন ?
- এক�একজন মেয়েকে
- রাবিস সেটাও বলতে হয়। কখনো শুনেছো কেউ কোন ছেলেকে বিয়ে করেছে শুনেছো?
- আজ্ঞে হ্যা আমার বোন করেছে ।



প্রস্তাবে রাজী আছেন কিনা

এক ছেলে, তার প্রিয়তমার বাবার কাছে প্রস্তাব দিলো যে সে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। মেয়েটার বাবা জিজ্ঞেস করলো,
: আচ্ছা তুমি কি মদ খাও? জুয়া খেলো?
: আংকেল, ওসব পরে হবে, আগে বলুন আপনি প্রস্তাবে রাজী আছেন কিনা!



প্রতিবেশীদের সাথে মামলা

মেয়ের বাবা: এই মাত্র মেয়েটার যে গান শুনলেন, সেজন্য আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।
পাত্রপক্ষ: প্রতিবেশীদের সাথে মামলা লড়তে হয়েছে বুঝি!



পারফেক্ট মেয়ের খোঁজ

চল্লিশ বছর পার হয়ে গেছে তবু বিয়ে করেনি এক লোক। একদিন একজন এর কারণ জিজ্ঞেস করল।
লোকটি বলল, সারা জীবন আমি একটা পারফেক্ট মেয়ের খোঁজ করছিলাম।
তা একটিও পান নি?
পেয়েছিলাম একটি, কিন্তু সে আবার একটা পারফেক্ট ছেলের অপেক্ষায় ছিল।



জীবনেও বিয়ে করব না

জজ সাহেবঃ যখন এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল তখন কি তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে?
সাক্ষীঃ জী হ্যাঁ।
জজ সাহেবঃ তোমার এই ঝগড়া থেকে কি ধারনা হলো?
সাক্ষীঃ হুজুর আমি জীবনেও বিয়ে করব না ।



জানি বলেই তো বিয়ে করি নাই

এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলল, তুমি মেয়েদের ব্যাপারে কিভাবে জানবে? তুমি তো বিয়েই কর নাই।
২য় বন্ধুর উত্তর, কি যে বল! মেয়েদের ব্যাপারে জানি বলেই তো বিয়ে করি নাই।



কোন গাধাই বিয়ে করবেনা

প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।

মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।



Jokes: ব্যবসা-বানিজ্য
ব্যাঙ্কে বেশ বড় একটা লাইন। ডেস্কে বসে যে মেয়েটা টাকা ও চেক জমা নিচ্ছে সে কানে হেডফোন লাগিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। ফাকে ফাকে কাজ করছে। লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছে সবাই বিরক্ত।

একজনকে দেখে মনে হল তার বিরক্তির সীমা নাই। একটু পরপর বলছে, আর কত দাঁড়িয়ে থাকব? ভালো লাগেনা।

এক পর্যায়ে তার ধৈর্যচ্যুতি হল। সে লাইন ভেঙ্গে সবার সামনে এসে মেয়েটাকে বলল, তাড়াতাড়ি করেন। আমি সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না।
মেয়েটা হেডফোন সরিয়ে বলল, লাইন ধরেন।
-বালের লাইন ধরব আমি।
-বাজে কথা বলবেন না।
- মাগী তুই আমার চেক নিবি কিনা সেটা বল।
-খবরদার। আপনি বাজে ভাষা ব্যবহার করছেন। আমি ম্যানেজারকে ডাকতে বাধ্য হব।
-কুত্তী! যা তোর ম্যানেজারকে ডাক।
মেয়েটা ম্যানেজারকে ঠিকই ডেকে আনল। ম্যানেজার এসেই বলল, খারাপ ভাষায় কথা বলছেন কেনো? এইখানে সবাই সম্ভ্রান্ত লোক। আজেবাজে লোকদের এই ব্যাঙ্কে কোন কাজ থাকে না। এখন বলুন আপনার সমস্যা কি?
-আমি দশ কোটি টাকার এই চেকটা জমা দিতে এসে গত দেড় ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।
ম্যানেজার চেকটা হাতে নিল। টাকার অঙ্ক দেখল। ছোট্ট একটা শিস দিল। এরপর বলল, আপনি চেক নিয়ে এসেছেন, আর এই মাগী আপনার চেক জমা নিচ্ছে না?


Jokes: ভিক্ষুক
ফকির - বাবা আমারে ১০টা টাকা দেন চা খাব।
ভদ্রলোক - চা খেতে তো ৫টাকা লাগে, তুমি ১০ টাকা চাচ্চ কেন?
ফকির - গার্ল ফ্রেন্ড-রে নিয়া খামু।
ভদ্রলোক - ফকির হইয়াও গার্ল ফ্রেন্ড বানাইয়া ফেলছ।
ফকির - না গার্ল ফ্রেন্ড-ই আমারে ফকির বানাইছে।



Jokes: মাতাল
এক রাতে দুই মাতাল ফাঁকা রাস্টা দিয়ে হাঁটছিল। কিছুদহৃর যাওয়ার পর

প্রথম মাতাল : ওই যে বিল্ডিংটা দেখছিস, ওটা আমার। চল ওটাকে দু�জনে ঠেলে আমাদের বাড়ির কাছে নিয়ে যাই।

এরপর গায়ের শার্ট খুলে রেখে দু�জনে বিল্ডিংটাকে ঠেলতে লাগল। পেছন থেকে এক চোর তাদের শার্ট নিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর�

�ি^তীয় মাতাল : বিল্ডিংটাকে আমরা অনেকদহৃর ঠেলে নিয়ে এসেছি।

প্রথম মাতাল : কী করে বুঝলি?

ি^তীয় মাতাল : দেখ্ না, আমাদের খুলে রাখা শার্ট কি আর দেখা যাচ্ছে?



এক বাংলাদেশী আর এক আমেরিকান বারে বসে একটার পর একটা মাল খেয়ে যাচ্ছে আর গল্প করছে। বাংলাদেশী বলল, জানিস আমার বাবা-মা আমার জন্যে গ্রামের একটা মেয়েকে ঠিক করেছে। একে বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আমি কখনও তাকে দেখিনি। আমি এমন কাউকে বিয়ে করতে চাইনা যাকে আমি ভালবাসি না। আমি খোলাখুলি তাদের এসব বলে দিয়েছি, এখন ভয়াবহ ফ্যামিলি প্রব্লেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

আমেরিকান বলল, লাভ ম্যারেজের কথা বলছ। আমার গল্প বলছি, আমি এক বিধবাকে বিয়ে করেছি, যাকে আমি প্রচন্ড ভালবাসি এবং তিনবছর ডেট করেছি তার সাথে। কয়েকবছর পরে আমার বাবা আমার স্টেপ-ডটারের প্রেমে পড়ে, তাই আমার বাবা হল আমার সন-ইন-ল, আমি হলাম আমার বাবার শ্বসুর। আমার মেয়ে হল আমার মা, বউ দাদী।

সমস্যা আরও বাড়ল যখন আমার একটা ছেলে হল। আমার ছেলে হল আমার বাবার ভাই তাই আমার চাচা। আরও গুরুতর হল যখন আমার বাবার আরেকটি ছেলে হল। এখন আমার বাবার ছেলে মানে আমার ভাই হল গিয়ে আমার নাতি।

শেষ পর্যন্ত আমি নিজে আমার দাদা এবং নিজের নাতি হলাম। আর তুমি বলতেছ ফ্যামিলি প্রবলেম !!



এক মাতাল দুতলা থেকে জানালা দিয়ে পেশাব করছে | তখন আরেক মাতাল বলছে, আরে তোর পেশাব বেয়ে তো চোর উঠে যাবে ?

এ কথা শুনে প্রথম মাতাল বলল, আমি কি তোর মতো বলদ নাকি, আমি ছেড়ে ছেড়ে করছি যাতে চোর উঠে আর পড়ে যায় |



এক বাংলাদেশী আর এক আমেরিকান বারে বসে একটার পর একটা মাল খেয়ে যাচ্ছে আর গল্প করছে। বাংলাদেশী বলল, জানিস আমার বাবা-মা আমার জন্যে গ্রামের একটা মেয়েকে ঠিক করেছে। একে বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আমি কখনও তাকে দেখিনি। আমি এমন কাউকে বিয়ে করতে চাইনা যাকে আমি ভালবাসি না। আমি খোলাখুলি তাদের এসব বলে দিয়েছি, এখন ভয়াবহ ফ্যামিলি প্রব্লেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

আমেরিকান বলল, লাভ ম্যারেজের কথা বলছ। আমার গল্প বলছি, আমি এক বিধবাকে বিয়ে করেছি, যাকে আমি প্রচন্ড ভালবাসি এবং তিনবছর ডেট করেছি তার সাথে। কয়েকবছর পরে আমার বাবা আমার স্টেপ-ডটারের প্রেমে পড়ে, তাই আমার বাবা হল আমার সন-ইন-ল, আমি হলাম আমার বাবার শ্বসুর। আমার মেয়ে হল আমার মা, বউ দাদী।

সমস্যা আরও বাড়ল যখন আমার একটা ছেলে হল। আমার ছেলে হল আমার বাবার ভাই তাই আমার চাচা। আরও গুরুতর হল যখন আমার বাবার আরেকটি ছেলে হল। এখন আমার বাবার ছেলে মানে আমার ভাই হল গিয়ে আমার নাতি।

শেষ পর্যন্ত আমি নিজে আমার দাদা এবং নিজের নাতি হলাম। আর তুমি বলতেছ ফ্যামিলি প্রবলেম !!



দুই মাতাল রাতে বাড়ি ফিরছিল। এক জনের হাতে একটা টর্চলাইট। সে টর্চের আলো আকাশের দিকে ফেলে বলল,

প্রথম মাতালঃ এই আলোটা বেয়ে আকাশে উঠতে পারবি?

দ্বিতীয় মাতালঃ অবশ্যই পারব, কিন্তু উঠবো না।

প্রথম মাতালঃ কেন?

দ্বিতীয় মাতালঃ আমি আলো বেয়ে উঠে গেলে তো তুই টর্চটা নিভিয়ে দিবি। তখন উপর থেকে পড়ে কোমরটা ভাঙ্গি আর কি!



মাতাল : (টলতে টলতে এক ভদ্রলোকের সামনে গিয়ে) এ্যাঁই, আমাকে একটা ট্যাক্সি ডেকে দাও।

ভদ্রলোক : আমি দারোয়ান নই। একজন পাইলট!

মাতাল : বেশ, তবে একটা প্লেনই ডেকে দাও!



দুই মাতাল রাতে বাসায় ফিরছে। হঠাত একজন ডানহাত মুঠো করে ধরে পাশের জনকে দেখিয়ে বলে, "ক তো দেহি আমার হাতের মুডায় কি আছে?"

২য় জন টলতে টলতে বলল, "রেলগাড়ী।"

১ম জন চমকে গেল। হাতের মুঠো ভাল করে চেক করে ২য় জনকে বলল, "খেলমুনা, তুই দেখছস।"



দুই মাতাল রাস্তা দিয়া হাইটা যাইতাছে।
প্রথম মাতালঃ ওই, তুই আর বেশি গিলিস না।
দ্বিতীয় মাতালঃ কেন? কি অইচে?
প্রথম মাতালঃ তোরে অহন ঝাপসা দেকতাচি। বেশি গিললে উধাও অইয়া যাইবি।

Jokes: রকমারী
প্রশ্ন: চাঁদে একজন রাজাকার | এর মানে কী?
উত্তর: সমস্যা |
প্রশ্ন: চাঁদে দু�জন রাজাকার |এর মানে কী?
উত্তর: মহা সমস্যা |
প্রশ্ন: গোটা রাজাকার সমাজ চাঁদে | এর মানে কী?
উত্তর: পৃথিবীতে সমস্যার সমাধান!



আল্লাহ তায়ালা গাধাকে সৃষ্টি করার পর বলেন, "তুমি সারাদিন বোঝা বইবে, খাঁটবে। আর তোমার আয়ু হবে ৫০ বছর। তুমি কি রাজি?"
গাধা বলে, "আমি সারাদিন খাঁটতে রাজি কিন্তু এতো আয়ু আমি চাইনা, আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করলে ভালো হয়।"
আল্লাহ গাধার আয়ু ৩০ বছর কমিয়ে ২০ বছর করলেন

আল্লাহ তায়ালা এবার কুকুরকে সৃষ্টি করে বললেন, "তুমি সারাদিন মানুষের সাথে থাকবে আর মানুষের উচ্ছিষ্ট্যগুলো খাবে। তোমার আয়ু হবে ৩০ বছর। তুমি কি রাজি?"
কুকুর বলল, "এতো আয়ু আমি নিতে পারবো না, আমাকে আয়ু কমিয়ে ১৫ বছর করলে ভালো হয়।"
আল্লাহ কুকুরের আয়ু কমিয়ে দিলেন ১৫ বছর।

এবার আল্লাহ বানরকে সৃষ্টি করার পর বলেন, "তুমি সারাদিন গাছের এ'ডাল থেকে ও'ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াবে আর মানুষকে আনন্দ দেবে। তোমার আয়ু হবে ২০ বছর। তুমি কি রাজি?"
বানর বলল, "আমার আয়ু কমিয়ে ১০ বছর করে দিলে ভালো হয়।"
আল্লাহ তায়ালা বানরের আয়ু ১০ বছর কমিয়ে দিলেন।

এবার পালা পুরুষ মানুষের। আল্লাহ তায়ালা পুরুষ মানুষকে সৃষ্টি করে বলেন, "তুমিই হলো সৃষ্টির সেরা জীব। এবং তোমার আয়ু দেয়া হলো ২০ বছর। তুমি কি রাজি?"
পুরুষ মানুষ বলে, "হে সৃষ্টিকর্তা! আমার জন্য ২০ বছর খুব কম হয়ে যায়। আমাকে সেই সব আয়ু দেয়া হোক যা অন্য প্রাণীরা চায় নাই।"
আল্লাহ তায়ালা তার কথায় রাজি হলেন এবং তাকে তার ২০ বছরের সাথে গাধার কমিয়ে দেয়া ৩০ বছর, কুকুরের কমিয়ে দেয়া ১৫ বছর এবং বানেরর ১০ বছর দিয়ে দেয়া হলো। তাতে পুরুষ মানুষটির মোট আয়ু দাড়ালো ৭৫ বছর।

আর তারপর থেকেই পুরুষ মানুষ জন্মের প্রথম ২০ বছর কোনমতে ভালোভাবে কাটায়, পরের ৩০ বছর সংসারের বোঝা বয় এবং গাধার মত খাঁটে, তারপরের মাঝের ১৫ বছর এটা-সেটা খায়, অন্যের মর্জিতে চলে আর একদম শেষের ১০ বছর যখন বৃদ্ধ হয়ে যায়, তখন সে তার এছেলের বাড়ি, ও'মেয়ের বাড়ি ঘুড়ে ঘুড়ে কাঁটায় আর তার নাতি-নাতনিদের আনন্দ দেবার চেষ্টা করে।



ছোটোকাকাঃ এই জয়, সকাল ৮টা বেজে গেছে এখনো ঘুমাচ্ছিস?
জয়ঃ ঘুমাচ্ছিনা না তো।
ছোটোকাকাঃ তবে কি করছিস?
জয়ঃ সারা রাত ঘুমিয়েছি তো, তাই বড্ড ক্লান্ত হয়ে পরেছি । একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।

কোনো মহিলা যখন গলার স্বর নামিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তিনি কিছু চাইছেন ।
আর যখন গলা চড়া করে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তিনি যা চেয়েছিলেন তা পান নি ।

অনেকেই বলেন যে মেয়েদের বোঝা কষ্ট কর। কিন্তু আমি একটু অন্য ভাবে বলি। আমি বলি সৃষ্টিকর্তাকে বোঝা সত্যই দুষ্কার, কারণ তিনি মেয়ে মানুষের মত সুন্দর জিনিষের মধ্যে জিলাপির প‌্যাচের থেকেও জটিল সব প‌্যাচ দিয়া দিছেন এবং সর্বশেষে তিনি তাদেরকে বউ বানিয়ে দেন।

মিলিঃ বেলির পশু প্রীতি আজকাল বেড়ে গেছে |
লিলিঃ কিভাবে?
মিলিঃ প্রতি সপ্তাহে দুইবার সে চিড়িয়াখানাতে যাবেই | আর অন্য দিন যাবে পার্ক এ |
লিলিঃ তো পার্ক এ গেলে পশু প্রীতি কিভাবে বাড়বে?
মিলিঃ আরে তখন তো ওর সাথে ওই গাধাটা থাকে |



মরা পাখি!
ক্লাসে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে...
১ম বন্ধু: আছ্ছা বলত কোন পাখি উড়ে না?
২য় বন্ধু: উট পাখি!
১ম বন্ধু: আরে ছাগল মরা পাখি কি উড়ে...



সাধুবাবা তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গেছেন স্নানের জন্য। উদ্দেশ্য পাপ ধুয়ে ফেলা। গোসল শেষ করে সবাই উঠলো কিন্তু সাধুবাবার ওঠার কোন নাম নেই।
তা দেখে একজন বলল, কি সাধুবাবা, আপনি উঠছেন না কেন?
সাধুবাবা উত্তরে বললেন, বৎস, পাপ ধোয়ার সাথে সাথে গামছাটাও যে ধুয়ে চলে যাবে তা ভাবতেই পারিনি।



এক দোকানদার তার কর্মচারীকে বলছে, কোন ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিবি না। যেমন কেউ ডেটল সাবান নিতে আসলে না থাকলে স্যাভলন সাবান ধরিয়ে দিবি একথা বলে সে একটা কাজে গেল।
এরপর এক বয়স্ক ক্রেতা দোকানে এসে কর্মচারীকে বলল, বাবু, টয়লেট টিসু্ আছে।
ছেলেটি বলল, টয়লেট টিসু নাই। তবে সিরিস কাগজ আছে। আইজকা সেইটা দিয়া কাজ চালান। কাইলকা টিসু পেপার পাইবেন।



একবার গ্রামের দুই জন অশিক্ষিত লোক মহাকাশ ভ্রমন নিয়া কথা বলছে।
১ম জন: আম্রিকানরা চান্দে গেছে।
২য় জন: তো কী হইসে? আমরা সুর্যে যামু ।
১ম জন: সম্ভব না । সুর্যের ১৩ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আইলে রকেট গইলা যাইবো।
২য় জন (মাথা চুলকায়া): ঠিক আছে । রাইতে শিডিউল ফেললে রকেটের কিছু হইবো না।



চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার হচ্ছিলো। ইংল্যাণ্ডের ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে একটা শিশু জন্ম নিলো যার একটা পা ছিল না। আমরা নকল পা লাগিয়ে দিলাম। বড় হয়ে সে অলিম্পিকে ১০০ মিটার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হলো! জার্মানির ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে এক শিশু জন্ম নিলো যার দু�টি হাত ছিল না। আমরা নকল হাত লাগিয়ে দিলাম। বড় হয়ে সে মুষ্টিযুদ্ধে স্বর্ণপদক পেলো!! সবশেষে বাংলাদেশের ডাক্তার বললেন, আমাদের দেশে একদা দু�টি মেয়ে শিশু জন্ম নিলো- যাদের হাত-পা সবই ঠিক ছিল, শুধু মাথায় মগজ ছিল না। আমরা সেখানে গোবর ঢুকিয়ে দিলাম। বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, দু জনেই দেশের শীর্ষপদে বসেছিলেন।



একবার সরকারের নীতি নির্ধারকদের একটি দল জটিল সমস্যায় পড়লেন।সমস্যাটা লিঙ্গ নির্ধারন সংক্রান্ত।
তো তারা গেলেন হাসিনার কাছে।ম্যাডাম, কাঠাল কোন লিঙ্গ ? ম্যাডাম বললেন, এটা নির্ধারন করা কোনো সমস্যা না।আমি আজকেই বাংলা একাডেমীর ডিজিকে বলে দিচ্ছি তিনি জানিয়ে দিবেন।
কিন্তু দুইদিন গেল, ডিজি জানালেন না।তখন তারা গেল এরশাদের কাছে।এরশাদের ঝটপট জবাব-আরে কাঠাল হল পুং লিঙ্গ।কারণ কাঠালের বিচি আছে।
এরপর পত্রিকার খবর বের হল-পুলিশ একদল ছাত্রকে ডান্ডা দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে।
আচ্ছা, পুলিশ কোন লিঙ্গ ? জানতে চাওয়া হল প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কাছে।হাসিনা বললেন, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিতে হবে।সেই খোঁজ আর আসে না দেখে এরশাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।তিনি বললেন যেহেতু পুলিশের ডান্ডা আছে তাই পুলিশ পুংলিঙ্গ।

এরপর প্রশ্ন উঠে আইন কোন লিঙ্গ।এবারও যথারীতি হাসিনা ফেলটুস।বলতে পারলেন না।অগত্যা আবার কাবিল এরশাদের কাছে জিজ্ঞাসা।তিনি ভেবেচিন্তে বললেন, আইনের ফাঁক আছে, তাই আইন স্ত্রী লিঙ্গ।



মহিলা এবং স্বর
কোনো মহিলা যখন গলার স্বর নামিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তিনি কিছু চাইছেন ।

আর যখন গলা চড়া করে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তিনি যা চেয়েছিলেন তা পান নি ।




এক বৃদ্ধ বৃটিশ মহিলা অন্তিম মূহুর্তে আজরাইল এসে হাজির হলো। মহিলা বলল- আমি কি এখনই মরে যাব? আজরাইল বলল- আরে না তুমি আরো দশ বছর বাচবে। সত্যি সত্যি মহিলা সুস্থ হয়ে উঠল এবং ভাবল আমি তো আরো দশ বছর বাচব তাহলে ভালো ভাবেই বেচে থাকি। পরের দিন গিয়ে প্লাষ্টিক সার্জারি করে একজন ষোড়শী যুবতী হয়ে রাস্তা পার হবার সময় এক্সিডেন্ট করে মারা গেল। আজইরাইকে বলল- তুমি আমাকে বললে আমি আরো দশ বছর বাচব কিন্তু দুইদিনের মধ্যেই আমাকে মরে যেতে হলো কেন? আজরাইল বলল- তুমি প্লাস্টিক সার্জারি করে এমন হয়েছো যে আমি তোমাকে চিনতে পারিনি।



চারিত্রিক সার্টিফিকেট
: কমিশনার সাহেব বাসায় আছেন ?
: কেন ?
: আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার |
: তিন মাস পরে আসেন, উনি নারীঘটিত কেসে ছয় মাসের জেলে আছেন ||



টিভির পোকা
পুলিশ : আপনি বলছেন, গতরাত্রে চোর আপনার বাসা থেকে ফ্রিজ, গাড়ী, টাকা, অলংকার চুরি করেছে?
বাড়ির মালিক : হ্যাঁ |
পুলিশ : কিন্তু টিভিটা নেয়নি কেন?
বাড়ির মালিক : ওটা নেবে কীভাবে! তখন তো আমি টিভি দেখছিলাম |



আমি আপনার সাথে বিছানায় যাব
এক সুন্দরী তরুণী পঞ্চাশ তলা উঁচু এক ভবনের ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গেল

পড়তে পড়তে দশ তলা পার হয়ে সে যখন ঠিক চল্লিশ তলা পর্যন্ত আসল তখন এক বৃটিশ ভদ্রলোক (!) বারান্দা থেকে হাত বাড়িয়ে তাকে ধরে ফেলল। এভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় মেয়েটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে অগ্র-পশ্চাত্� বিবেচনা না করেই সিনেমার ডায়লগের মতো গড় গড় করে বলল - আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন; কাজেই আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনার ঋণ শোধ করার জন্য আপনি যা চাইবেন আমি তাই দিব। বলুন আপনি কি চান? বৃটিশ দেখল এ যেন না চাইতেই একেবারে শরবত। কাজেই সে সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে বলল, আমি বেশি কিছু চাই না - শুধু তোমাকে চাই। তোমার এই সুন্দর শরীরটা চাই। চল, আমার সাথে বিছানায় চল।
বৃটিশের এ অন্যায় আবদার শুনে বিন্দুমাত্র চিন্তা-ভাবনা না করে তরুণী বলল - ইতর, বদমাশ, জানোয়ার! ভেবেছিস এত সহজ? আমার জীবন বাঁচিয়ে এখন তার বিনিময়ে এই চাইছিস? দরকার নেই আমার এ জীবনের। তোর মতো পাপিষ্ঠের সাথে বিছানায় যাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। ছেড়ে দে আমাকে। ছেড়ে দে �

কাজেই বৃটিশ লোকটা তাকে ছেড়ে দিল এবং সে আবার পড়তে লাগল। পড়তে পড়তে আরো দশ তলা পেরিয়ে সে যখন ত্রিশ তলা পর্যন্ত এল তখন এক আমেরিকান ভদ্রলোক (!) হাত বাড়িয়ে তাকে ধরে ফেলল। আগেরবারের ঘটনা থেকে তরুণীর যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। কাজেই সে বেশি কিছু না বলে আমেরিকানকে শুধু তার জীবন বাঁচানোর জন্য একটা ধন্যবাদ দিল। কিন্তু আমেরিকানটা বৃটিশটার চেয়েও এক ডিগ্রী বেশি অসভ্য। সে নিজে থেকেই বলল, দেখ মেয়ে আমি এখনও তোমাকে বারান্দা থেকে সরিয়ে নেই নি। তুমি যদি আমার সাথে বিছানায় যেতে রাজি থাক, তাহলেই কেবল তোমাকে আমি সরিয়ে নিব। নইলে কিন্তু দিলাম ছেড়ে।
আমেরিকানের কথা শেষ হওয়ার আগেই তরুণী বলল, পেয়েছিস কি তোরা? মেয়ে দেখলেই ভোগ করতে ইচ্ছে করে? তোদের ঘরে কি মা-বোন নেই? দরকার নেই তোর দয়ার। ছেড়ে দে আমাকে। তোর হাতে যাওয়ার চেয়ে মাটিতে পড়ে মরাও অনেক ভালো। ছেড়ে দে �

কাজেই আমেরিকান লোকটাও তাকে ছেড়ে দিল এবং সে আবার পড়তে লাগল।
পড়তে পড়তে তরুণীটি আরো দশতলা পেরিয়ে গেল - কিন্তু এবার আর কেউ তাকে হাত বাড়িয়ে ধরল না। এই সময় তার একটু আফসোস হতে লাগল। তার মনে হল, ঐ দুজনের কথামতো তাদের সাথে বিছানায় গেলে কি এমন ক্ষতি হতো! অন্তত মারা যাওয়ার চেয়ে সেটাতো খারাপ হতো না! ইস, কেন যে সে ওদের কথায় রাজি হল না! তা হলে তো আর জীবনের আসল আনন্দগুলো উপভোগ করার আগেই বিদায় নিতে হতো না � হায় আর কেউ কি নেই তাকে বাঁচানোর? বিনিময়ে সে এবার সব দিতে রাজি আছে �

এসব ভাবতে ভাবতে সে যখন আরো দশতলা অর্থাত্� মোট চল্লিশ তলা পেরিয়ে ঠিক দশতলা উচুঁতে আসল, ঠিক তখন আরবীয় হুজুর তাকে হাত বাড়িয়ে ধরে ফেললেন। মেয়েটি এবার খুশিতে গদগদ হয়ে বলল - আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন! চলুন আমি আপনার সাথে বিছানায় যাব!

মেয়েটির মুখে এরকম নির্লজ্জ কথা শুনে হুজুর হতভম্ব হয়ে গেলেন। নিজের অজান্তেই �আসতাগফিরুল্লাহ� শব্দটা উচ্চারণ করে তিনি মেয়েটিকে হাত থেকে ছেড়ে দিলেন �



ইঁদুর আর হাতির ভীষণ বন্ধুত্ব। একবার ইঁদুর এল হাতির বাড়িতে।
: দোস্ত দিন দুয়েকের জন্য তোমার আন্ডারঅয়্যারটা ধার দাও।
: কেন? আমার জাংগিয়া দিয়া তুমি কি করবা?
: তুমিতো জানই কাল আমার একমাত্র ছেলের বিয়ে।
: জানব না কেন? কিন্তু জাঙ্গিয়া দিয় কি করবা সেইটা কও।
: এহনও বুঝতাছ না? তোমার জাঙ্গিয়া দিয়া বিয়ের অনুষ্ঠানের সামিয়ানা টাঙ্গামু আর কী।



সামনে স্কুল, আস্তে চলুন
শিক্ষক: তুমি দেরী করে আসলে কেন?

আবুল: সাইনের কারণে স্যার।

শিক্ষক: কিসের সাইন?

আবুল: ওই যে লেখা ছিল, সামনে স্কুল, আস্তে চলুন।



বাচ্চাটার চুল সোনালি
বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব সত্তর বছর বয়সে কুড়ি বছরে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করলেন।

বছর ঘুরতেই খোকা হলো তাদের।

হাসপাতালের নার্স মুচকি হেসে বললো, 'বাহ রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন মনে হচ্ছে?'

রিয়াদ সাহেব গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'

আরো দুবছর পর আবার খুকি হলো তার।

নার্স আবারো মুচকি হাসলো। 'হুম, রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন।'

রিয়াদ সাহেব আবারো গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'

বছর দুয়েক পর আবার খোকা হলো তাঁর।

নার্স কিছু বলার আগেই রিয়াদ সাহেব বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'

নার্স মুচকি হেসে বললো, 'তাহলে এবার তেল পাল্টে নিন স্যার। আপনার এবারের বাচ্চাটার চুল সোনালি।'



বিচি
এক লোকের তিনটি বিচি | সে এটা নিয়া খুবই চিন্তিত | লজ্জায় কাউকে বলতে পারছে না | উপায় না দেখে ডাক্তারের কাছে গেল |
লোক : লজ্জিত হয়ে ডাক্তারকে বলছে, ডাক্তার সাহেব আপনার আর আমার মিলে ৫ টি |

ডাক্তার : কি বলেন বুঝতে পারছি না |

লোক : আরে আপনার আর আমার মিলে ৫ টি |


ডাক্তার : কিছুই বুঝতে পারছি না | পরিস্কার করে বলুন |

লোক : উপায় না দেখে বলল, আপনার আর আমার মিলে ৫ টি বিচি ||

ডাক্তার : তাহলে কি আপনার ১ টি ??



ভক্তঃ সাধু বাবা, আমার বউ অনেক বিরক্ত করে...উদ্ধারের উপায় বলুন...
সাধুঃ আরে আহাম্মক উপায় থাকলে কি আর আমি গাছের নিছে বসে থাকি...?



প্রশ্নঃ মেয়েদের পিরিওড আর ছেলেদের মাসিক বেতন, দুইটার মধ্যে কি মিল আছে,বলেন দেখি?
উত্তরঃ দুইটাই তিন দিনে শ্যাষ, তারপর অপেক্ষা করো, আবার পরের মাসের জন্য।



এক অনুষ্ঠানে এক জোকার এসেছে লোক হাসানোর জন্য। সে তার প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করল, বলেন তো আমি কি ধরেছি?

সবার মাঝে ছি ছি পড়ে গেল।

জোকার তখন পকেট থেকে একটা কলম বের করে দেখালো, আপনাদের ধারণা ঠিক না। আমি এই কলম ধরে ছিলাম।

তারপর সে আবার পকেটে হাত ঢুকালো। বলল, বলেন তো এইবারে আমি কি ধরেছি?

একেক জন একেক কথা বলা শুরু করল। কেউ বলল মানিব্যাগ, কেউ চাবি, কেউ মোবাইল।

জোকার তার খালি হাত পকেট থেকে বের করল। বলল, হয় নি। এবারে আপনারা প্রথমে যা ধরার কথা ভেবেছিলেন সেটাই ধরেছি।



জ্বিনভূত বিশ্বাস করেন

টিনা বেড়াতে গেছে এক নির্জন কেল্লায়।

একটা ঘরে ঢুকে সে দেখলো, একটা পুরনো চেরাগের পাশে এক পাগড়ি পরা যুবক দাঁড়িয়ে।

স্বাগতম, আমার আকা। বললো যুবক। আমি এই চেরাগের জ্বিন। আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরণ করতে চাই।

টিনা এক নিঃশ্বাসে বললো, কোটি কোটি টাকা, দশটা বাড়ি, বিশটা গাড়ি।

জ্বিন বললো, জো হুকুম। আপনি বাড়ি ফিরেই আপনার টাকা, বাড়ির দলিল আর গাড়ির লাইসেন্স তৈরি পাবেন। কিন্তু আমার আকা, আমি দীর্ঘদিন এই চেরাগে একা বন্দি ছিলাম। আপনি যদি কিছু মনে না করেন, আমি ইচ্ছাপূরণের আগে আপনার সাথে কয়েকবার আদরসোহাগ করতে চাই।

টিনা সানন্দে রাজি হলো। পরদিন ভোরে জ্বিন বললো, আমার আকা, আপনার বয়স কত?

সাতাশ। জবাব দিলো টিনা।

এই বয়সেও আপনি জ্বিনভূত বিশ্বাস করেন?



একপার্কে দুইটা মুর্তি ছিল। একটা ছেলের। তার ঠিক মুখমুখি একটা মেয়ের মুর্তি। একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে আছে।

একদিন স্বর্গ থেকে একজন দেবদূত এলো। মুর্তি দুইটাকে বলল,
তোমরা দুইজন খুব ভালো মুর্তি। অতি ভদ্র আচরনের পুরস্কার হিসাবে তোমাদের দুইজনকে ত্রিশ মিনিটের জন্য জীবন্ত করে দেয়া হবে।

মুর্তি দুইটা জীবন্ত হল। মেয়েটা ছেলেটার দিকে লাজুক হেসে এগিয়ে এল। ছেলেটাও লাজুক ভঙ্গিতে হাসতে লাগল। কিছুক্ষন হাসার পর, মেয়েটা ছেলেটাকে বলল, ত্রিশ মিনিট খুব কম সময়।
ছেলেটা একটা ইঙ্গিতপূর্ন হাসি দিল। মেয়েটাও হাসি দিল। সময় নাইরে। দুইজন দৌড়ে ঢুকে গেলো পাশের একটা ঝোপের ভিতর।

কিছুক্ষন হাসাহসি, ঝোপের নড়াচড়া হল। ছেলেটার সেইরকম আওয়াজও পাওয়া গেল।

অবশেষে তারা দুইজন বের হয়ে এলো। মুখে তৃপ্তির হাসি।

দেবদূত বলল, ইয়ে। তোমাদের হাতে আরো পনের মিনিট আছে। ছেলেটা আবার মেয়েটার দিকে তাকাল। দুইজনের মুখে চওড়া হাসি। ছেলেটা
ইঙ্গিতপূর্নভাবে মেয়েটাকে বলল, আবার হবে নাকি?
অবশ্যই। তবে এইবার তুমি কবুতর ধরে রাখবে। আর আমি তার ওপর মলত্যাগ করব।



ডেটিং কোড

প্রথম দিন ডেট সেরে বান্ধবীকে রাতের বেলা বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছে বাবু। দরজার পাশে দেয়ালে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো সে, সোনা, একটা চুমো খেতে দাও আমাকে।

কী? তুমি পাগল হলে? এখানে দাঁড়িয়ে, না না না!

আরে কেউ দেখবে না। এসো, একটা চুমো।

না না, খুব ঝামেলা হবে কেউ দেখে ফেললে।

আরে জলদি করে খাবো, কে দেখবে?

না না, কক্ষণো এভাবে আমি চুমো খেতে পারবো না।

আরে এসো তো, আমি জানি তুমিও চাইছো - খামোকা এমন করে না লক্ষ্মী!

এমন সময় দরজা খুলে গেলো, বান্ধবীর ছোট বোন ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। চোখ ডলতে ডলতে সে বললো, আপু, বাবা বলেছে, হয় তুমি চুমো খাও, নয়তো আমি চুমো খাই, নয়তো বাবা নিজেই নিচে নেমে এসে লোকটাকে চুমো খাবে - কিন্তু তোমার বন্ধু যাতে আল্লার ওয়াস্তে ইন্টারকম থেকে হাতটা সরায়।



কুমীর

টুরিস্টঃ নদীতে নামতে পারি? কুমীরের ভয় নেই তো?
স্হানীয় লোকঃ নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমীরও নেই। গত দু বছরে সবকটি কুমীর হাঙর খেয়ে ফেলেছে।



একবার এক ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন রাশিয়ান চীফ অফিসারকে বললো, আজ পূর্ণিমার রাত এবং সেই সাথে চন্দ্রগ্রহন। অর্থাৎ চাঁদটা ঢাকা পড়বে পৃথিবীর ছায়াতলে। ক্রু-রা ইচ্ছে করলে রাত নটায় ব্রীজে এসে এই বিরল দৃশ্য অবলোকন করতে পারে। তবে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেউ যেন লাফালাফি না করে।

চীফ অফিসার ফিলিপিনো থার্ড অফিসারকে বললো, সারেং কে বল- আজ পূর্ণিমার রাত, কিন্তু রাত নটায় চাঁদটা হারিয়ে যাবে পৃথিবীর ছায়ায়, এই বিরল দৃশ্য রাত নটায় ব্রীজে গিয়ে ক্রু-রা দেখতে পারে- তবে কেউ প্রফুল্ল হয়ে লাফ দিতে পারবে না। এটা ক্যাপ্টেনের আদেশ।

থার্ড অফিসার চাইনিজ সারেংকে বললো, আজ পূর্ণিমার রাত এবং ওটা ছায়াতলে হারিয়ে যাবে। এই বিরল দৃশ্য দেখে ক্যাপ্টেন ছাড়া আর কেউ লাফ দিতে পারবে না, রাত ন�টায় ব্রীজে যাবে সবাই প্রফুল্ল মনে।

সারেং সমস্ত ক্রু-দের ডেকে বললো, আজ পূর্ণিমার রাত এবং হঠাৎ চাঁদটা উধাও হয়ে যাবে। এই দুঃখে ক্যাপ্টেন পানিতে লাফ দিবে। এই বিরল দৃশ্য দেখে তোমরা রাত নটায় প্রফুল্ল মনে পার্টিতে যোগ দিবে।



বিভিন্ন ধর্মের লোকজনদের নিয়ে সভা হচ্ছে।
প্রথমেই বুদ্ধ সন্ন্যাসী ষ্টেজে ঊঠলেন। বুদ্ধের প্রশংসা করে বক্তৃতা দিলেন। তার বলা শেষ হলেই বাঙ্গালাদেশি এক হুজুর দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা! আশ্রমের জন্য আপনারা যে টাকা পান, সেটা হতে নিজেদের পিছে কত খরচ করেন? সন্ন্যাসী খুব লজ্জার সাথে উত্তর দিলেন, যদিও আমরা সন্ন্যাসী, তারপরও বেচে থাকার জন্য আমরা কিছু অর্থ খরচ করি। আশ্রমে দান থেকে যা আয় হয় তার দশ পারসেন্ট নিজেদের পিছে খরচ করি।
হুজুর ধমক দিয়ে উঠলেন , ধিক!!! খোদার লানত পড়ুক আপনাদের উপর। খোদার টাকা থেকে আপনার নিজেদের জন্য সরিয়ে রাখেন!!!

বেচারা সন্ন্যাসী কিছু বলতে পারলেন না। লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে পড়লেন।
এরপর গেলেন হিন্দু মন্দিরের পুরোহিত। তিনি ধর্মের ব্যাখ্যা শেষ করতেই হুজুরের প্রশ, মন্দিরে যে মানুষেরা টাকা দেয়, তার কতটুকু আপনারা নিজেদের কাজে লাগান শুনি?
পুরোহিতও খুব লজ্জায় পড়ছেন। মন্দিরের সব কাজ ত আমরা দানের টাকায় করি, আর পচিশ পারসেন্টের মত খরচ হয়ে যায় নিজেদের পিছে।
আবার হুজুরের চিৎকার, ধিক!!! লানত পড়ব খোদার!! লজ্জা করে না ভগবানে টাকা নিজের পকেটে নিতে??

এরপর উঠছে পাদ্রী। সে বার বার হুজুরের দিকে চোরা চোখে চায়, ভয়ে ভয়ে কথা শেষ করল। হজুর যথারীতি বক্তৃতা শেষেই প্রশ্ন করল, বলেন আপনারা কত খরচ করেন নিজের পিছে?
ডোনেশনে যা পাই, তার পঞ্চাশ ভাগের মত নিজেদের পিছে খরচ হয়ে যায়।

হুজুরের আবার ধমক, ধিক!!

এরপর হুজুরের পালা। সন্ন্যাসী, পুরোহিত আর পাদ্রী পুরা ক্ষেপে আছে। হুজুরের কথা শেষ হতে না হতেই তাদের প্রশ, এইবার বলেন আপনার কত খরচ করেন নিজেদের পিছে?
আপনি কি ভাবছেন আমরা আপনাদের মত??? খোদার টাকায় খোদার হক সবার আগে। তাই আমরা খুব ভালো একটা সিস্টেম ব্যবহার করি। বছরে যা টাকা উঠে তা একটা চাদরে বাধি। এরপর সেটা আকাশের দিকে ছুড়ে মারি। খোদার যা দরকার তিনি সেটা থেকে নিয়ে নেন। চাদর মাটিতে পড়লে সেটা খুলে আমাদের যা দরকার আমরা নিয়ে নেই।



গোল্ডউইনের উত্তর

চিত্র পরিচালক উইলিয়াম ওয়াইলার একবার বেশ সমস্যায় পড়লেন। তিনি সে সময় যে ছবিটি পরিচালনা করছিলেন সেটির প্রযোজক স্যামুয়েল গোল্ডউইনকে একটি দৃশ্যের প্রয়োজনীয়তা কিছুতেই বোঝাতে পারছিলেন না। অগত্যা তিনি সেখানে উপস্থিত গোল্ডউইনের ১৫ বছর বয়সী ছেলের দিকে ফিরে বললেন, তুমি কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছ, স্যামি?সঙ্গে সঙ্গেই স্যামি উত্তর দিল, অবশ্যই, বিষয়টি আমার কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার।
এটা শুনে গোল্ডউইন গর্জে উঠলেন, আমরা কবে থেকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র বানাতে শুরু করেছি?


ড্রাইভিং লাইসেন্স

ট্রাফিকঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখি।
চালকঃ কিন্তু স্যার, আমিতো খুব সাবধানে চালাচ্ছি, বেআইনি কোন কিছু করিনি।
ট্রফিকঃ সেজন্যইতো সন্দেহ হচ্ছে।



কার বেশি সুখ

: বলো তো সেক্স করার সময় ছেলে না মেয়ে কে বেশি আনন্দ পায়?
: অব্যশই মেয়ে ।
: কেন ?
: যখন কাঠি দিয়ে কান খোঁচাও আরামটা কোথায় লাগে, কানে না লাঠিতে ??



প্রেমিকার সামনে অন্য মেয়ের প্রশংসা করি না - মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ঢাকা শহরে জনসংখ্যা এত বেশি হওয়ার একটা কারণ হতে পারেন তিনি। তাঁর ভাই বেরাদারের সংখ্যা অনেক। তবে জনসংখ্যা বাড়ানোর কোনো দায়দায়িত্ব নিতে এখনো তিনি অপারগ, তাই বিয়ে করছেন না। তিনি আর কেউ নন, জনপ্রিয় পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আলোচনে তিনি জানিয়েছেন অনেক গোপন তথ্য। সঙ্গে ছিলেন জিনাত রিপা।

আপনি এত জনপ্রিয়, মৌসুমটাও নির্বাচনের, তাহলে নির্বাচনে প্রার্থী হলেন না কেন?
কারণ, এখন যৌবন যার, কোনো নারীর পাণিপ্রার্থী হওয়ার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নয়।
আপনি এবং হিমেশ রেশমিয়া দুজনই কেন টুপি পরেন?
আমি পরি ভাবে। আর হিমেশ পরে অ-ভাবে, চুলের অভাবে।
আপনার এত ভাইবেরাদার কেন?
এর জবাব পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে দিতে হবে। খোদার কসম, এখানে আমার কোনো হাত ছিল না। এই ব্যর্থতার দায় তাদের।
এখনো আপনি অবিবাহিত কেন?
এখানেও আমার কোনো হাত নেই। এটা বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমস্যা। তারা গাছের কী পরিচর্যা করেছে জানি না! আমার বিয়ের ফুল এখনো কলি হয়ে ঝুলে আছে, ফুটছে না।
কেমন কনে আপনার পছন্দ?
সেই রকম!!!
প্রেমিকার কোন আবদারে আপনি না ভোটই দিয়ে যাবেন?
তোমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটা দাও না, ময়না পাখি।
প্রেমিকা কেন প্রেমিকের বুকে বাসা বাঁধতে চায়, অন্য কোথাও নয়?
এ রকম বিনামূল্যে নিষ্কণ্টক প্লট আর কোথায় পাবে। উল্টো এই প্লটে বাসা বাঁধার পুরস্কারস্বরূপ নানা উপঢৌকন পাওয়া যায়।
এমন কী ব্যাপার আছে, যা সব সময় মেনে চলেন?
�প্রেমিকার সামনে অন্য মেয়ের প্রশংসা করি না।
প্রেমিক হিসেবে আপনি কেমন?
দুর্ধর্ষ!!!
নির্বাচনে আপনি যদি প্রার্থী হন, তবে ইশতেহারে দেওয়া প্রধানতম প্রতিশ্রুতি কী হবে?
নির্বাচনের পর কাহাকেও চিনিব না। চোখে টিনের চশমা লাগাইব।
শেষ পর্যন্ত কোন প্রশ্নটা করা হয়নি বলে আপনি আনন্দিত?
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার কবে মুক্তি পাবে? কারণ, একেকবার একেক তারিখ বলতে বলতে ক্লান্ত। তবে এইটুকু বলতে পারি, নতুন বছরের উপহার হিসেবে সাউন্ডট্র্যাক বাজারে আসবে। তার মাস দুয়েক পর ছবি।
আপনার অনেক ভক্ত। আপনি কার ভক্ত?
আমি শক্তের ভক্ত, নরমের
প্রেমের মরা জলে ডোবে না কেন?
কারণ, প্রেমের মরা এমনই অপদার্থ যে জলও তাকে নিতে চায় না।
পাছে লোকে কিছু বলে-এই পাছের লোকটা সব সময় কী বলে?
তুমি সুন্দর, তাই চেয়ে থাকি। একি মোর অপরাধ?
রাতে ঘুম না এলে কী করেন?
জেগে থাকি।
ফুল ফোটে আবার ঝরে যায় কেন?
সামিনা চৌধুরীকে একটা গান উপহার দেওয়ার জন্য। যাতে তিনি গাইতে পারেন ফুল ফোটে, ফুল ঝরে।

পুরোনো ব্যালট বাক্স দিয়ে
বর্তমান নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে পূর্ববর্তী নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট বাক্সগুলো বেকার হয়ে পড়েছে। সেগুলোকে তো আর ফেলে দেওয়া যায় না! সেগুলোও কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা যায়। দেখা যাক কী কী কাজে লাগানো যায় সেগুলো-
মোড়া বানানো যেতে পারে
ভোট দিতে আসা ভোটাররা লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজেই তাদের বিশ্রামের জন্য পুরোনো ব্যালট বাক্স দিয়ে মোড়া বানানো যেতে পারে। সেই মোড়ায় ভোটাররা বসে বসে হাতপাখা নিয়ে বাতাসও খেতে পারেন।
ডাস্টবিন বানানো যেতে পারে
যেসব ভোট নষ্ট হবে, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা সেগুলো ফেলার জন্য পুরোনো ব্যালট বাক্সকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। পুরোনো ব্যালট বাক্স বাতিল ভোটগুলো তো কমপক্ষে পাবে।
দান বাক্স হিসেবে
নির্বাচন করতে গিয়ে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তা ওঠানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটারদের লাইনে দান বাক্স হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন টাকার পরিবর্তে ভোট না দিয়ে ফেলে।
জাদুঘরে রাখার জন্য
নতুন প্রজন্মকে পুরোনো ব্যালট বাক্স সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য সেগুলো জাদুঘরে রাখা যেতে পারে। দেশীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে তারা একটা ধারণা পাবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো, ডিসেম্বর ডিসেম্বর ২২, ২০০৮



তিন নম্বরটা খাওয়া যাবে

দুই নান গেছে কাঁচাবাজারে সব্জি কিনতে। ঘুরে ঘুরে এটা দেখে সেটা শুঁকে কিছুতেই পছন্দের সাইজের মুলা কিনতে পারলো না তারা। শেষমেশ তারা শসাঅলার কাছ থেকে দুটো শসা কিনলো।

শসাঅলা একগাল হেসে বললো, নেন সিস্টার, এই যে আরেকটা। আজকে আমার ইস্পিশাল বিক্রি, দুইটা কিনলে একটা ফ্রি।

এক নান অন্যজনের দিকে ফিরে বললো,বাহ্, মন্দ কী? চল, তিন নম্বরটা খাওয়া যাবে।



পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে

এক পোস্টমাস্টার গেছে দাওয়াত খাইতে, কিন্তু ভুলে বেচারা প্যান্টের চেইন লাগায় নাই
পার্টিতে এক লোকের তা দেইখা তো আক্কেল গুড়ুম। সরাসরি তো আর বলা যায়না যে চেইন খোলা। তাই সে কায়দা কইরা বলল, ভাই, আপনার পোস্টঅফিস তো খোলা।
কিন্তু পোস্টমাস্টার ইংগিতটা বুঝলো না, সে কয়- না না , পোস্টঅফিসে আমি নিজের হাতে তালা মাইরা আইছি। খোলা না, বন্ধই আছে।
তো ঐ লোক যতই বোঝায়, পোস্টমাস্টার বুঝে না, কয় বন্ধ, বন্ধ, নিশ্চয়ই বন্ধ।
তো লোকটা হাল ছাইড়া দিয়া চইলা গেলো। পরে পোস্টমাস্টার বাসায় ফিরা দেখে তার চেইন খোলা। সাথে সাথে সে সব বুঝলো, বুইঝা তো পাইলো ব্যাপক শরম। কিছুক্ষণ ঝিম মাইরা থাইকা ফোন করলো ঐ লোকটারে।
ফোন কইরা কয়- ভাই, এইবার আমি বুঝছি আপনি কি বুঝাইতে চাইছিলেন। তা ভাই যখন খোলা আছিলো, তখন কি পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে?



পুরুটাই আনন্দের

একজন জেনেরেল, একজন কর্নেল এবং একজন মেজরের মাঝে আলোচনা হচ্ছে।
জেনেরেলঃ সেক্সের ষাট ভাগ পরিশ্রম আর চল্লিশ ভাগ আনন্দের।
কর্নেলঃ সেক্সের পচাত্তর ভাগ পরিশ্রম আর পচিশ ভাগ আনন্দে।
মেজরঃ সেক্সের নব্বই ভাগ পরিশ্রম আর দশ ভাগ আনন্দের।

এক সময় একজন জওয়ান আসলো তাদের কাছে। জেনেরেল বললেন, ঠিক আছে, ঐ জওয়ান ব্যাটাকে জিঞ্জেস করা হোক। অন্য দুজন তা মেনে নিল।

জওয়ান বললো , সেক্সের পুরুটাই আনন্দের। এ কথা শুনে তারা তিন জন এক সাথে বলে উঠল, কেন তুমি একথা বললে ?
জওয়ান বললো, পরিশ্রমের হলে তো কাজটা আমকেই করতে দিতেন, আপনার করতেন না।
আর না�
এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে।

ফরাসী বলছে, গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।

ইতালীয় বলছে, গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চম কার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।

বাঙালি চুপ করে আছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক বার আদরসোহাগ করেছো?

বাঙালি বললো, একবার।

ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো?

ওগো, থামো, আর না �।



আমি এখানে কী করি

এক খামার মালিক শখ করে একটা জেব্রা কিনে এনেছে আফ্রিকা থেকে।

এক ভোরে জেব্রাটা বেরিয়ে এলো তার আস্তাবল থেকে। খামারের ভেতরে ঘুরতে লাগলো সে, আর ভাবতে লাগলো, এখানে তার কাজ কী হতে পারে।

প্রথমে তার দেখা হলো একটা মুরগির সাথে। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?

মুরগি জবাব দিলো, সুপ্রভাত। আমি আমাদের মালিকের খাবারের জন্যে ডিম পাড়ি।

এরপর তার দেখা হলো একটা গরুর সাথে। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?

গরু জবাব দিলো, সুপ্রভাত। আমি আমাদের মালিকের খাবারের জন্যে দুধ দিই।

তার দেখা হলো একটা শুয়োরের সাথে। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?

শুয়োর ঘোঁতঘোঁত করে জবাব দিলো, সুপ্রভাত। মালিক আমাকে মেরে আমার মাংস খায়।

জেব্রা কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে সামনে এগোলো।

এবার তার দেখা হলো একটা ষাঁড়ের। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?

ষাঁড় জেব্রাকে আপাদমস্তক দেখে মুচকি হেসে জবাব দিলো, সুপ্রভাত। তুমি তোমার পাজামাটা খোলো, আমি তোমাকে দেখাচ্ছি আমি এখানে কী করি।



আগে যেতে পারলেই হলো

এই চুকচাটা বুঝি চালাক!
ভূতাত্ত্বিককে নিয়ে সে গেছে বরফাচ্ছাদিত বনে। এ সময় একটা শ্বেতভালুক তেড়ে এল।
চুকচা দ্রুত স্লেজগাড়িতে উঠে বসল।
ভূতাত্ত্বিক বলল, কোনো লাভ নেই। শ্বেতভালুকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারবে না।
চুকচা বলল, শ্বেতভালুকের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। তোমার চেয়ে আগে যেতে পারলেই হলো।



আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে

একবার এক ট্র্যাফিক পুলিশ দেখে কী একটা অদ্ভুত জন্তুর পিঠে এক সর্দারজী বইসা মনের সুখে হেইলা দুইলা আইতেছে । পুলিশের কাছে আইসা সর্দারজী কয়, �ওস্তাদ, এই জানোয়ারের জাত কী মামা?�

এইটারে কয় জলহস্তী, তুমি এইটার পিঠে চড়লা ক্যামনে?

জলহস্তী? আমি ভাবছি এইটা বোধহয় স্থল-মহিষ । বাচপান কালে কতো চড়াইসি বাপের বাথানে! আমি হের নাম দিসি কাল্লু !

তুমি শিগগির এইটারে চিড়িয়াখানায় রাইখা আসো । নাইলে খবর আছে!

ঠিক হ্যায়, ওস্তাদ । অ্যাই কাল্লু! হ্যাট ! হ্যাট হ্যাট! চল্, চিড়িয়াখানায় যাই!

পরের দিন সেই পুলিশ দেখে ঠিক সেই সর্দারজী, ঠিক সেই কাল্লু থুক্কু জলহস্তীর পিঠে মহা আয়েশ কইরা আসতেছে ।

সর্দারের পো! তোমারে না গতকাল কইছি জানোয়ারটারে নিয়া চিড়িয়াখানায় যাইতে?

গেছিলাম তো ! কাল্লুর খুব পছন্দ হইছিল । আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে ! অ্যাই কাল্লু! হ্যাট! হ্যাট! হ্যাট!
পার্কে একটা বিরাট কুকুর নিয়ে বসে আছে বাবু। এক তরুণী যাচ্ছিলো পাশ দিয়ে, দাঁড়িয়ে বললো, বাহ, বেশ তো কুকুরটা!
বাবু হাসলো। হ্যাঁ। খুব রোমান্টিক ও। আর মেয়েরা তো ওকে খুব পছন্দ করে, দারুণ সেক্স করতে পারে কি না।
তরুণীর চোখে আগ্রহ ফুটলো। তাই? ফিসফিস করে জানতে চাইলো সে।
বাবু বললো, হ্যাঁ, দেখতে চান? চলুন আমার বাসায়।
বাড়ি ফিরে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে নিজের ঘরে এলো সে। মেয়েটাকে জামাকাপড় খুলতে বলে সে কুকুরটার দিকে ফিরলো, কালু, এই আপুটাকে আদর করো তো!
কালুর কোন ভাবান্তর হলো না।
বাবু আবার হুকুম দিলো, তবুও সে গ্যাঁট হয়ে বসে রইলো।
এবার বাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যান্ট খুলতে খুলতে বললো, ঠিক আছে, কালু, তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে কী করতে হবে, কিন্তু এ-ই শেষবার, বলে দিচ্ছি!



বলুন তো আমি কে?
আমি এমন একজন, যাকে দুই লিঙ্গের মানুষই উপভোগ করে থাকে।
আমি ধরুন গিয়ে, ছয় থেকে আট ইঞ্চির মতো লম্বা, আমার একদিকে কিছু রোঁয়া আছে, অন্যদিকে আছে একটা ফুটো।
সাধারণত আমি শুয়েই থাকি সারাদিন, কিন্তু যে কোন সময় আমি কাজের জন্যে দাঁড়িয়ে যেতে রাজি।
আর কী কাজ রে ভাই! একটা ভেজা ভেজা জায়গায় আমাকে বারবার যেতে আর আসতে হয়। কাজ শেষ হলে সাদা, আঠালো কিছু পদার্থ পেছনে ফেলে রেখে আমি আবার আগের জায়গায় ফিরে যাই। অবশ্য যাওয়ার আগে আমাকে পরিষ্কার করা হয়।
বলতে পারলেন না তো? আরে, আমি তো আপনার �

� টুথব্রাশ! কী ভাবছিলেন আপনি আমাকে?
খাচ্চর কোথাকার?

দুই কালসিটে বসা চোখ নিয়ে ফিরলো জুমন।
রুমমেট সুমন বললো, কী রে, কী হয়েছে?
জুমন বললো, আর বলিস না। বাসে বসেছিলাম, এক মহিলা দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো। তো, হয়েছে কি, মহিলার শাড়িটা পেছনে এমন বিচ্ছিরি ভাবে এঁটেছিলো, ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। আমি ভাবলাম, ওজায়গায় শাড়িটা আঙুল দিয়ে এক চিমটি টেনে একটু ঢিলে করে দিই, ওনার সুবিধে হবে। ঐ কাজ করতেই মহিলা পেছন ফিরে এক ঘুঁষি মারলো আমার বাম চোখের ওপর।
আয় হায়। আর ডান চোখে কী হয়েছে?
মার খেয়ে আমি ভাবলাম, যেমন ছিলো তেমনটাই করে দিই। তাই আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে আবার ওটা আগের মতো আঁটো করে দিলাম �।

এক শহরের ইমাম, পাদ্রী, আর রাবাই একবার বেরিয়েছে ঘুরতে।
ঘুরতে ঘুরতে তারা তিনজন শহরের পাশে একটা অপূর্ব নির্জন লেকের সামনে হাজির হলো। যেহেতু ধারেকাছে কেউ নেই, কিছুক্ষণ আলাপ করে তারা সিদ্ধান্তে এলো, তারা কাপড়চোপড় খুলে পানিতে নামবে।
যে-ই ভাবা সেই কাজ, একটা ঝোপের আড়ালে কাপড় খুলে রেখে তিনজনই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
ঘন্টাখানেক পানিতে হুটোপুটি করে, এই মুক্তির স্বাদ উপভোগ করে তিন ধর্মযাজক আবার তীরে উঠে এলো। তারা ঝোপের দিকে এগোতে যাবে, এমন সময় শহরের একদল নারীপুরুষ সেখানে এসে হাজির। কী করা উচিত, বুঝতে না পেরে ইমাম আর পাদ্রী তাদের নাভির নিচটা দুহাতে ঢেকে ফেললেন, আর রাবাই ঢাকলেন তার মুখ। তারপর তিনজনই ভোঁ দৌড় দিলেন ঝোপের আড়ালে।
লোকজন চলে যাওয়ার পর পাদ্রী আর ইমাম রাবাইকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তিনি তাঁদের মতো লজ্জাস্থান না ঢেকে মুখ ঢেকে ফেলেছিলেন।
রাবাই নির্বিকার মুখে বললেন, আপনাদের জমায়েতে কী হয়, আমি বলতে পারবো না, কিন্তু আমার জমায়েতের লোক আমাকে যা দেখে চিনে ফেলবে, সেটা হচ্ছে আমার মুখ।

বনের রাজা টারজানের বয়স যখন প্রায় তিরিশ তখন তার লাইফে জেন এর আবির্ভাব ঘটে।তার আগ পর্যন্ত টারজান বনে পশুপাখিদের সাথেই দিন গুজরান করতো।একবার চিন্তা করেন তিরিশ বছর ধরে সে জঙ্গলে বাস করছে, সেখানে নানারকম পশুপাখি থাকলেও কোন মানুষ নেই।উদ্ভাবনী মস্তিষ্কের অধিকারী টারজান তাই বিভিন্ন গাছের গায়ে ফুটো করে নিয়েছে, প্রথম রিপুকে মোকাবেলা করার জন্যে।

তো জেন আসার কিছু পরের ঘটনা..... জেন একদিন জঙ্গলে গিয়ে দেখলো, টারজান মহা উল্লাসে একটি গাছের সাথে প্রেম করে চলছে।

এই দৃশ্য দেখে জেন খানিকটা ভালোবাসা, খানিকটা অনুকম্পা বোধ করলো টারজানের জন্যে...জামাকাপড় খুলে আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এসে টারজানের উদ্দেশ্যে নিজেকে নিবেদন করলো।

টারজান তখন গাছ ফেলে ছুটে এসে জেনকে অবাক চোখে কিছুক্ষণ দেখলো, তারপর জেনের পেটে কষে একটা লাথি মারলো।

পেট চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো জেন।�জংলি ভূত, আমি তোমাকে প্রেম নিবেদন করলাম, আর তুমি কি না আমাকে লাথি মারলে?� চেঁচিয়ে উঠলো সে।

টারজান এগিয়ে এসে জেনকে জাপটে ধরে বললো, �আমাকে ভুল বুঝো না প্লিজ সবসময় চেক করে দেখি, কাঠবিড়ালি আছে কি না।�



খালাম্মা পিচ্চি ভাগ্নেকে - এস খোকন , এস লক্ষীটি একটা পাপ্পি দিয়ে যাও।

খোকন- না , পাপ্পি দিলে তুমি আমায় চড় মারবে ।

খালা- কবে তোকে চুমু দেওয়ার সময় চড় মারলাম, খোকন ?

খোকন- আহা আমাকে মারনি তবে একটু আগে ঘরের মধ্যে বাবাকে তো মেরেছ আমি দরজার ফাক দিয়ে দেখতে পেলাম।

পাভেলের বড় বিপদ, তার ২৫ ইঞ্চি দীর্ঘ বিশেষ প্রত্যঙ্গটি নিয়ে গাড্ডায় পড়েছে সে।কোনও মেয়েকে সে ঠিক খুশি করতে পারে না, আবার এই আকৃতি নিয়ে তার নিজেরও নানা হাঙ্গামা।একদিন জঙ্গলে এক সাধু বাবার আস্তানায় ধর্ণা দিলো সে।তার সমস্যার কথা খুলে বলে কাকুতিমিনতি করে জানালো, বাবা যদি কোনোভাবে ২৫ ইঞ্চি থেকে তাকে ১০-এ নামিয়ে আনতে পারেন, সে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।

সাধুবাবা মিনিট পাঁচেক চোখ বুঁজে ধ্যান করে বললেন, �এখান থেকে সোজা উত্তর দিকে বনের এভতর পাঁচশ কদম হাঁটলে একটা কুয়ো পাবি।ওখানে বাস করে এক মাদী ব্যাং, কিন্তু মানুষের জবানে কথা বলে।তাকে শুধাবি তোকে সে বিয়ে করতে চায় কি না।যদি উত্তরে না বলে, ৫ ইঞ্চি কমে যাবে।এখন যা বেটা।হক মাওলা!�
বাবু ৫০০ কদম এগিয়ে কুয়ো খুঁজে পেলো।ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো, সত্যিই এক ঢাউস সাইজ ব্যাং বসে।সে গলা খাঁকরে শুধালো, �ইয়ে ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?�
গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, �না!�
পাভেল টের পেলো, ২০-এ নেমে গেছে সে।কিন্তু এতেও অসুবিধা হবে ভেবে সে আবারো জিজ্ঞেস করলো, �ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?�
আবারও গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, �না!�
বাবু ১৫-তে নেমে এলো।
উল্লসিত বাবু আবারো জিজ্ঞেস করলো, �বলি ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?�
এবার উত্তর এলো, �এক কথা কতবার বলবো তোকে ব্যাটা হারামজাদা? না, না, না!

হাবা ভন্ডুল এর ছোটবেলার কাহিনী। পোলাডা একদিন দেখে এক বড় ভাই একটা মেয়েরে চুমু দিচ্ছে। বাসায় এসে ভন্ডুল মারে কয়, আম্মা! চুমা দিলে কি হয়? �

ওর মা ত খুব কড়া। সে চায় পোলা ভালা থাকুক। এইসব পাপ যাতে না করে তাই ডর দেখানের লাইগ্যা ভন্ডুলরে কইল, � চুমা দেয়ার পর পোলাগুলার শরীর আস্তে আস্তে পাথর হইয়া যায়, পরে মাটিত পইরা মইরা যায়।�
ভন্ডুল কয় সত্যি?
মা কয় - হ

ভন্ডুল আস্তে আস্তে বড় হয়।যুবক হইলে একদিন এক মাইয়ার সাথে কথা হয়। কথায় কথায় সম্পর্ক হয়। মেয়েটা একদিন হাবা ভন্ডুলরে চুমা দিতে চায়। ভন্ডুল মানা করে।
আমার আম্মা কইছে মেয়েদের চুমা দিলে আমি মারা যামু।

বোকা! আসো। বলে মেয়েটা এগিয়ে একটা চুমা দিল। চুমা শেষ না করতেই করতেই হাবা ভন্ডুল আম্মা ঠিকই কইছিল বলে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি দেয়া শুরু করছে।
কি হইছে?

আল্লাহ রে। আমি পাত্থর হইয়া মইরা যামু। তোমারে চুমা দিতে না দিতেই আমার শরীরের একটা অংশ শক্ত হওয়া শুরু করছে।
এক বেদুঈন উটে চড়ে মরুভূমি পার হচ্ছে।
দীর্ঘ যাত্রা...দিনের পর দিন মরুভূমিতে চলতে চলতে হাঁপিয়ে উঠেছে সে, বার বার মনে পড়ছে বাড়িতে রেখে আসা সুন্দরী বউ এর কথা।সোজা কথায় সেক্সের জন্যে আনচান করছে মন।অবশেষে একদিন সে ঠিক করলো, উটটাকেই ব্যবহার করবে সে।যে-ই ভাবা সে-ই কাজ, উটের পিঠ থেকে নেমে সে উটের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।কিন্তু উট তার মতলব বুঝতে পেরে দিলো ছুট।
খানিকটা ছুটে হাঁপাতে হাঁপাতে উটটাকে পাকড়াও করে আবার মরুভূমি পাড়ি দিতে লাগলো বেদুঈন।কিন্তু পরদিন ভোরে আবার তার খায়েশ হলো।আবারও সে উটের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।উটও আগের মতো ছুট দিলো।বেদুঈন গালি দিতে দিতে আবার উটটাকে পাকড়াও করে পথ চলতে লাগলো।
এমনি করে একদিন সে মরুভুমির মাঝে এক হাইওয়ের পাশে এসে দাঁড়ালো।দেখল সেখানে একটা গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, আর গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে স্বল্পবসনা অপরূপ রূপসী তিন তরুণী।উট থেকে নেমে এগিয়ে গেলো সে।
এরপর স্মার্টলি জিজ্ঞেস করল �আপনাদের কিভাবে হেল্প করতে পারি?�
তরুণীদের একজন, সবচেয়ে আবেদনময়ী যে, লাস্যময়ী ভঙ্গিতে বললো, �দেখুন না, গাড়িটা নষ্ট হয়ে আছে।আমরা অনেকক্ষণ ধরে ওয়েট করছি কিন্তু মরুভুমির মাঝে এই পোড়া হাইওয়েতে কারুরই দেখা পাচ্ছি না যে আমাদের হেল্প করতে পারে।এখন যে কী হবে! এখন কেউ যদি গাড়িটা ঠিক করে দিতো, তাহলে সে যা চাইতো তা-ই দিতাম আমরা।�

বেদুঈন শুনে জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলো একবার।তারপর এগিয়ে গিয়ে বনেট খুলে তিন মিনিট ঘাঁটাঘাঁটি করতেই গাড়ি আবার জ্যান্ত হয়ে উঠলো।তিন রূপসী এবার ঘিরে ধরলো তাকে।বলুন কিভাবে আপনার এই উপকারের প্রতিদান দিতে পারি?� মোহনীয় ঠোঁটে ঈঙ্গিতময় হাসি নিয়ে জানতে চাইলো তারা।

বেদুঈন খানিকটা ভেবে বললো, �আপনারা পাঁচ মিনিটের জন্যে আমার উটটাকে একটু শক্ত করে ধরে রাখতে পারবেন?�

নিউ ওয়েভ পত্রিকার নিজের কামরায় মুখে জোর করে একরাশ গাম্ভীর্য টেনে বসে আছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব সম্পাদক সাহেব।কিছুক্ষণ আগে তাঁর এক বন্ধু এসেছিলেন।তিনি বেশ কিছু রসালো গল্প শুনিয়ে গিয়েছেন তাঁকে।চুইংগাম চিবুতে চিবুতে আপনমনেই সেই গল্পের জাবর কাটছিলেন তিনি।আর মাঝেমধ্যে আপনমনেই হেসে উঠছিলেন।

হঠাৎ তাঁর কামরায় এক তরুণের আবির্ভাব।দেখেই বোঝা যায়, ইনি একজন উঠতি লেখক।সংকোচ, লাজুক লাজুক মুখ আর চোখে ভীরু-সন্ত্রস্ত চাউনি।হাতে রোল করা একগুচ্ছ কাগজ।সম্ভবত স্বহস্তে রচিত গল্প, উপন্যাস অথবা কবিতার পাণ্ডুলিপি।এ পত্রিকায় ছাপানোর বাসনা নিয়ে সঙ্গে করে এনেছেন।এমনভাবে লেখাটি ধরে আছেন তিনি, যেন ওটা একটা সদ্য ফোটা গোলাপ, যা অতিসাবধানে তুলে এনেছেন প্রিয়াকে উপহার দেওয়ার জন্য।
তরুণটিকে দেখামাত্র টেবিলে রাখা ফাইলে গভীর মনোনিবেশ করলেন তিনি।তিনি এখন কাজে খুব ব্যস্ত-এটা বোঝানোর চেষ্টা।

জলজ্যান্ত তরুণটি তাঁর নজরেই পড়ল না।তাই সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আস্তে করে গলা খাঁকারি দিলেন তরুণ।তারপর একটু উশখুশ করে সামনের টেবিলে ইচ্ছে করে দুইবার গুঁতোও দিলেন তিনি।কাজ হলো না।শেষ পর্যন্ত কাতর কণ্ঠে তোতলাতে তোতলাতে তরুণ বললেন, �একটা গল্প এনেছিলাম, যদি দয়া করে দেখতেন।এর আগে আমি দু-চারটা অন্য ম্যাগাজিনেও লিখেছি।�

সম্পাদক সাহেবের দৃষ্টি যেমন ফাইলে ডুবে ছিল তেমনি রইল।শুধু মুহূর্তের জন্য বাঁ হাতের আঙ্গুলটা উল্টে �কচু� দেখানোর ভঙ্গি করলেন।আসলে তিনি ওই ঘরের মধ্যে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে দিলেন নিঃশব্দে।

কাঠপেনসিলের মতো সরু এক ভদ্রলোক সম্পাদকের আঙ্গুল বরাবর আয়েশ করে চেয়ারে বসে সিগারেট ফুঁকছেন।তাঁর সামনের টেবিলে পড়ে আছে বিশাল আকৃতির এক খাতা।হাত থেকে পাণ্ডুলিপিটি নিয়ে বিশাল ওই খাতাটায় তরুণের নাম-ধাম চটপট তুলে নিয়ে বললেন, �এখন আপনি আসতে পারেন।�

�আমি আবার কবে আসব?� আমতা আমতা করে বললেন তরুণ।চোখে মিনতি ঝরে পড়ল তাঁর।

�আর আসতে হবে না আপনাকে।লেখা মনোনীত হলে আমরাই জানাব।�

এ জানানোটা যে কী আর ওই বিশাল আকারের খাতাটি যে কী ভয়ঙ্কর, তরুণ তা খুব ভালো করেই জানেন।

এরপর একে একে আরও তিন তরুণ ঢুকলেন সম্পাদকের কামরায়।তিনজনই পরপর নিস্তেজ-নিষ্প্রাণ হয়ে বেরিয়ে এলেন।দৃশ্যপটে প্রথম তরুণের আবির্ভাব ঘটল পুনরায়।জমা দেওয়া লেখাটির ব্যাপারে জানতে এসেছিলেন বোধহয়।কিন্তু চোখের সামনে দৃশ্যটা দেখে চুরমার হয়ে গেল তাঁর ভেতরটা।হয়েছে কি, সম্পাদক সাহেবের টেবিলে চা রাখতে গিয়ে ছলকে পড়ল খানিকটা।সহকারী সাহেব মহা বিরক্ত হয়ে হাতের কাছে মোছার মতো কিছু না পেয়ে তরুণটির সাধের লেখাটি থেকে খানিকটা কাগজ ছিঁড়ে নিলেন।তারপর টেবিলটা মুছে টেবিলের নিচের ওয়েস্টপেপারের বক্সে ফেলে দিলেন।বাকিটুকুর কী হাল হবে বুঝতে দেরি হলো না তরুণের।
কিছুক্ষণ পর কামরার দৃশ্যপটে আবার পরিবর্তন এল।দৃশ্য পরিবর্তনের কারণ সুদর্শনা এক তরুণীর আবির্ভাব।তার সুগন্ধির সৌরভে ঋষির ধ্যান ভাঙল যেন।সম্পাদকের জমাটবাঁধা বিরক্তি মুহূর্তেই বরফের মতো গলে পানি হয়ে গেল।কান পর্যন্ত বিস্তৃত দেঁতো হাসিতে আর চকচকে আগ্রহী চোখে সাদর অভ্যর্থনায় তরুণীকে বসতে দিলেন তিনি।

তরুণীটি একটু হেসে সম্পাদক সাহেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, �একটা লেখা এনেছিলাম।�
�অবশ্যই! আপনার মতো তরুণীদের ভালো লেখার জন্যই এতকাল আমি অপেক্ষা করছি।�
সম্পাদক সাহেব অত্যন্ত আগ্রহসহকারে তরুণীর হাত থেকে পাণ্ডুলিপিটি নিলেন।পাতা উল্টে দু-একটা লাইনে চোখ বুলিয়ে বললেন, �ওহ্, চমৎকার! অপূর্ব! আমার নিউ ওয়েভ পত্রিকার ক্রিসমাস সংখ্যাতেই ছাপাব এটি।�

সম্পাদকের অতি উচ্ছ্বাস দেখে অবাক তরুণী বললেন, �মাত্র দু-এক লাইনে চোখ বুলিয়ে কী করে বুঝলেন যে লেখাটি ভালো হয়েছে?�

�আরে, আমি জহুরি।আমি না চিনলে কে চিনবে বলুন!�

অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে তরুণীটি উঠতে যাচ্ছিলেন।সম্পাদক সাহেব অনুরোধ করে তাঁকে আবার বসালেন।তারপর বেয়ারাকে ডেকে এক কাপ স্পেশাল চা আর ডাবল ডিমের পোচ আনতে বললেন।তরুণী লজ্জা পেয়ে বললেন, �আবার এসব কেন।�

�আরে, কী বলেন আপনি! আপনার মতো একজন লেখককে আমি এমনি এমনি ছেড়ে দেব ভেবেছেন?� তরুণীটি তখন হঠাৎ বললেন, �আপনি আমাকে লেখিকা ভেবেছেন বুঝি? এটা আমার লেখা নয়।এটা আমার বাবার লেখা!�

এ কথা শুনেই জোঁকের মুখে লবণ পড়ার মতো মুখের অবস্থা হয়ে গেল সম্পাদকের।তেতো ঢোক গিলে বললেন তিনি, �তা বাবার লেখা আপনি নিয়ে এসেছেন কেন?�

একটু যেন লজ্জা পেয়ে তরুণী বললেন, �বাড়িতে বিয়ের কারণে বাবা ব্যস্ত।আর তাঁকে না জানিয়ে তাঁর লেখাটি পত্রিকায় ছাপলে দারুণ একটা সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে তাঁকে।�

একরাশ বিষাদ নিয়ে সম্পাদক জিজ্ঞেস করলেন, �ও, বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত? তা কার বিয়ে?�

তরুণীটি লাজুক হেসে বললেন, �আমার!�

সম্পাদক সাহেব যেন বোবা হয়ে গেলেন।নিস্তব্ধতা ভেঙে তরুণী বললেন, �লেখাটা একনজরে যখন আপনার এত পছন্দ হয়েছে, তখন ক্রিসমাস সংখ্যায় না হোক, পরবর্তী সংখ্যায় নিশ্চয়ই ছাপাবেন।কিন্তু আমি আর আসতে পারব না।�

�কেন? আপনি কোথায় যাবেন?�

�বিয়ের পরই বন থেকে হানিমুনে সুইজারল্যান্ড তারপর রিভিয়েরা।�

এমন সময় বেয়ারা এসে জানালেন, �স্যার, ক্রিস্টোফারের ডিমের অমলেট ভাজতে নাকি একটু দেরি হবে।ডিম নাকি ফুরিয়ে গেছে।তাই আনতে পাঠিয়েছে।তা এখন শুধু স্পেশাল চা-ই নিয়ে আসব? পরে নাহয় আনা যাবে ওটা�

খেঁকিয়ে উঠে সম্পাদক সাহেব বললেন, �যা এখান থেকে, কিছুই আনতে হবে না।যা, ভাগ!�

- জেমস বার্নার্ড



এক দোকানদার তার নতুন কর্মচারীকে বলছে, কোন ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিবি না।যেমন কেউ ডেটল সাবান নিতে আসলে না থাকলে স্যাভলন সাবান ধরিয়ে দিবি একথা বলে দোকানদার বাইরে গেল।
কিছুক্ষণ পর এক ক্রেতা দোকানে এসে কর্মচারীকে বলল, টয়লেট টিস্যু আছে।
: টয়লেট টিস্যু নাই।তবে সিরিষ কাগজ আছে।আইজকা সেইটা দিয়া কাজ চালান।কাইলকা টিস্যু পেপার পাইবেন।



এক তরুণী জঙ্গেল হারিয়ে গেছে।
ঘোড়ায় চড়ে এক রেড ইন্ডিয়ান এসে তাকে প্রস্তাব দিলো কাছের শহরে পৌঁছে দেয়ার।
রাজি হয়ে তরুণী তার ঘোড়ার পেছনে চড়ে বসলো। ঘোড়া ছুটতে লাগলো।
কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে একটু পরপর রেড ইন্ডিয়ান লোকটি �আআআআআহহ� করে বিকট চিৎকার দিতে লাগলো।
শহরে পৌঁছে বাস স্টেশনের সামনে লোকটি নামিয়ে দিলো তরুণীকে, তারপর আরেকটা বিকট ইয়াহু চিৎকার দিয়ে উল্টোপথে ছুটে গেলো।
বাস স্টেশনের অ্যাটেন্ড্যান্ট বললো, �কী ব্যাপার, কী করেছেন আপনি, লোকটা অমন ক্ষেপে গেলো কেন?�
ঘাবড়ে গিয়ে তরুণী বললো, �কিছুই না। আমি তো ওর পেছনে ঘোড়ায় চড়ে বসেছিলাম, আর ওর হাত বাড়িয়ে ওর স্যাডলের সামনের দিকে হ্যান্ডেলটা শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছিলাম শুধু।�
অ্যাটেন্ড্যান্ট বললো, �মিস ,আপনি ভুল জায়গায় হাত দিয়েছেন কারণ রেড ইন্ডিয়ানদের ঘোড়ায় স্যাডল থাকে না।�



সাইকেল দুর্ঘটনার পর
সাইকেল আরোহী : আপনি আসলে লাকি মানুষ?
মহিলা : আহত করেও বলছেন, আমি লাকি?
সাইকেল আরোহী : আজ আমার অফ ডে, তাই সাইকেল চালাচ্ছি, আসলে আমি ট্রাক ড্রাইভার।



এক বখাটে ছেলে রাস্তায় একটি মেয়েকে দেখেই তার পাশের বন্ধুটিকে বলল, আরে চন্দ্র তো জানি রাতের বেলাই আলো ছড়ায়, আজ দেখছি দিনের বেলাতেই ছড়াচ্ছে।
তখন মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিল প্যাঁচা তো রাতের বেলাই ডাকে, আজ দেখছি দিনের বেলাতেই ডাকছে।



� জান মা, আপা না অন্ধকারে দেখতে পায়!
� কি করে বুঝলি?
� আমি শুনেছি ও ঘরে অন্ধকারে আপা সাকিব ভাইকে বলছে�"এ কী! আজ শেভ কর নি?"



:: আইন কেন একজন পুরুষকে একাধিক বিয়ে করতে দিতে সম্মত হতে চায় না?
:: কারণ একজনকে একটি অপরাধের শাস্তি মাত্র একবারই দেওয়া যায়।



পুলিশ - কিরে এত মাইর খাইলে কি করে?
ধৃত ব্যক্তি : আর বইলেন না, মানুষের চাপাচাপিতে হাত থেকে ফটোটা এক মহিলার পায়ের নিচে পড়ে যায়।
পুলিশ-এর জন্য মাইর খেতে হবে নাকি।
ধৃত ব্যক্তি : মহিলাকে বললাম, আপা কাপড় তুলেন ছবি তুলব।
বিমান চলছে। এক পেসেঞ্জার হঠাৎ করে হুরমুর করে প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! আমরা টাকা দেব আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!!"

এক তরুণী মেয়ে আর এক বুড়ো দাদু গিয়েছে ওজন মাপতে। প্রথমে মেয়েটা ওজন মাপাবার যন্ত্রে উঠলো, যন্ত্রের ভিতরে কয়েন ফেলল, টিকেট বেরিয়ে এল, ওজন ৬৪কেজি।
এবার মেয়েটা নামলো, কাধ থেকে ব্যাগটা নামাল, আবার যন্ত্রের উপর উঠলো, যন্ত্রের ভিতরে কয়েন ফেলল, টিকেট বের হয়ে এল, ওজন ৬৩কেজি।
 আবার মেয়েটা নামলো, জ্যাকেটটাকে খুলল, যন্ত্রের উপর উঠলো, যন্ত্রের ভিতরে কয়েন ফেলল, টিকেট বের হয়ে এল, ওজন ৬২কেজি।

আবার মেয়েটা নামলো, দোপেয়েটাকে খুলল, যন্ত্রের উপরে উঠলো, কয়েন শেষ।

এতক্ষণ ধরে বুড়ো দাদু সবকিছু দেখছিল। এবার সে কেশে বলল, "খুকী, চালিয়ে যাও। কয়েন লাগলে আমি দেব।"
 একজন আমেরিকান, একজন ভারতীয় আর একজন বাংলাদেশী বিমানে করে এক জায়গায় যাচ্ছে। পথে বিমানটি ক্রাশ করলো। তারা তিনজন প্যারাসুটে
করে একটা জঙ্গলের উপরে নামলো এবং জংলীদের হাতে পড়লো।

জংলীদের কাছে মুক্তি চাইলে ওরা বলল, "তোমাদেরকে আমরা মুক্তি দেব তবে একটা শর্ত আছে। তোমরা এই জঙ্গল থেকে আমাদেরকে এমন একটা ফল এনে দেবে যেটা আমরা কখনো খাইনি। যদি আমরা সেই ফলটাকে আগে খেয়ে থাকি তাহলে তোমাদের আনা ফলটাকে তোমাদের পশ্চাৎদেশ থেকে ভরা হবে।"

তারপর তিনজন লোক ফল সংগ্রহে নেমে পড়লো। আমেরিকান লোকটি অনেক খুজে একটা বাদাম নিয়ে এল। জংলীরা আগে বাদাম খেয়েছে। তাই বাদামটা আমেরিকানের পশ্চাৎদেশ থেকে ঢুকানো হল।

ভারতীয় লোকটা আনলো একটা বেল। বেলও জংলীরা খেয়েছে। তাই বেলটাকে তার পশ্চাৎদেশ থেকে ভরা হল। যখন ঢুকানো হচ্ছিল তখন ভারতীয় লোকটা একত্রে কাদছিল আর হাসছিল। হাসার কারণ জানতে চাইলে সে বলল, "বাংলাদেশী লোকটা একটা কাঠাল নিয়ে আসছে।"

একদিন এক ব্যাঙ ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য জোতিষীর কাছে গেলো।
জোতিষী তাকে বললো : খুব শীঘ্রই এক সুন্দরী মেয়ের সাথে তোমার দেখা হবে। মেয়েটি তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানে।

ব্যাঙ: চমৎকার! তার সঙ্গে আমার কোথায় দেখা হবে? পার্টিতে নাকি অন্য কোথাও?

জোতিষী : না! মেয়েটির বায়োলজি ক্লাশে।
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?

চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
রাজাঃ ধরো, আমি যদি স্থান পরিবর্তন করি। তুমি বসবে আমার ওই সিংহাসনে আর আমি বসব তোমার জায়গায়।

মন্ত্রীঃ না মহারাজ, সেটা সম্ভব নয়।

রাজাঃ কেন? তোমার কি রাজা সাজতে লজ্জা হয়?

মন্ত্রীঃ না, রাজা হতে লজ্জা হবে না, কিন্তু লজ্জা পাব আপনার মতো একটা নির্বোধকে আমার মন্ত্রী হতে দেখে!

এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদাই করে লেখা "বিজয়ী" ।
তাই দেখে লোকটা আতকে উঠে বলল, "হায় হায়! এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর অবস্থা না জানি কি‌?"
গাইড নায়াগ্রা জলপ্রপাত এর সামনে এসে তার অনুসারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলল।
গাইডঃ এটা হলো নায়াগ্রা জলপ্রপাত, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী জলপ্রপাত। প্রতিদিন প্রচুর লোক আসে এটাকে দেখতে। এটার আওয়াজ ২০ কিলোমিটার দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়।

এই বলে গাইড একটু থেমে বললো, "এবার আমি আমাদের মহিলা অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বলছি। আপনারা একটু নিরবতা পালন করুন, যাতে আমরা এর শব্দ শুনতে পাই।"
টিনা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।

পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, 'অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুত্সিত!'

টিনা চটে গেলেও কিছু বললো না, পাখির কথায় কী আসে যায়?

পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো,

'অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুত্সিত!'

টিনা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো।

তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও পাখিটা বলে উঠলো, 'অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুত্সিত!'

এবার টিনা মহা চটে দোকানের ম্যানেজারকে হুমকি দিলো, সে মাস্তান লেলিয়ে এই দোকানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজার মাপ চেয়ে বললো, সে এর বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, পাখিটা আর এমন করবে না।

তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাখিটা বলে উঠলো, 'অ্যাই আপু!'

টিনা থমকে দাঁড়িয়ে পাখির মুখোমুখি হলো, 'কী?'

পাখিটা বললো, 'বুঝতেই তো পারছেন।'



একটা বিমানে ৪ জন লোক ছিল। এক রাজনীতিবিদ, পাইলট, এক শিক্ষক ও তার ছাত্র। পথিমধ্যে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলো।
তখন পাইলট সবাইকে বলল, "আমাদের বিমানের পাখা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমাদের প্যারাসুট দিয়ে নামা ছাড়া উপায় নেই।"
তখন রাজনীতিবিদ সবার অলক্ষে প্যারাসুট রাখার রুমে ঢুকে প্যারাসুট নিয়ে নেমে গেল।
আর পাইলট গেলো দ্বিতীয় প্যারাসুটটা নিয়ে।
তখন শিক্ষক ছাত্রকে বলল, "তুমি যাও। আমার তো বয়স হয়েছে। আমি এমনিতেই মরব।"
তখন ছাত্র বলল, "না স্যার, আপনার মরতে হবে না। প্যারাসুট দুইটাই আছে।"
শিক্ষক বলল, "কীভাবে?"
ছাত্র বলল, "রাজনীতিবিদের চিন্তাটাকে আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছি। তাই আগে আগে প্যারাসুটের রুমে ঢুকে প্যারাসুটগুলোকে সরিয়ে ফেলে তার যায়গায় কিছু বস্তা রেখে দিয়েছি। রাজনীতিবিদ সেই বস্তা নিয়ে লাফিয়ে পড়েছে।

খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, এরশাদ ও একজন নাগরিক প্লেনে করে একজায়গায় যাচ্ছিল।
খালেদা জিয়া হঠাত বলল, "আমি বাংলাদেশের ১ জন নাগরিককে সুখি করতে পারব।"
সবাই বলল, "কিভাবে???"
খালেদা জিয়া বলল, "আমি যদি একটা ১০০ টাকার নোট এখান থেকে ফালাই তবে সেটাকে একজন নাগরিক পাবে। সুতরাং সে খুশি হবে।
শেখ হাসিনা বলল, "তাহলে আমি দশজনকে খুশি করতে পারব দশটা ১০০ টাকার নোট ফেলে।"
এবার এরশাদ বলল, "তাহলে আমি একশজনকে খুশি করতে পারব একশটা ১০০ টাকার নোট ফেলে।"
এবার সেই নাগরিক বলল, "আমি গোটা দেশকে খুশি করতে পারব।"
সবাই বলল, "কিভাবে???"
নাগরিক বলল, "আপনাদের তিনজনকে বিমান থেকে ফেলে দিয়ে।"

জনৈক ব্যাক্তি রিকসা খুঁজছেন। পাওয়ার পর বললেন যে তিনি কোথায় যাবেন। শুনে রিকসাওয়ালা বললেন, ‍‍যাব, তবে ৩৫ টাকা দিতে হবে। শুনে লোকটি বলল, বিশ টাকায় যাবে।তখন রিকসাওয়ালা বলল, যাব, যদি আপনি রিকসা চালান আর আমি বসে থাকি তাহলে অবশ্যই বিশ টাকায় যাব।
১ম বন্ধু : জানিস আমাদের বাড়ির সবাই বাথরুমে গান গায় ।
২য় বন্ধু : স-বা-ই ?
১ম বন্ধু : চাকর-বাকর পর্যন্ত।
২য় বন্ধু : তোরা তাহলে সবাই গানের ভক্ত ।
১ম বন্ধু : দুর, তা নয় , আসলে আমাদের বাথরুমের ছিটকিনিটা নষ্ট তো ............

এক ভদ্রলোক হোটেলে খেতে বসে বিরক্ত হয়ে বেয়ারাকে ডাকলেন �
ভদ্রলোক : এই যে, শোন এ কি খাবার দিয়েছ ?
বেয়ারা : কেন স্যার ! কোন গোলমাল হয়েছে?
ভদ্রলোক : গোলমাল মানে ! আরে এ খাবার তো একেবারে গাধার খাদ্যের অযোগ্য !!
বেয়ারা : গাধার যোগ্য খাদ্য তো এই হোটেলে পাবেন না স্যার । আপনাকে না দিতে পাবার জন্য দু:খিত।

   ………….
Jokes: রাজনৈতিক
শুধু বিলই পাস করমু

এক নেতা যখন ভোটে দাঁড়ালেন, প্রচুর পোস্টার ছাপালেন। প্রেসের লোক এসে বলল, স্যার, এত পোস্টার ছাপালেন, বিলটা তো পাইলাম না। নেতা বললেন, খাড়াও মিয়া, খালি সংসদে যাই, তারপর তো শুধু বিলই পাস করমু।

নেতা: কথা দেন, আমারে ভোট দিবেন৷
ভোটার: আরেকজনেরে যে কথা দিয়া ফেলছি৷
নেতা: আরেকজনরে কথা দিলেই যে আরেকজনরে ভোট দিতে হবে, তা তো না৷
ভোটার: তাইলে আপনারেও কথা দিলাম৷



Jokes: সর্দারজী
আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে

একবার এক ট্র্যাফিক পুলিশ দেখে কী একটা অদ্ভুত জন্তুর পিঠে এক সর্দারজী বইসা মনের সুখে হেইলা দুইলা আইতেছে । পুলিশের কাছে আইসা সর্দারজী কয়, ওস্তাদ, এই জানোয়ারের জাত কী মামা?

এইটারে কয় জলহস্তী, তুমি এইটার পিঠে চড়লা ক্যামনে?

জলহস্তী? আমি ভাবছি এইটা বোধহয় স্থল-মহিষ । বাচপান কালে কতো চড়াইসি বাপের বাথানে! আমি হের নাম দিসি কাল্লু !

তুমি শিগগির এইটারে চিড়িয়াখানায় রাইখা আসো । নাইলে খবর আছে!

ঠিক হ্যায়, ওস্তাদ । অ্যাই কাল্লু! হ্যাট ! হ্যাট হ্যাট! চল্, চিড়িয়াখানায় যাই!

পরের দিন সেই পুলিশ দেখে ঠিক সেই সর্দারজী, ঠিক সেই কাল্লু থুক্কু জলহস্তীর পিঠে মহা আয়েশ কইরা আসতেছে ।

সর্দারের পো! তোমারে না গতকাল কইছি জানোয়ারটারে নিয়া চিড়িয়াখানায় যাইতে?

গেছিলাম তো ! কাল্লুর খুব পছন্দ হইছিল । আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে ! অ্যাই কাল্লু! হ্যাট! হ্যাট! হ্যাট!



চার সর্দারজীর গল্প

তারা সিদ্ধান্ত নিল একসঙ্গে ব্যবসা করবে। কী ব্যবসা করা যায়? অনেক ভেবে তারা একটি মোটর গ্যারেজ দিল। কিন্তু এক মাস চলে গেল, কোনো কাজ নেই। কেন বলুন তো?

কেন?

কারণ তারা গ্যারেজটা দিয়েছে ছয় তলায়। মানুষ কি গাড়ি নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠবে?
এরপর তারা এ ব্যবসা বাদ দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা চিন্তা করল। তারা একটি ট্যাক্সিক্যাব কিনে রাস্তায় নামাল। দিন যায় কিন্তু কোনো যাত্রী ওঠে না। কেন বলুন তো?
কেন?

কারণ, তারা চারজনই গাড়িতে উঠে বসে থাকে। যাত্রী বসবে কোথায়?
চারজনই মহা উত্তেজিত। তারা ঠিক করল, এই গাড়ি সমুদ্রে ফেলে দেবে। গাড়ি নিয়ে যাওয়া হলো সমুদ্রপারে। গাড়ি ঠেলছে কিন্তু কিছুতেই ফেলতে পারছে না। কেন বলুন তো?
কেন?

কারণ, দুজন ঠেলছে পেছন থেকে, দুজন সামনে থেকে।



বান্তা সিং একবার লটারির টিকিট কিনে জিতেছে। নির্দিষ্ট দিনে পুরস্কারের টাকা নিতে লটারি অফিসে গেল সে। লটারি অফিসের স্মার্ট কর্মকর্তাটি খুব বিনীতভাবে বান্তা সিংকে বুঝিয়ে বললেন, �আপনি এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন। তো এবার আমাদের নিয়মানুযায়ী সরকারের ট্যাক্স পরিশোধ করে আপনাকে পুরো টাকাটা নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আপনাকে ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছি। এ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করে ছাড়পত্র এনে দেখালেই আমরা বাকি টাকা আপনাকে দিয়ে দেব।�
বান্তা : না, আমি লটারি জিতেছি। কাজেই টাকাটা এখন আমার। আমি আমার সব টাকা এখনই চাই। লটারি অফিসের অফিসারটি এবার আরও বিনীতভাবে বান্তা সিংকে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললেন।
কিন্তু বান্তা সিং এটা মানতেই নারাজ। এরপর অফিসারটি আবার বোঝানোর চেষ্টা করতেই বান্তা সিং রেগে চিৎকার করে বলল, �দ্যাখো আমাকে আর বেশি বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আমার পুরো এক কোটি টাকা আমি এখনই চাই। আর তা যদি না দাও তাহলে এ নাও তোমাদের টিকিট। আমাকে টিকিটের দশ টাকা ফেরত দাও।�



প্রশ্ন : কোন সরদারকে কিভাবে ভড়কে দেয়া যায়?
উত্তর : তাকে বৃত্তের কোণ (angle) খুঁজে বের করতে বলে।
প্রশ্ন : সে কিভাবে আমাদের ভড়কে দিতে পারে?
উত্তর : ওই বৃত্তের কোণ বের করে।



Jokes: স্বামী-স্ত্রী
এক ভদ্রলোক একটা মোটর গাড়ী দুঘটনার একেবারে চুরমার হয়ে গেছে । তিনি তার গাড়ী যেখানে বীমা করেছিলেন সেখানে গিয়ে টাকার দাবী করলেন । কোম্পানীর ম্যানেজার বললেন যে আপনাকে তো টাকা দেয়া হবে না । আপনাকে গাড়ীর বদলে একটা নতুন গাড়ী দেয়া হবে । ভদ্রলোক তো আৎকে ঊঠলেন । আরে আমার স্ত্রীর নামে বীমা করা , সে মরে গেলে কি আপনারা একই ব্যবস্থা করবেন ?



এক লোকের বউয়ের নাম হাসি আর শ্যালিকার নাম খুশি।
সেই লোক রাতের শিফটে কাজ করে।

বহুদিন পর খুশি দুলাভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছে।
হাসি আর খুশি ডিনার সেরে টিভি দেখতে দেখতে একই খাটে শুয়ে পড়লো।

দুলাভাই ভোর চারটার দিকে বাড়ি ফিরলো। সে জানে শ্যালিকাটি বউয়ের পাশেই ঘুমোচ্ছে। বাসায় ফিরে রুমে ঢুকে কেয়ারফুলি কেয়ারলেস ভাব নিয়ে শ্যালিকার পাশে শুয়ে পড়লো। যেন সে ঘুমের ঘোরে এ কাজটি করছে, এমন কেয়ারলেস ভাব নিয়ে এক সময় শ্যালিকাকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকে। আদর পেয়ে শ্যালিকার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে চাপা স্বরে বলে, দুলাভাই আমি খুশি...আমি খুশি.
দুলাভাই এবার চেতন হবার ভাব ধরে ফিসফিস করে বলে, আমি তো ভাবছিলাম তুমি রাজিই হইবা না। চলো পাশের রুমে যাই।



স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া। মুখ দেখা, কথা বন্ধ।
রাতে শুতে যাওয়ার সময় স্বামীর মনে পড়ল পরের দিন ভোরবেলা ফ্লাইট । এদিকে স্বামী বেচারা সকালে উঠতে পারে না। সাত-পাঁচ ভেবে সে একটি কাগজে লিখল " কাল সকাল চারটার সময় ডেকে দিও।" কাগজটা স্ত্রীর বালিশের কোণায় চাপা দিয়ে স্বামী নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল।

পরের দিন সকালে সাড়ে আটটার সময় স্বামীর ঘুম ভাংল। সময় দেখে তার তো চক্ষু চড়কগাছ। রেগেমেগে চিৎকার করে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে তার নজরে পড়ল বালিশের পাশে একটা চিরকুট।

খুলে দেখল লেখা আছে " চারটে বেজে গেছে, উঠে পড়ো।"



একটি আন্তর্মহাদেশীয় ট্রেনে এক ব্যক্তি আর এক মহিলা একই কম্পার্টমেন্টে শোওয়ার জায়গা পেয়েছেন। প্রথমে কিছুক্ষণ উসখুস করলেও দুজনেই খুব ক্লান্ত থাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। ভদ্রলোক উপরের বার্থে আর ভদ্রমহিলা নীচের বার্থে।

মাঝরাতে হঠাৎ ভদ্রলোকের ঘুম ভাংল। তিনি একটু ইতস্তত করে ভদ্রমহিলাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন দেখুন কিছু মনে করবেন না , আমার এত ঠান্ডা লাগছে, আপনি কি দয়া করে আমার সুটকেস থেকে একটা কম্বল বার করে আমায় দেবেন ?

ভদ্রমহিলা উত্তরে বললেন আমার আরো একটা ভালো আইডিয়া আছে। আজকের রাতের জন্য মনে করি না আমরা স্বামী আর স্ত্রী?

ভদ্রলোক খুব অবাক আর মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললেন ওয়াও!!! দারুণ আইডিয়া!! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?

উঠুন আর নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন।



স্ত্রী: আমার সাথে ১০ বছর সময় কাটানো তোমার কাছে কি?
স্বামী: আরে সে ১ সেকেন্ড মনে হয়। চোখের পলকে কেটে গেল প্রিয়ে...
স্ত্রী: (খুশি হয়ে) আমার জন্য ১০,০০০ টাকা তোমার জন্য কি?
স্বামী: আরে সেত ১ টাকার মত। কোন ব্যাপারই না।
স্ত্রী: (ততধিক খুশি হয়ে)তা জানু আমাকে ১০,০০০ টাকা দিতে পারবে এখন?
স্বামী: (গম্ভির হয়ে) দাড়াও এক সেকেন্ড পরে দেই।



দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে �
১ম বন্ধুঃ তুমি তো দেখছি একেবারে তোমার বউয়ের চাকর হয়ে গেছ! সেদিন দেখলাম তুমি তোমার প্যান্টটা নিজেই সেলাই করছ ।
২য় বন্ধুঃ তুমি ঠিকই দেখেছ। কিন্তু সেই প্যান্টটা তো আমার নয়, ওটা আমার স্ত্রীর।



স্ত্রী: শোনো না, নীচের তলায় চোর এসেছে। সকালে যে কেকটা বানিয়েছিলাম, সেটা খেয়ে নিচ্ছে।
স্বামী: কাকে ডাকব, পুলিশ না অ্যাম্বুল্যান্স?



স্বামী: আজ মাছ রান্না হয়নি কেন?
স্ত্রী: মাছটাকে মারতেই পারলাম না।
স্বামী: কী ভাবে মারার চেষ্টা করছিলি?
স্ত্রী: জলে ডুবিয়ে!



স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না?
স্বামী : না, ঠিক তা নয়।
স্ত্রী : তাহলে?
স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না।



১ম বন্ধুঃ আসলে তুই একটা ইঁদুর।
২য় বন্ধুঃ তোর এই কথাটা আমি মানতে পারলাম না। কারণ ইঁদুর হলে আমার বউ এতদিনে আমাকে দেখে ছুটে পালাত। ইঁদুরকে ওর ভীষণ ভয়।



স্বামী : তোমার এক মাসে এতো লিপস্টক লাগে আমি ভাবতে পারি না, আর কারো এতো লাগে কিনা?

স্ত্রী : আরে লিপস্টকের অর্ধেকতো তোমার পেটেই যায় |



স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী তার পুরানো প্রেমিকের সাথে বসে গল্প করছিল | এমন সময় হঠাত স্বামী এসে পড়লে প্রেমিক আলমারির পিছনে লুকিয়ে গেল | ঘরের মেঝেতে চুরুট পড়ে থাকতে দেখে স্বামী রেগে গেল |বলে উঠল,এই চুরুট কোথা থেকে এসেছে?? স্ত্রী কিছু বলতে পারল না দেখে স্বামী আরো রেগে গেল | স্বামী বলল তোমাকে বলতেই হবে এই চুরুট কোথাকার??? প্রেমিক বন্ধুটি সহ্য করতে না পেরে আলমারির পিছন থেকে বের হয়ে বলল,ও তো মেয়ে মানুষ ,ও কি করে জানবে এই চুরুট কোথাকার?? আপনি পুরুষ মানুষ হয়ে ও চিনতে পারছেন না যে এই চুরুট আমেরিকার???



সেই যে বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে , এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষন নেই ।স্বামী স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায় । একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলো , মিছামিছি। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনায় তাদেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিল- যে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে । স্বামী বললো তোমার লাগে টাগে নিতো ? যে জোরে কাদছিলে । স্ত্রী বললো দূর এক্টুও লাগেনি। এতো লোক দেখান কেদেছিলাম । হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাব , হেঁ,হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম ।



নতুন বিয়ে হওয়া বান্ধবীকে প্রশ্ন করল শায়লা- কী রে তোর বর কেমন?

: স্বামী আর পেঁচার মাঝে কোন প্রর্থক্য নেই |
: কেন, এমন কথা বলছিস কেন?
: বলছি কারন স্বামীরা তাদের বউদের সব ভালো জিনিস শুধৃ রাতের বেলাই খুজে পায় |



এক ভদ্রলোক একটা মোটর গাড়ী দুঘটনার একেবারে চুরমার হয়ে গেছে । তিনি তার গাড়ী যেখানে বীমা করেছিলেন সেখানে গিয়ে টাকার দাবী করলেন । কোম্পানীর ম্যানেজার বললেন যে আপনাকে তো টাকা দেয়া হবে না । আপনাকে গাড়ীর বদলে একটা নতুন গাড়ী দেয়া হবে । ভদ্রলোক তো আৎকে ঊঠলেন । আরে আমার স্ত্রীর নামে বীমা করা , সে মরে গেলে কি আপনারা একই ব্যবস্থা করবেন ?



ঐ শালা খুব মজা লুটেছে
মুখোশ পার্টিতে যাবে রোমেল আর তার বউ।

রোমেলের বউ শেষ মিনিটে বললো, সে যাবে না, তার মাথা ধরেছে। রোমেল একটা স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বেরিয়ে গেলো একাই। ঘন্টাখানেক পর রোমেলের বউ মত পাল্টে একটা মুখোশ পরে নিয়ে পার্টিতে গেলো, একা একা রোমেল কী করে বেড়ায় দেখতে।

পার্টিতে গিয়ে সে দেখলো স্পাইডারম্যানের মুখোশের চারপাশে অনেক মহিলা, জমিয়ে আড্ডা মারছে রোমেল। চটে মটে রোমেলের বউও সেই ভিড়ে গিয়ে জুটলো, তারপর এক এক করে মহিলাকে হটিয়ে দিয়ে রোমেলকে দখল করলো সে। নির্জনে রোমেল তার কানে কানে কুপ্রস্তাব দিলো। মনে মনে চটে গিয়ে রাজি হলো রোমেলের বউ। ঘন্টাখানেক আদরসোহাগের পর রোমেলকে পার্টিতে রেখেই বাড়িতে ফিরে এলো সে।

গভীর রাতে ক্লান্ত রোমেল বাড়িতে ফিরলো।

তার বউ চিবিয়ে চিবিয়ে জানতে চাইলো, পার্টি কেমন হয়েছে। রোমেল বললো, আরে ধ্যুৎ, খুব বোরিং। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু কোণার ঘরে বসে তাস খেলেছি।

তাই? কোন মজা হয়নি পার্টিতে?

একদম না। তবে যে ব্যাটাকে আমার মুখোশটা ধার দিয়েছিলাম, ঐ শালা খুব মজা লুটেছে।



স্ত্রী বিউটি পার্লার থেকে সেজেগুজে বাসায এসে দেখে, স্বামী এক বামন তরুনীর সাথে শুয়ে। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে চেঁচিয়ে উঠল স্ত্রী, �তুমি না আমাকে কথা দিয়েছিলে , আমি ছাড়া কোন মেয়ের সাথে বিছানায় যাবে না..., এই তোমার কথার নমুনা?�
�রেগো না হানি, দেখতেই তো পাচ্ছ অভ্যাসটা আস্তে আস্তে ছোট করে আনছি।�




স্বামীঃ আচ্ছা বিয়ের আগে তোমাকে কেউ চুমু খেয়েছিলো?
স্ত্রীঃ একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম | সেখানে আমাকে একা পেয়ে একটা ছেলে ছোরা বের করে বলেছিলো, যদি চুমু না খাও, তাহলে খুন করে ফেলবো |
স্বামীঃ তারপর তুমি চুমু খেতে দিলে?
স্ত্রীঃ দেখতেই পাচ্ছো, আমি এখনও বেঁচে আছি |



আত্মহত্যা ভাল নাকি খুন হওয়া ভাল

আমার কাছে সত্যই একটা ব্যাপার হাসির মনে হয় যখন শুনি মানুষ প্রশ্ন করে যে ভালবেসে বিয়ে করা ভাল নাকি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা ভাল। আমার কাছে মনে হয় একজন যেন অন্য একজনকে প্রশ্ন করছেঃ আত্মহত্যা ভাল নাকি খুন হওয়া ভাল।



কোন সিনেমাটা দেখলি

দুই বন্ধু গল্প করছে
সুমনঃ বুঝলি, কাল আমার বউয়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল ।
সাজুঃ কি নিয়ে?
সুমনঃ আমি চাইছিলাম ক্লাবে যেতে আর ও চাইছিল সিনেমায় যেতে ।
সাজুঃ তা শেষ পর্যন্ত কোন সিনেমাটা দেখলি?

জরিমানা

একলোক এক ট্রাফিক মহিলাকে বিয়ে করল। বাসর রাতের পরদিন ট্রাফিক মহিলা ১০০০ টাকা জরিমানা করল এভাবে
ওভার স্পীড ৩০০
হেলমেট না পরা ৩০০
রং ওয়ে এট্রি ৪০০

ভায়াগ্রা ভায়োলেন্স

ভোরবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, নাস্তা করবে না? ডিম পোচ আর টোস্ট, সাথে আপেল আর কড়া এক কাপ কফি?

স্বামী মাথা নাড়লেন, উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।

দুপুরবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, লাঞ্চ করবে না? মুরগির সুপ, সালাদ, আর তার সাথে চিজ স্যান্ডউইচ নাহয়?

স্বামী মাথা নাড়লেন, উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।

সন্ধ্যেবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, ডিনার করবে না? যাও না গো, চিকেন ফ্রাই নিয়ে এসো, দুমিনিট লাগবে, ঐ মোড়ের কাবাবের দোকানে পাবে। কিংবা পিজার অর্ডার দিই ফোন করে?

স্বামী মাথা নাড়লেন, উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।

মহিলা এবার চটে গিয়ে বললেন, তাহলে নামো আমার ওপর থেকে। ক্ষিদেয় পেট জ্বলছে আমার, কিছু খাবো!

নিজের ইচ্ছেশক্তি পরীক্ষার জন্যে এক ভদ্রলোক ঠিক করলেন, তিনমাস তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে তাঁর স্ত্রীর তেমন আগ্রহ না থাকলেও ভদ্রলোকের প্রস্তাবে রাজি হলেন তিনি।
প্রথম কয়েক হপ্তা তেমন একটা সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয় মাস থেকে শুরু হলো সমস্যা। ভদ্রমহিলা তখন বোরখা পরে আর রসুন চিবিয়ে ঘুমুতে গেলেন। বহুকষ্টে দ্বিতীয় মাস কাটানোর পর তৃতীয় মাস থেকে সত্যিই খুব কষ্ট হতে লাগলো। মহিলা বাধ্য হলেন ভদ্রলোককে ড্রয়িংরূমের সোফায় ঘুমুতে পাঠানোর জন্যে, আর রাতে নিজের ঘরের দরজায় খিল এঁটে রাখতে হলো তাঁকে।
এমনি করে তিনমাস শেষ হলো। একদিন ভোরে শোবার ঘরের দরজায় টোকা পড়লো। ঠক ঠক ঠক।
বলো তো আমি কে? ওপাশ থেকে ভদ্রলোকের গলা ভেসে এলো।
আমি জানি তুমি কে! উৎফুল্ল গলায় বললেন মহিলা।
বলো তো আমি কী চাই?
আমি জানি তুমি কী চাও!
বলো তো আমি কী দিয়ে দরজায় নক করছি?

স্ত্রীঃ বল তো, সবচেয়ে ক্ষুদ্র ও ক্ষনস্থায়ী পোশাক কোনটি ?
স্বামীঃ কনডম !!

চতুর্থ বিয়ের পর টিনা গেছে হানিমুনে।
প্রথম রাতে স্বামীকে বলছে সে, প্লিজ, ধীরে, আমি কিন্তু এখনো কুমারী।
টিনার স্বামী ঘাবড়ে গিয়ে বললো, কিন্তু তুমি তো আগে তিনবার বিয়ে করেছো!
টিনা বললো, হ্যাঁ। কিন্তু শোনোই না। আমার প্রথম স্বামী ছিলেন একজন গাইনোকলজিস্ট, আর তিনি শুধু ওখানে তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করতেন। দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, তিনি শুধু ওখানকার ব্যাপারে কথা বলতে পছন্দ করতেন। আর আমার তৃতীয় স্বামী ছিলেন একজন স্ট্যাম্প কালেক্টর � ওফ, আমি ওঁকে খুবই মিস করি!



শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে আনিসের সম্পর্ক ভালো না প্রথম থেকেই।সেই প্রথম যেদিন টিনা বাসায় জানাল আনিসের কথা সেইদিন থেকেই ...আনিসের যোগ্যতা-পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে নানা কথা হতে হতে ইদানিং আনিসের মনটা একেবারে বিষিয়ে উঠেছে।
ওরা দুইজনে ডিটারমাইন্ড থাকাতেই হয়তো ওদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়েছিল।
কিন্তু বিয়ের পর পর ও আনিস যতবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে খালি জুটেছে অনাদর আর শ্বাশুড়ির খোঁটা।টিনা এইটা নিয়ে অনেক ঝগড়াঝাটিও করেছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
শেষে বাধ্য হয়ে শ্বশুড়বাড়ি যাওয়া একরকম বন্ধই করে দিয়েছে আনিস।
অবশ্য শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের এহেন আচরণে আনিস কিংবা টিনা কারোই ভালোবাসায় কোন প্রভাব ফেলেনি।আনিসের ছোট চাকরিতেও দিব্যি চলছিল দুজনার ছোট্ট সংসার।

তারপর ...ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আরকি কিছুদিন পরই একটা ভয়াবহ কার অ্যাক্সিডেন্টে টিনা দারুনভাবে আহত হয়।র্দুঘটনাটিতে ভয়াবহভাবে পুড়ে যায় টিনার শরীর।সারা শরীরই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার, কিন্তু ডাক্তারের ভাষ্যমতে সবচে বাজে অবস্থা মুখের।ডাক্তার জানালেন, কসমেটিক সার্জারি করতে হবে।অন্য কোথাও থেকে চামড়া এনে বসাতে হবে মুখে।কিন্তু টিনার নিজের শরীরের চামড়া এ অবস্থায় সরানো সম্ভব নয়, সমস্যা হতে পারে।

টিনার এ অবস্থায় আনিস তার নিজের শরীর থেকে চামড়া নেয়ার প্রস্তাব দিল।ডাক্তার রাজি হলেন, এবং আনিসের নিতম্ব থেকে চামড়া তুলে টিনার মুখে বসালেন।অবশ্য এই দম্পতি ডাক্তারকে অনুরোধ জানালেন গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্যে।

অপারেশন শেষে দেখা গেলো, টিনাকে আরো সুন্দরী দেখাচ্ছে।আত্মীয়স্বজন তো তাঁকে দেখে অবাক, এবং এতো চমৎকার অপারেশনের জন্যে ডাক্তারকে প্রচুর ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন টিনা-আনিস।

কিছুদিন পর নিরালায় টিনা ধন্যবাদ জানালেন আনিসকে।�তুমি আমার জন্যে যা করলে, তা আমি জীবনে ভুলতে পারবো না গো, এর প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।� গদগদ হয়ে বলল টিনা।

আনিস তাকে একহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, �ও কিচ্ছু না, লক্ষীটি।আর তোমার প্রতিদান দিতেও হবে না।যতবার তোমার মা এসে তোমার গালে চুমো খাবে, আমার প্রতিদান পাওয়া হয়ে যাবে।�

শপিং সেরে বাড়ি ফিরতেই ছোট্ট অন্তু তার মাকে বললো, �মা মা, আজ কী হয়েছে শোনো, আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢুকলো।তারা দুজন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো।�

এটুকু শুনেই অন্তুর মা তাকে থামিয়ে দিলেন।মুখখানা গম্ভীর করে বললেন, �ব্যস, আর একটা শব্দও না।এবার বাবা ফিরলে তুমি যা দেখেছো, তা আবার ঠিক ঠিক বলবে, কেমন?�

অন্তুর বাবা বাড়ি ফিরতেই অন্তুর মা মুখ ঝামটা দিলেন।�তোমার মতো একটা লম্পটের সাথে আমি আর সংসার করবো না।�

অন্তুর বাবা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, �কেন?�

তখন অন্তুর মা বললেন, �বল অন্তু, কী দেখেছিস গুছিয়ে বল।�

অন্তু বললো, �আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢুকলো।তারা দু�জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো, তারপর তুমি আর পাভেল আঙ্কেল গত পরশু দিন দুপুরে যা করেছিলে, বাবা আর টিনা আন্টি তা-ই করতে লাগলো।�



বাসর রাত। আনাড়ি স্বামী অনেক চেষ্টা করেও লক্ষ্যে না যেতে পেরে খুব বিব্রত। লজ্জায় নিজের কথা বলতে পারছে না বউকে।

স্বামীঃ এই শুনছো, সুইয়ে সুতোটা পরিয়ে দেও না, আমার মোটেও অভ্যাস নেই।
বউঃ সুতোর মাথাটা থুতুতে ভিজিয়ে নেও, দেখবে ঠিকই পারবে।

প্রবাসী স্বামী তার স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে লিখেছে,


প্রিয় সুইট হার্ট,
আমি এই মাসের বেতনের টাকা পাঠাতে পারছিনা, তাই তোমাকে ১০০ kiss পাঠালাম।
ইতি
তোমার স্বামী।

তার বউ কিছুদিন পর সে চিঠির উত্তর দিল এভাবে,

প্রিয় জান,
তোমার পাঠানো kiss গুলোর বিস্তারিত জানাচ্ছি।
১.দুধ ওয়ালা ২টা kiss বিনিময়ে এক মাসের জন্য দুধ দিতে রাজি হয়েছে।
২.বিদ্যুত বিলওয়ালা ৭টা kiss এর বিনিময়ে শান্ত হয়েছে।
৩.বাড়ি ওয়ালাকে প্রতিদিন দুইটা কিংবা তিনটা করে kiss দিতে হচ্ছে।
৪.সুপার মার্কেট মালিক শুধু kiss তেই মানি রাজি নয়, তাই ...(সেন্সর)
৫.আর অন্যান্য খাতে ব্যায় হয়েছে ৪০ টি kiss
আমার জন্য কোন চিন্তা করোনা।আরও কিছু kiss এখনও বাকি আছে।আমি আশা করছি সেগুলো ব্যাবহার করে এ মাস ভালোই চলতে পারব।
ভালো থেকো।
ইতি
তোমার বউ।

স্বামী: ওগো, জানো কাল রাতে তুমি যে বললে, আমার পাঞ্জাবিটা ছিঁড়ে যাওয়ায় ঈদে একটা নতুন পাঞ্জাবি কিনে দেবে কথাটা আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়েছে।
স্ত্রী: তুমি স্বপ্নই দেখেছ। তোমার ছেড়া পাঞ্জাবি আমি সেলাই করিয়ে এনেছি।

স্বামী: তুমি কি ভেবেছো? আমি কি গাধা!!?
স্ত্রী: এতে ভাবাভাবির তো কিছু দেখি না!

স্ত্রী: প্রতিজ্ঞা করো, আমি মরে যাওয়ার পর কাউকে ভালোবাসবে না।
স্বামী: সে প্রতিজ্ঞা করলাম। কিন্তু তুমি বেঁচে থাকা অবস্থায় এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার তো দরকার নেই?

স্বামীর অফিসে যাবার সময় স্ত্রী তার কাছে একটা ছোট প্যাকেট দিয়ে বললেন
এটাতেই তোমার লেডী টাইপিস্টের জন্য এক শিশি চুল ওঠার ঔষুধ আছে। তোমার কোটে তার চুল খুব বেশী করে পাওয়া যাচ্ছে।

প্রগতিশীল বর (দোকানের সেলস্ গার্লকে): আচ্ছা আপনাদের এখানে কি এমন কোন বই আছে যার নাম "মহিলাদের শাসন কর্তা পুরুষ"?
সেলস্ গার্লঃ জি স্যার, আষাঢ়ে গল্পের বই ৩/২ নং সেকশনে পাবেন।

স্ত্রীঃ স্বামী এবং স্ত্রীকে কখনো একসঙ্গে স্বর্গে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয় না।
স্বামীঃ হ্যাঁ, এজন্যই এর নাম স্বর্গ।

একটা উপদেশ- সবসময় মানিব্যাগে আপনি আপনার স্ত্রীর ছবি রাখুন। যখনই বড়ো কোনো সমস্যায় পড়বেন তখন মানিব্যাগ বের করে স্ত্রীর ছবিটা দেখবেন, আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না।



স্ত্রী : বল তো, আমি সুন্দরী এটা কোন কাল?
স্বামী : অতীত কাল!



স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করছে । ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীর গালে চড় মারল-
স্বামী: তুমি আমাকে চড়টা সিরিয়াসলি মেরেছ, নাকি ইয়ার্কি করে মেরেছ ?
স্ত্রী: সিরিয়াসলিই মেরেছি ।
স্বামী:তাহলে আজ বেঁচে গেলে। তুমি তো জানো আমি ইয়ার্কি একদম পছন্দ করি না।



Jokes: হোজ্জা নাসিরুদ্দীন
একদিন হোজ্জা তার প্রিয় গাধার পিঠে লবণ বোঝাই করে বাজারের দিকে রওনা দিলেন। পথে একটা নদী পড়ল।গাধাসহ নদী পার হলেন।কিন্তু নদীর পানিতে লবণ গলে একাকার।পণ্য হারিয়ে হোজ্জা বিরক্ত।গাধা তো মহা খুশি বোঝা থেকে বেঁচে গিয়ে।
এর পরেরবারও হোজ্জা ওই পথ দিয়ে গেলেন, তবে এবার তুলা বোঝাই করে।গাধা যখন নদী পার হলো তখন তুলা ভিজে ওজন বেড়ে গেল।গাধা ওজনদার মাল নিয়ে টলমল পায়ে এগিয়ে যেতে লাগল।
হাহ্! হোজ্জা চেঁচিয়ে বললেন, কেমন জব্দ! ভেবেছিলি প্রতিবার পানি দিয়ে গেলে পিঠের ওপরের মালের ওজন কমে যাবে, তাই না?

হোজ্জাকে একদিন একজন রাস্তায় থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, আজকে সপ্তাহের কোন দিন?
বলতে পারব না, জবাবে হোজ্জা বললেন, আমি এই এলাকায় নতুন।জানি না এখানকার মানুষেরা সপ্তাহের কোন দিনটি মেনে চলে

একদিন হোজ্জার স্ত্রী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসক ডাকতে বলেন।হোজ্জা তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন।তিনি ছুটে গেলেন চিকিৎসক ডেকে আনার জন্য।কিন্তু রাস্তার দিকের জানালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী জানালা দিয়ে গলা বের করে চেঁচিয়ে বললেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ! ব্যথাটা চলে গেছে, চিকিৎসকের দরকার নেই।
হোজ্জা স্ত্রীর কথা শুনলেন এবং চিকিৎসকের বাড়ির দিকে দৌড়ে গেলেন।বললেন, ডাক্তার, আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ ছিল এবং আপনাকে ডেকে আনার জন্য বলেছিল।কিন্তু আপনাকে ডেকে আনতে বের হওয়ার সময় বলল সে সুস্থ বোধ করছে, আপনাকে ডাকার দরকার নেই।তাই আপনাকে পুরো ব্যাপারটা বলতে এলাম এই জন্য যে তাকে দেখতে আসতে হবে না।

রাজার মেজাজ খারাপ।রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জা সামনে পড়ে গেলেন।
শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জার সামনে পড়ে যাওয়াটা আমার ভাগ্যের জন্য খারাপ, প্রহরীদের রাগত গলায় বললেন রাজা।আমার দিকে ওকে তাকাতে দিয়ো না-চাবুকপেটা করে ওকে পথ থেকে সরিয়ে দাও।
প্রহরীরা তা-ই করল।
শিকার কিন্তু ভালোই হলো।
রাজা হোজ্জাকে ডেকে পাঠালেন।
আমি সত্যি দুঃখিত, হোজ্জা।ভেবেছিলাম তুমি অশুভ।কিন্তু তুমি তা নও।
আপনি ভেবেছিলেন আমি অশুভ!হোজ্জা বললেন।আপনি আমাকে দেখার পর ভালো শিকার করেছেন।আর আমি আপনাকে দেখে চাবুকপেটা খেয়েছি।কে যে কার অশুভ, বুঝলাম না।

বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একটা গরু কিনল।কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাড়িয়ে থাকতে হতো।প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে:
হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাইতে পারে
পরদিন সকালে সে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে যে গাধাটা মরে পরে আছে।প্রানপ্রিয় গাধার মৃত্যুতে দুঃখিত ও হতাশ হয়ে হোজ্জা বিরস বদনে আকাশের দিকে তাকায়ে বলল:
কোন অভিযোগ করবনা, খোদা, কিন্তু তুমি এতদিন ধরে সারা দুনিয়ার মালিক হয়েও, কোনটা গরু কোনটা গাধা এইটা চিনলানা!

একবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অসুস্থ।নিজের গাধাটাকে খাওয়ানোর জন্য বিবিকে বললেন।হোজ্জার বিবি একটু ত্যাদড় টাইপের।সে গাধা কে খাবার দিতে অস্বীকার করল।দুজনের মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া।তারপর একটা সমঝোতা হল, যে আগে কথা বলবে সে গাধাকে খাওয়াবে।হোজ্জা বাজিতে জেতার ব্যপারে ডিটারমাইন্ড ছিল।
সেইদিনই, হোজ্জার বিবি বাইরে গেছে, খালি বাসা দেখে একটা চোর ঘরে ঢুকল।হোজ্জা বাসায় ছিল, কিন্তু বাজিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে চোরকে কিছু বলল না।চোর নির্বিঘ্নে ঘরের সব কিছু নিয়ে চলে গেল।হোজ্জার স্ত্রী বাসায় ফিরে এসে যখন দেখল সব কিছু খালি, চিৎকার দিয়ে বলল, হায় আল্লা! কি হইছে?
হোজ্জা খুশিতে লাফিয়ে উঠল, আমি জিতছি বাজিতে, এখন তোমারেই গাধাকে খাওয়ান লাগবে।

একদিন হোজ্জা বাজার থেকে কলিজা কিনে বাসায় যাচ্ছিলেন।এদিকে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে কলিজার পাই বানানোর রেসিপি দিয়েছিলেন, যাতে বাসায় গিয়ে কলিজার পাই রান্না করতে পারেন।কিন্তু হঠাৎ একটি বাজপাখি উড়ে এসে কলিজা ছিনিয়ে নিয়ে একেবারে নাগালের বাইরে উড়ে চলে গেল।
বোকা কোথাকার!চেঁচিয়ে হোজ্জা বললেন, কলিজা নিয়ে গেছ ঠিক আছে, কিন্তু প্রস্তুত প্রণালী (রেসিপি )তো আমার কাছে!
এক তুর্কির ষাঁড় হোজ্জার বাগানের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তছনছ করে দিয়ে মালিকের কাছে ফিরে গেল।হোজ্জা পুরো ব্যাপারটা লক্ষ করলেন, তারপর একটা বেত নিয়ে বেরিয়ে এসে ষাঁড়টাকে পেটাতে শুরু করলেন।
কোন সাহসে আমার ষাঁড়কে আপনি পেটাচ্ছেন! তুর্কি চেঁচিয়ে বলল।
কিছু মনে করবেন না আপনি, হোজ্জা বললেন, ও পুরো ব্যাপারটা জানে।এটা ওর আর আমার ব্যাপার!